সকালে লেবুর শরবতের ৮টি উপকারিতা

লেবুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং ইমিউন বুস্টিং ক্ষমতা অতিরিক্ত ওজন কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং লিভারের ময়লা দূর করতে সহায়ক। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, বায়োফ্লাভোনইডস, পেকটিন ও লিমোনিন থাকে যা ওজন কমায় ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে। নিচে লেবুর শরবতের ৮টি উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।
১) হজমে সহায়ক :
লেবু মানুষের শরীরের অপ্রত্যাশিত উপাদান বের করে দেয়। লেবুর শরবতে থাকা সালিভা ও হাইড্রোক্লরিক এসিডের মিশ্রণ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটা লিভারে বাইল উৎপাদন করতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এই বাইল হজম শক্তি বৃদ্ধির একটি শক্তিশালী উপাদান। লেবুতে থাকা প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন শরীরের আমা ও টক্সিন নষ্ট করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এমনকি বদহজমের বিভিন্ন উপসর্গ যেমন হার্টবার্ন, বেলচিং ও ব্লটিং থেকে শরীরকে নিরাপদ রাখে।
২) রোগ প্রতিরোধ:
লেবুতে থাকে অনেকটা ভিটামিন সি এবং লৌহ যা ঠাণ্ডাজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরও আছে পটাসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যাসকারবিক এসিড প্রদাহ দূর করে এবং অ্যাজমা বা এজাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়। এছাড়াও কফ কমাতে সাহায্য করে লেবু।
৩) ত্বক পরিষ্কার করে:
লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে । স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী।
৪) প্রফুল্ল মন:
খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লেবু। আর এর গন্ধে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে নিমিষেই। দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা দূরীকরণেও এটি অসামান্য।
৫) প্রতিষেধক :
অ্যাসকরবিক এসিড ক্ষতস্থান সেরে তুলতে সাহায্য করে । হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি সহায়ক। ভিটামিন সি স্ট্রেস এবং যে কোনও ধরণের ব্যাথার উপশম করে ।
৬) তরতাজা নিঃশ্বাসে:
নিঃশ্বাসে লেবুর সতেজতা আনা ছাড়াও, এভাবে গরম পানির সাথে লেবুর রস পানে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়।
৭) শরীরে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে :
রাতে ঘুমানোর সময়ে যে পানি খরচ হয় সেটা পূরণ হয়ে যায় সকাল সকাল এই এক গ্লাস পানি পানের মাধ্যমে।
৮) ওজন কমাতে সহায়ক :
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। ফলে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বাড়ে বেশি।
আমেরিকার ক্যন্সার সোসাইটি হালকা উষ্ণ লেবুর শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
কিভাবে লেবু খাবেন:
বিশুদ্ধ কুসুম গরম পানিতে লেবুর শরবত প্রস্তুত করুন। বরফ ঠাণ্ডা পানি অপেক্ষা উষ্ণ গরম পানি শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বেশি সহায়ক। টাটকা লেবুর অর্ধেক অংশ এক গ্লাস বিশুদ্ধ কুসুম গরম পানিতে নিয়ে কিছুক্ষণ ঝাঁকাতে থাকুন।
সকাল বেলা ব্যায়াম করার পর হালকা কিছু খেয়ে এই শরবত পান করতে পারেন।

Total Pageviews