জাহান্নামের আগুন থেকে নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান

আস্সালামুয়ালাইকুমআশাকরি রমযান মাসের বর্কতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও মেহেরবানিতে সবাই ভালোআছেন। শিরোনাম দেখে অবশ্ব্যয় বুজতে পারছেন আমি ইসলামিক পোষ্ট করতে যাচ্ছি, নিজে পড়ুন অন্য বন্ধুকেপড়ার ব্যাবস্থা করেদিন, শিয়ার করে।.بسم لله الرحمن الرحیمআল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ ফরমানঃ-یایهاالذین أمنوا قوا انفسکم واهلیکم نارا وقودها الناس والحجارة علیها ملٸکة غلاظ شدادلا یعصون الله ما امرهم ویفعلون ما یٶمرونঅর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সে অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয় ও কঠোর স্বভাবের ফেরেশতাগণ। আল্লাহ তা’য়ালাতাদেরকে যা আদেশ করেন তারা তা অমান্যকরেনা এবং যা করতে আদেশ করা হয় তারা তাই করে। (সূরা তাহরীমঃ ৬)……..উল্লেখিত আয়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, জাহান্নামের আগুন থেকে নিজে বাঁচুন এবং পরিবার-পরিজনকে বাঁচান। অতঃপর জাহান্নামেরআগুনের কঠোরতার কথা বলা হয়েছে। তারপর বলা হয়েছে যে কেউ জাহান্নামে যাওয়ার উপযুক্ত হলে সে কোন বল প্রয়োগ বা প্রভাব খাটাতে পারবেনা কিংবা কোন প্রকার তোষামোদ করে এই সমস্ত ফেরেশতার কবল থেকে আত্মরক্ষা করতে পারবেনা। যে ফেরেশতা জাহান্নামের উপর প্রভাব বিস্তার করবে তার নাম যাবানিয়াব। উল্লেখিত আয়াতে “আহলিকুম” শব্দটি দ্বারা পরিবার-পরিজন তো বটেই অধিকন্তু দাস- দাসী ও বোঝানো হয়েছে।.পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষার উপায়ঃউক্ত আয়াতে কারিমা অবতীর্ণ হবার পর হযরত ওমর (রাঃ) নবী করিম (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করার বিষয় বুঝলাম, কিন্তু পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে কি ভাবে রক্ষা করববো? হুজুর (সাঃ) তখন বললেন এর পন্তা হল আল্লাহ পাক তোমাদেরকে যে সমস্ত কাজ থেকে বিরত হতে বলেছেন, সেগুলো থেকে তাদেরকেও বিরত থাকতে বলবে। আর যে সমস্ত কাজ করতে বলা আদেশ করেছেন সেগুলো করতেও পরিবার-পরিজনকে আদেশ করবে। তাহলেই জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে যাবে। (কুরতুবী)আজ এ পর্যন্ত, আগামী পর্বে আরো সন্দর লিখা নিয়ে আসবো, ইনশাআল্লাহ সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন। সময় হলে আমার সাইটে একটু ঘোরে আসেন

Total Pageviews