মেয়েরা পিরিয়ডের সময় যে ৮ ভুল করে থাকে

মাসিক বা পিরিয়ড নিয়েঅনেকেরই নানা ছুঁত্মার্গ থাকলেওএই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনাকরাটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ওবিজ্ঞানসম্মত। লুকোছাপা করতেগিয়ে এই নিয়ে অজ্ঞতা দেখাদেয় মেয়েদের মধ্যে। আর সেজন্যইপ্রতি মাসে এই শারীরবৃত্তীয় ওপ্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ঘটলেও, সেইসময়টায় না জেনেই বেশকিছু ভুলকরে বসে নারীকুল। যা শরীরেরপক্ষে অত্যন্ত হানিকর হতে পারে।বেশিরভাগ মেয়েই পিরিয়ডচলাকালীন সাধারণত যে ভুলগুলিকরে থাকেন, একবার সেগুলিরদিকে নজর দেওয়া যাক-১. পেন রিলিফ মেডিকেশনপিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকনিয়মে হওয়া ব্যথা বা ক্র্যাম্পনিরাময়ের জন্য মেয়েরাঅনেকক্ষেত্রেই নানা ওষুধেরসাহায্য নেন। পেন রিলিফের এইওষুধ বা ইনজেকশনে যে স্টেরয়েডথাকে, তা শরীরের পক্ষে অত্যন্তক্ষতিকর। বেশ কয়েকটি ওষুধসমস্যা কমানোর পরিবর্তে আরওবাড়িয়ে দিতে পারে। আরস্টেরয়েডবহীন অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগ আপনারশরীরে আচমকা হার্ট অ্যাটাকেরঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। প্রতিনিয়ত এধরনের ওষুধ খেলে তার মারাত্মকপ্রভাব পড়তে পারে কিডনি ওলিভারের উপরও।২. দীর্ঘক্ষণ প্যাড না বদলানোযত বেশি সময় ধরে আপনি একটিপ্যাড ব্যবহার করবেন, তত বেশিতাতে ব্যাকটেরিয়া জমা হবে।অনেকেই কাজের চাপে বাঅবহেলায় দীর্ঘক্ষণ একইস্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারকরে থাকেন। এটা শরীরের পক্ষেঅত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। প্রতি ৪-৬ঘণ্টা অন্তর অন্তর প্যাড বদলানোউচিত।৩. সুগন্ধীযুক্ত প্যাড ব্যবহারকোনও উগ্র বা উত্কট গন্ধ কারওইপছন্দ না হওয়াটা স্বাভাবিক। তবেতাই বলে সুগন্ধীযুক্ত স্যানিটারিন্যাপকিন ব্যবহার করাটা ঠিক হবেনা। এ ধরনের কেমিক্যালইনফেকশন ছড়াতে পারে,ব্যাকটিরিয়া তৈরি করতে পারে।সুগন্ধীযুক্ত প্যাডে এমন কিছুসিন্থেটিক কেমিক্যাল যুক্তথাকতে পারে, যা হয়ে উঠতে পারেক্যান্সারপ্রবণ।৪. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবব্যথা, ক্র্যাম্পিং, হরমোলানভারসাম্যহীনতা ও অস্বস্তিরকারণে পিরিয়ড চলাকালীনইনসমনিয়া দেখা দেয় মেয়েদেরমধ্যে। ঘুম আসতে চায় না। তবে, এইবিশেষ সময়টায় পর্যাপ্ত ঘুমেরঅভাব শরীরকে আরও অসুস্থ করেদেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে,ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম হলেপিরিয়ড অনেক সহজ ও কম কষ্টকরহয়।৫. শরীরচর্চায় বিরতিঅধিকাংশ মেয়েই পিরিয়ড শুরুহলে রোজকার শরীরচর্চা বন্ধ করেদেন। এই সময়টায় শরীরচর্চাশরীরের পক্ষে ক্ষতিকর বলেইবেশিরভাগ মানুষের ধারণা। তবে,বিশেষজ্ঞরা কিন্তু একেবারেউল্টো কথাই বলছেন। মেরিল্যান্ডমেডিক্যাল সেন্টারবিশ্ববিদ্যালয় বলছে, মাসিকচলাকালীন সপ্তাহে পাঁচ দিনদিনে অন্তত ৩০ মিনিট করেওয়ার্ক আউট করা উচিত।শরীরচর্চা করলে চাপমুক্ত হওয়া ওঘামের মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়েযাওয়া ছাড়াও ব্যথা ও খিঁচ ধরারমতো সমস্যাগুলো কেটে যায়। তারফলে ঘুমটাও ভালো হয়।৬. বাদ দিন চা-কফিপিরিয়ড চলাকালীন ক্লান্তি,ঘুমের অভাব, মাথাব্যথার মতোশারীরক সমস্যাগুলি থাকায়,মাঝে মধ্যেই কফি খেতে মন চায়।তবে, মেয়েদের বলছি, এই সময়টায়কফি নৈব নৈব চ। কারণ ক্যাফেনশরীরকে ডিহাইড্রেট করে এইসময়টায় উল্টে শরীরের ক্ষতি করেদিতে পারে। বাড়িয়ে দিতে পারেমাথাব্যথা। মাসিকের সময় চা-কফি যত বাদ দেবেন, ততই টেনশন,নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগের মতোসমস্যাগুলি কম হবে।৭. সুরক্ষিত সেক্সপিরিয়ডের সময় যোনিতেব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিসবচেয়ে বেশি। কাজেই নিজেরসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এইসময়টায় সঙ্গমে লিপ্ত হলেপর্যাপ্ত সুরক্ষার দিকটা মনে নাচললে, তা হতে পারে মারাত্মক।৮. কাপড়ের ব্যবহার আর নয়এখনও গ্রাম-গঞ্জ, শহরতলি এমনকীশহরেও অনেক মেয়ে মাসিকেরসময় কাপড়ের ব্যবহার করেন। এটাএকেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাইসবসময় কাপড়ের পরিবর্তেহাইজেনিক প্যাড ব্যবহার করুন।

Total Pageviews