ভুঁড়ি কমাতে চাইলে জেনে রাখুন ৪ তথ্য দেখেনিন।

দেহে বাড়তি চর্বি জমলে তা এক পর্যায়ে স্থূলতা তৈরি করতে পারে। আর স্থূলতা হলোশরীরের এমন একটি অবস্থান, যে অবস্থায় শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়।কিছু বিষয় মেনে চললে স্থূলতাথেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।১. স্থূলতার কারণ অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসথ বর্তমানে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা অনেককমে গেছে এবং কারও কারও বেলায় শারীরিক পরিশ্রম বলতেই নেই।বিশেষ করে শহরে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন ও স্থূলতার জন্য দায়ী।২. স্বাস্থ্যের ওপর স্থূলতার প্রভাব ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডিসলিপিডেমিয়া, শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা, শল্য চিকিৎসার উচ্চমাত্রার ঝুঁকি। আয়ু কমে যাওয়া এবং মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়া।মানসিক ও যৌন সমস্যা। ক্যান্সার:স্তন, জরায়ু, পিত্তথলি, ডিম্বাশয়, অন্ত্র ও প্রস্টেট।৩. স্থূলতা যেভাবে কমানো যায় ক. নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে চিকিৎসা কোনো ব্যক্তির খাদ্যশক্তি নিরূপণ করে যদি দেখা যায়, তার শরীরে ৫ কেজির বেশি অতিরিক্ত ওজনরয়েছে তবে প্রতিদিন ৫০০ কিলোক্যালরিকম খেলে সপ্তাহে আধা কেজি ওজন কমবে এবংমাসে কমবে ২ কেজি।অন্যদিকে যদি অতিরিক্ত ওজন পাঁচ কেজি অথবা কম হয়, তবে প্রতিদিন ২৫০ কিলোক্যালরি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিলে সপ্তাহে ২৫০গ্রাম এবং মাসে এক কেজি পরিমাণ ওজনকমবে।খ. শারীরিক পরিশ্রম বাড়ানো দৈনিক অন্তত এক ঘণ্টা দ্রুত হাঁটতে হবে। অল্প দূরত্বের যাত্রায় রিকশা বা গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটেচলতে হবে।৪. স্থূলতা প্রতিরোধ শারীরিক পরিশ্রম ও সুষম খাবার স্থূলতায় ও মোটা হওয়া প্রতিরোধকরে। তাজা ফল এবং প্রচুর পরিমাণে কাঁচা শাকসবজি খেতে হবে।শিশুদের কোমল পানীয়, ফলের রস এবং চকলেট জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে।

Total Pageviews