অ্যাপেলের ‘হিজাব’ ইমোজির পেছনে থাকা মেয়েটি কে?

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ইমোজির সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। গত সোমবারই ছিল এই বিশেষ ইমোজি পালনের দিন। আর এই বিশেষ দিনটিতেই অ্যাপেল সংস্থা একটি বিশেষ ইমোজির উদ্বোধন করে।এতে হিজাব পরিহিত একটি মেয়ের ইমোজির সূচনা করে অ্যাপেল সংস্থা। কিন্তু আপনি কি জানেন এই বিশেষ ইমোজির পেছনে যে মেয়েটি রয়েছে সে কে? কেন হঠাৎ এই ধরনের একটি ইমোজি তৈরি করল অ্যাপেল?রেয়আউফ আলহুমেধি। ভিয়েনার বাসিন্দারেয়আউফের বয়স মাত্র ১৬। বন্ধুরা রেয়আউফ এবং তাদের বন্ধু বান্ধবেরা নিজেদের মধ্যে গল্প করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ তৈরি করে। সেই গ্রুপেই তারা ঠিক করে কোনও নাম নয়। এক একটি ইমোজিই হবে তাদের পরিচয়। এই ভাবে তারা শুরু করে কথাবার্তা। সেই গ্রুপেরই একজন সদস্য ছিলেন রেয়আউফ।সে আচমকা বুঝতে পারে, যে তার বন্ধুরা নিজেদের মতন একটা ইমোজি পেয়ে গেলেও তার মতন দেখতে কোনও ইমোজি তার অ্যাপেলের স্মার্টফোনটিতে নেই। কিন্তু এদিকে নিজের মনের মতন ইমোজি না পেয়ে সে ভাবতে থাকে কি করা যায়। সেই সময়ই তার মাথায় আসে যে তার মতন দেখতেএকটি ইমোজি যদি বানানো যায়, তবে তা কেমন হবে? যেমন ভাবা অমনি কাজ।সে সঙ্গে সঙ্গে তার সেই ইচ্ছের কথা ইউনিকোড ইমোজি সাবকমিটিতে জানায়। সেই কমিটির প্রধান জেনিফার লি সঙ্গে সঙ্গে তার সেই ইচ্ছেপূরণে রাজি হয়ে যায়। রেডিট সংস্থারসহ প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহ্যানিয়ানও তার এই ইচ্ছের সমর্থন জানায়। অবশেষে গত সোমবার অফিসিয়ালি এই ইমোজিটি তৈরি করে অ্যাপেল সংস্থাটি।তবে, এই বিশেষ ইমোজিটি তৈরির পরই নানাবিধ সমস্যার সমালোচনার সম্মুখীন হয় অ্যাপেল সংস্থাটি। কেউ কেউ জানিয়েছে এই বিশেষ ইমোজোটি তৈরি নিষ্প্রোয়জন ছিল। আবার কেউ জানিয়েছেন, হিজাব নারীজাতিকে অত্যাচার, সমাজে তাদেরকে দমন করে রাখার প্রতীক।অ্যাপেল সংস্থাটি এই ধরনের একটি ইমোজিতৈরি করে নারী নির্যাতনের বিষয়টিকেই সমর্থন জানালো। এহেন আরও একাধিক বিষয়নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে ট্যুইটারে।

Total Pageviews