ব্রিটেনের ডর্চেস্টার হোটেল তার
নারী কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিষ্কার-
পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কিছু নিয়ম জারি করে
বেশ কয়েকটি ই-মেইল করলো।
তেলতেলে ত্বক, মুখে বাজে গন্ধ এবং
দেহে ঘামের গন্ধের বিষয়ে তাদের
সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।
মনে হয়ে, সেখানকার ক্রেতারা এ বিষয়ে
অভিযোগ করেছেন।
তবে অস্বস্তিকর বিষয় হলো, কেবলমাত্র
নারী কর্মীদেরই এসব নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ কি মনে
করেন যে, এই নারীরা তাদের ত্বকের
বৈশিষ্ট্য নিজেরাই নির্ধারণ করবেন? অথবা
তারা ইচ্ছা করে গায়ে দুর্গন্ধ নিয়ে কাজে
যাবেন? তারা হয়তো দেহে সুগন্ধ ধরে
রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেন,
প্রতিদিন কাপড় পরিষ্কার করেন, দাঁত মাজের
নিয়মিত এবং আদা ও রসুন এড়িয়ে চলেন। ঘাম
ঝরে না কার দেহ থেকে?
এমন নির্দেশনা জারি না করেও আরো
অন্যান্য উপায়ে এর সমাধান করা সম্ভব ছিল
বলে মনে করেন মাইকেল হ্যানসন। ইন-
হাউজ কাউন্সিলর বা হেলথ অ্যাডভাইজর কি
যথেষ্ট ছিল না? বা তাদের বুঝিয়ে বললেও
চলতো। এমনকি তাদের কড়াভাবেও বলা
যেত ঠিকঠাক হওয়ার জন্য। যেকোনো
মানুষের দেহে থেকে কটু গন্ধ
আসতেই পারে। শেষ পর্যন্তে এই
কর্মীদের পকেটে একটি করে
ডিওডরেন্ট বা এই জাতীয় কিছু দেওয়ার
ছাড়া আর কি উপায় আছে?
দেহের এই কটু গন্ধকে কেন্দ্র করে
বিশাল ব্যাবসায়ী সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে।
বাজে গন্ধ আসা কোনো অপ্রাকৃতিক ঘটনা
না। ব্রিটেনের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দেহ
ও মুখের বাজে গন্ধে সমস্যায় নিয়মিত
ভোগেন।
কাজেই এমন সমস্যা সমাধানের জন্য সহজ
পদ্ধতিই যথেষ্ট। কর্মীদের এত
বিপজ্জনক অবস্থায় না ফেললেই হতো।
সূত্র: গার্ডিয়ান