কিয়ামতের দিবস কত বড় হইবে ?

''সুতরাং ঐ দিনের দীর্ঘ স্থায়ীত্বেরকথাভাবিয়া দেখ এবং ঐ দিন হিসাবনিকাশের জন্য অপেক্ষা করিতে যেকষ্ট হইবে উহার কথা চিন্তা কর,যাহাতেতুমি গুনাহ হইতে দুরে থাকিতে পার।একহাদীসে আছে যে, ঐ দিনের দীর্ঘস্থায়ীত্বেরকথা রাসূল (সাঃ)-এরকাছে জানিতে চাওয়াহইলে তিনি জবাব দিলেন, আল্লাহরশপথকরিয়া বলিতেছি যে- ঈমানদারেরজন্যঐ দিন অতি সল্প সময় বলিয়া মনে হইবে।মনে হইবে যে একটি ফরয নামাযপড়িবারসময়। এমনকি ইহা অপেক্ষাও হাল্কাহইবে। সুতরাং ঈমানদারেরতালিকাভুক্তহওয়ার চেষ্টা কর। কেননা যতক্ষনপর্যন্ত জীবনের স্পন্দন অবশিষ্ট আছেএবং শ্বাস প্রশ্বাস চালু আছে ততক্ষনপর্যন্ত তোমারসমস্যা সমাধানে তোমারক্ষমতা রহিয়াছে। ইহকালে এইসব ছোটদিনগুলিতে ঐ বড় দিনের জন্য কিছু নাকিছু করিয়া লও। দেখিবে তখনতোমার এতঅধিক উপকার হইবে যে তুমি ইহারখুশীতেবাগ বাগ হইয়া যাইবে।তুমি সারা জীবনবরং দুনিয়ার সৃষ্টি লগ্ন থেকে আজপর্যন্ত প্রায় আট হাজার বৎসর ইবাদতেরমাধ্যমেও যদি কিয়ামতের ময়দানেরপঞ্চাশ হাজার বৎসর অপেক্ষা করিবারকষ্ট হইতে রেহাই পাও। তাহা হইলেওজানিয়া রাখযে তুমি অতি সহজে এবংসস্তায় রেহাই পাইয়া গেলে।''(আখেরাত, পৃঃ ৪৮-৪৯)

Total Pageviews