হিন্দু হয়ে মুসলিম যুবককে বিয়ে, অতঃপর যা ঘটলো মহিলার জীবনে!

মাত্রএক বছরেরব্যবধানেবাবা ওস্বামীকেহারিয়ে আতান্তরে পড়েছিলেন একমহিলা। সাত বছরের মেয়েকেকীভাবে মানুষ করবেন, ভেবেপাচ্ছিলেন না। তখন ভাইয়েরাইউদ্যোগ নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তিথেকে মাসিক রোজগারের ব্যবস্থাকরে দেন।তবে, ভালবেসে এক মুসলিম যুবককেবিয়ে করতেই ভোল বদলে যায়ভাইয়েদের। বোনকে ত্যাজ্য করেদেওয়াই শুধু নয়, পৈত্রিক সম্পত্তিরঅধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়।নিজের অধিকার ফিরে পেতেআদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওইমহিলা।জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে বাবাকেহারান সোনিয়া নামের ওই মহিলা।এক বছর পর ব্লাড ক্যানসারেআক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামীও।ভাইয়েরাই উদ্যোগ নিয়ে বাবারসম্পত্তিতিন ভাইবোনের মধ্যে সমান ভাগকরে নেন এবং সেই সম্পত্তি থেকেসোনিয়াকে প্রতি মাসে একটা বড়অংকের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করাহয়। মেয়ের বয়স মাত্র সাত। রোজগারবলতেও তেমন কিছু নেই।স্বাভাবিকভাবেই ভাইদেরপ্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান সনিয়া।২০১২ সালে হাসান নামে এক মুসলিমযুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় সোনিয়ার।বেশ কয়েক মাস মেলামেশার পরবিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নিতেঅস্বীকার করেন সোনিয়ার ভাইরা।বোনের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কও ছিন্নকরে দেন। এমনকী, বাবার সম্পত্তিমাসে মাসে যে টাকা পেতেনসনিয়া, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।সোনিয়া বলেন, ‘দ্বিতীয়বার বিয়েরপরও আমার জীবনযাত্রায় কোনওপরিবর্তন হয়নি। আমার স্বামীআমার ওপর জোর করে শর্তও চাপিয়েদেননি। আমরা সবধর্মকেই শ্রদ্ধাকরি। ভাইদের বোঝাবার চেষ্টাকরেছিলাম। কিন্তু ওরা শোনেনি।উল্টে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিদেয়।’এই পরিস্থিতিতে নিজের অধিকারপেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেনসোনিয়া। ওই মহিলার অভিযোগ,দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর, তারভাইরা দলিল জাল করে তার ভাগেরসম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। যদিওসনিয়ার ভাইদের পাল্টা দাবি,সনিয়া এক মুসলিম যুবককে বিয়েকরেছেন। ধর্মও পাল্টে ফেলেছেন।তাই হিন্দু উত্তরাধিকার আইনমোতাবেক, পৈত্রিক সম্পত্তিতেতার আর কোনও অধিকার নেই।আগামী ২৬ আগস্ট মামলার শুনানি।

Total Pageviews