ক্রিকেটে
বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে এখন
আর কারো সন্দেহ নেই। যে কোনো
দলের জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
তবে দু:খজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত
বাংলাদেশকে কখনো আমন্ত্রণ
করেনি ভারত। ধারণা করা হয়
বাংলাদেশের সাথে তাদের
মাটিতে সিরিজ খেললে তাদের
আয় কম হবে বলেই তাদের মাটিতে
কখনো বাংলাদেশকে ডাকেনি
তারা।
আর ভারতের অনুষ্ঠিত হওয়া বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে
বাংলাদেশ অংশ নিলেও কলকাতার
ইডেন গার্ডেনে তারা খেলেছে
সেই ২৫ বছর আগে। শেষ খেলা অনুষ্ঠিত
হয়েছিলো ১৯৯০ সালে। মাঝে অবশ্য
সুযোগ এসেছিলো, ইডেন
গার্ডেন্সের ১৫০তম বর্ষ উদযাপন
উপলক্ষে ২০১৪ এই মাঠে একটি প্রীতি
ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
(বিসিবিকে) আমন্ত্রণ জানানো
হয়েছিলো। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন
ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি সৌরভ
গাঙ্গুলি।
বিসিবি সৌরভের আমন্ত্রণ গ্রহণ
করলেও সেবার ইডেনে কোনো ম্যাচ
খেলা হয়নি বাংলাদেশের।
টাইগারদের ম্যাচ হয়েছিল কলকাতার
যাদবপুরে।
তবে এবার ১৬ মার্চ বিখ্যাত ইডেনেই
খেলতে নামছে বাংলাদেশ। টি২০
বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে সুপার
টেন নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
সুপার টেনে গ্রুপ 'টু'তে খেলবে
বাংলাদেশ। ১৬ মার্চ ইডেন
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ
পাকিস্তান। ২৬ মার্চ ইডেনের পরের
ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
১৯৯০-২০১৫ এই ২৫ বছরে ভারতের
মাটিতে ভারতের বিপক্ষে আটটি
ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে
বাংলাদেশ। এর মধ্যে ইডেনে
একবারই মাঠে নেমেছিল টাইগার
বাহিনী। ১৯৯০ সালে ৩১
ডিসেম্বরের সেই ম্যাচে
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল
শ্রীলঙ্কা।
৪৫ ওভারের সেই ম্যাচে লঙ্কান করা
২৪৯ রানের জবাবে ৯ উইকেট
হারিয়ে বাংলাদেশ করেছিল ১৭৮
রান। ৭১ রানে ম্যাচ হারলেও সেই
ম্যাচে ৯৫ বলে অপরাজিত ৭৮ রান
করে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন
বাংলাদেশের আতাহার আলী খান।
সেটাও ছিল বিশাল গৌরবের। প্রথম
বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে
কোনো ম্যাচ সেরার পুরস্কার ছিল
সেটি।
আগামী ১৬ মার্চ ইতিহাসের সাক্ষী
হয়ে ইডেনে থাকবেন সেই আতাহার
আলী। বাংলাদেশ-পাকিস্তান এবং
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের
ধারাভাষ্যকার হিসেবে প্রেস বক্সে
বসে নিজের অতীতকে স্মরণ করবে
তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে
জড়িত থাকায় ইডেনে সেদিন হয়তো
উপস্থিত থাকবেন আতাহারের সেই
ম্যাচের সতীর্থ আকরাম খান,
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ফারুক
আহমেদ সহ অন্য অনেকেই।