হস্তমৈথুন সম্পর্কে একটি সত্য ঘটনা। সবাই পরবেন..

ছেলেটার নাম রকিব (ছদ্মনাম)। ক্লাস ৯এ পড়ে, বয়স হবে ১৫-১৬।ছাত্র হিসেবে ভালো।ক্লাস রোল ১৭। নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতো সে, বাড়ির কাজও ঠিকমতো করতো।সবাই তাকে ভালোবাসতো।তবে দিনদিন সে যেন কেমন একটা হয়ে যাচ্ছে।বন্ধুরা কথা বলতে চাইলে বা কিচু জিগজ্ঞেস করলে থু থু দেয়, ক্লাসে আগের মতো উপস্থিত থাকেনা, বাড়ির কাজও ঠিক মতো করে না, কারো সাতে কেমন যেন উদ্ভট আচরন করছে।সবাই তাকে নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লো,কি এমন কারনে এত ভালো একটা ছেলে এরকম হয়ে গেলো।দিন দিন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে, এদিকে তার বাবার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।খুব চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করলেন কাল ছেলেকে নিয়ে হুজুরের কাছেযাবেন।এর পরদিন শুক্রবার ছেলেকে নিয়ে এলাকার এক বড় হুজুর পীর সাহেবের কাছে নিয়েলেন।গিয়ে বললেন হুজুর আমাকে সাহাহ্য করুন।হুজুর বললেন এত ভেজ্ঞে না পরে কি হয়েছে তা আমাকে খুলে বলুন।তখন তিনি তার ছেলেরসম্পর্কে সব কথা খুলে বললেন।হুজুর রকিবকে ডাক দিয়ে বললেন এদিকে আয় আমার সামনে এসে বস।হুজুরের সামনে তখন অনেক যুবক ছেলে এবং বৃদ্ধ লোক বসে ছিলো।ছেলেটি এসে হুজুরের সামনে বসলো।হুজুর ছেলেটিকে বলল তুই নিজে থেকেই বলবি তোর কি হয়েছে? নাকি আমি সবার সামনে বলে দিবো? হুজুর তাকে দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন। তখন ছেলেটি বলল হুজুর আমি কিছু জানিনা।হুজুর এবার একটু রেগে বললেন তুই বলবি? কিন্তু ছেলেটি বলল আমি জানিনা,সে কেমন যেনো দুর্বল ছিলো।তখন তার বাবাবলল হুজুর আপনি বলুন কি হয়েছে।এরপর হুজুর বললেন: আপনার ছেলে অতিরিক্ত বীর্য খরন করে ফেলেছে নিজে নিজে।সে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারনে তার এ অবস্থা।আমি আপনার ছেলের সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানি যা বললে আপনার মান সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে তাই সবার সামনে আমি আর কিছু বলতে চাইনা।এরপর হুজুর কুমিল্লার দুজন ডাক্তারের কার্ড দিয়ে বললেন তাদেরকে দেখাতে এবং এক বোতল তেল পড়িয়ে দিলেন।তো আশা করি সবাই বুঝতে পেরছেন এটা কতটা ক্ষতিকর এবং খারাপ।তাছাড়া হস্তমৈথুন কোন ধর্মই সমর্থন করেনা, ইসলাম তো নয়ই।ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনঃআল্লাহ তা’আলার দেয়া এ সুন্দর যৌবনকালটাকে ক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি তার স্বীয় লিঙ্গের পিছনে লেগে যায় এবং নিজ হাত দিয়ে এটা চর্চা করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার এ হাত পরকালে সাক্ষী দেবে যে, সে এ পাপ কোথায় কতবার করেছে- যা পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ“সেই দিন আমি তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব, বরং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -(আল- কুরআন,৩৬:৬৫)রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ“ যে ব্যক্তি স্বীয় জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান জামিন হবে আমি তার জাহান্নামের জন্যে জামিন হবো।” -(বুখারি, মিশকাত)উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত হচ্ছে, মানব দেহের এ দু’টো অঙ্গ অত্যন্ত দুর্বল ও বিপদজনক। এ দু’টো অঙ্গের মাধ্যমে বিশেষ করে লজ্জাস্থানের মাধ্যমে পাপ করাতে শয়তানের জন্য খুবসুবিধা। এ দু’টো অঙ্গের মাধ্যমে বেশীরভাগ পাপ হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি এ দু’টো অঙ্গের হেফাজত করে, বিশেষ করে যুবক অবস্থায় লিঙ্গের হেফাজত করে অবয়িদ কোন প্রকারেই বীর্যপাত ঘটাতে চেষ্টা না করে তাহলেসে জান্নাতে প্রবেশের বিরাট সুযোগ পেয়ে যাবে।অন্যত্র সহীহ হাদীস থেকে আরও প্রমানিত হয়ঃ“(একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যুবকদের লক্ষ্য করে বলেন) হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে, তাদের বিবাহ করা উচিত। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর যে বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে না, তার উচিত (কামভাব দমনের জন্য) রোযা রাখা।” -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)আল্লাহ তায়ালা পরম দয়ালু ক্ষমাশীল।তাই আমরা আজ থেকে তওবা করবো যে আমরা আর কোন দিন

Total Pageviews