কিভাবে বুঝবেন আপনার প্রেমিকা শারীরিক সম্পর্ক করেছে কিনা?

আজকাল প্রেমিক-প্রেমিকাদের শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া যেন একটা ফ্যাশনেপরিনত হয়েছে। তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রী অন্য কারো সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর হিসাবে বলা যায়, নারীরা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে কি না তা বাহ্যিক ভাবে চেনার তেমন কোনো উপায় নেই।তবে আমরা প্রায় সবাই জানি যে প্রথম মিলনে নারীদৈর হাইমেন বা সতীচ্ছেদ হয়েথাকে। এই সতীচ্ছেদেরে বিষয়টি পরীক্ষা করেই বোঝ সম্ভব যে নারীটি পূর্বেকোনো শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন কিনা। তবে অনেক সময় এটি প্রাকৃতিকভাবেই মাঝে মাঝে ছিঁড়ে যায়। ফলে কোনো নারীর পূর্বে থেকেই সতীচ্ছেদথাকা মানেই এই না যে তিনি অবশ্যই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। উল্লেখ্য কোনো নারী একাধিক পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে কিনা এর কোনো নির্দিষ্ট ডাক্তারি পরীক্ষা নেই যদিনা ঘটনার মুহূর্তেই ডিএনএ পরীক্ষা না করা হয়ে থাকে।হাইমেন শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে।যার বাংলা অর্থ স্বতীচ্ছদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হাইমেন বা স্বতীচ্ছদ অর্ধচন্দ্রাকার একপ্রকার শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী যা স্ত্রী যোনিমূখ ঘিরে থাকে। এটি শরীরের অতি জরুরী অঙ্গের একটি। বয়স যত বাড়তে থাকে স্বতীচ্ছদের মুখ/ছিদ্র ক্রমশঃ বড় হতে থাকে। এটি যোনীমুখের একদম সামনের দিকে অবস্থিত। দুই পা সম্পুর্ণ ছড়িয়ে দিয়ে ছোট একটি আয়না সামনে রেখে আপনি এ পর্দটি নিজেই দেখতে পারেন।যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছে এটি নিছক একটি আংশিক আবরণকারী পর্দা এমনকি অনেকনারী এ পর্দা ছাড়াও জন্ম গ্রহন করেন অথবা সাঁতার, খেলাধুলা সহ দৈনন্দিন কাজ কর্মের ফলে এটি চিরে যায়, তারপরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ অঙ্গ এখনো নারীর স্বতীত্বের প্রতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় – যা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। ভারত এবং জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বতীচ্ছদ পুনঃস্থাপন অস্ত্রপ্রচার (প্লাষ্টিক সার্জারী) খুব জনপ্রিয়।

Total Pageviews