আপনার শরীরে ওজন বাড়ার গোপন কারণগুলো কি জানুন-

অনেকদিন ধরেই শরীরের বাড়তে মেদ ঝরাতেচাচ্ছেন। তবে কর্মফল শূণ্য। কারণ হতেপারে ভিন্ন।ভারতের রেজিস্টার্ড ডায়াটিসিয়ান প্রিথি রাহুল জানাচ্ছেন ক্রমাগত ওজন বেড়ে যাওয়ার রহস্যময় কিছু কারণ।হরমোনজনিত সমস্যা: শরীরের অন্তঃস্রাবী ব্যবস্থা সঠিকভাবে কর্মক্ষম না হলে ওজন বাড়তে পারে। এরমধ্যে তিনটি প্রচলিত সমস্যা হল হাইপোথাইরোইডিজম, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং কুশিং’স সিনড্রোম।থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরের শক্তি খরচ কমে যায় তবে শক্তি সঞ্চয়ের মাত্রা একই থাকে। ফলে ওজন বাড়ে। পিসিওএস’য়ের ক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের প্রবাহ দ্রুত বেড়ে যায়, ফলে ওজন বাড়ে। আর কুশিং’স ডিজিজেরক্ষেত্রে ওজন বাড়ে বাড়তি কর্টিসলের কারণে।ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিভিন্নগর্ভনিরোধক ও দুশ্চিন্তা দূর করা ওষুধ, হাঁপানী, একজিমা রোগের চিকিৎসায়ব্যবহৃত স্টেরোয়েড ইত্যাদির কারণে ওজন বাড়ার রয়েছে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা। চিকিৎসার জন্য কোনো ওষুধের কারণে ওজন বাড়ছে মনে হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।মানসিক চাপ: মানসিক চাপগ্রস্ত অনেকেইআবেগতাড়িত খাদক হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন চিনিযুক্ত খাবার ও কার্বোনেইটেড পানীয় বেশি গ্রহণ করেন। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ এটি। এছাড়াও এই অবস্থায় শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং এটিও চর্বি জমার কারণ হতে পারে।খাবারে অ্যালার্জি: বিশেষ একটি খাবারে অ্যালার্জি আছে তা না জেনেও ওই খাবার খেয়ে যাওয়া হয়। এক গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ওজন কমানোর সর্বাত্বক চেষ্টা করার পরেও শুধু অ্যালার্জির জন্যই ক্রমেই মুটিয়ে যাচ্ছেন।সাধারণত অ্যালার্জি থাকে এমন খাবারের মধ্যে আছে সয়া, ময়াদা দিয়ে তৈরি আঠা, ল্যাক্টোজ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি। নিশ্চিত হতে অ্যালার্জি পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।

Total Pageviews