খাদ্য উপযোগী যত প্রকার ডিম আছে তার মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম গুনে মানে এং পুষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ঠ। ৪০ বছর পার হলেই ডাক্তারের পরামর্শ থাকে ডিম খাবার ব্যাপারে সর্তক থাকুন। কারণ নিয়মিত মুরগীর ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অথচ কোয়েলের ডিম নিঃসংকোচে যে কোনো বয়সের মানুষ খেতে পারেন। এতে ক্ষতির কোনো কারণ নেই বরং নিয়মিত কোয়েলের ডিম গ্রহণ করলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ হতে পারে। বিভিন্ন দেশে কোয়েল পাখির ডিম নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং সকল গবেষক কোয়েলের ডিম খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে,কোয়েলের ডিম বিভিন্ন প্রকার রোগ যেমন- হার্ট ডিজিজ, কিডনী সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন, রোগ প্রতিরোধ, পাকস্থলী ও ফুসফুসের নানা রোগ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস, পুরুষত্বহীনতা এবং উচ্চ কোলেস্টেরল ইত্যাদি কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া নিরাময় করে।
কেন কোয়েল পাখির ডিম খাবেন-
★ এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে, এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।
★ মুরগীর ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪% আর মুরগীর ডিমে ৪% এবং প্রোটিনের পরিমান মুরগীর ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
★ কোয়েল ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী,
আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
★ কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
★ হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
★ কিডনী এবং লিভারের কর্মদক্ষতা দুর্বল থাকলে সবল করে।
★ হজম শক্তি বাড়ায় এবং এসিডিটি কমায়।
★ মস্তিষ্ক সতেজ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি সবল রাখে।
★কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
★ বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়।
★ দুর্বল বাচ্চা এবং বৃদ্ধরা প্রতিদিন ২/৩ টি কোয়েল পাখির ডিম গ্রহণ করলে ৩/৪ মাসের মধ্যে সবল হয়।