Home »
Airtel Free Internet Offer
» ফোরজি নিয়ে অপারেটরদের নতুনআবদারে সায় নেই বিটিআরসির
ফোরজি নিয়ে অপারেটরদের নতুনআবদারে সায় নেই বিটিআরসির
ফোরজি নীতিমালার ওপর দুই ডজন দাবির সবগুলো পূরণের পর যখন দরপত্র আহবান করা হলো তখনই আবার দাবি নিয়ে হাজির অপারেটরগুলো।তবে এবারের আবেদনে সায় নেই টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির।বিটিআরসি গত ৪ ডিসেম্বর ফোরজি এবং স্পেকট্রাম নিলামের আবেদন আহবান করে। ওই দিনই বড় তিন অপারেটর মিলে একটি চিঠি দিয়ে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চায়।চিঠিটি বিটিআরসির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হলেও তার একটি কপি দেওয়া হয় টেলিটকম বিভাগকেও। আর চিঠিটি স্বাক্ষর করেছেন বাংলালিংকের সিইও এরিক অাস, গ্রামীণফোনের সিই মাইকেল ফোলে এবং রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।আর এই চিঠির বিষয়টি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে উঠলে সেখানে ফোরজি নীতিমালায় নতুন করে এসব দাবি পূরণে সায় দেয়নি বিটিআরসি।চিঠি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরউত্তরে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কোনো সমস্যা তো নেই। বরং আলোচনা সব সময় চলছে এবং চলবে।তবে যেসব বিষয় সরকার একবার সমাধান করেদিয়েছে সেগুলো নিয়ে নতুন করে কথা বলারতো কিছু থাকতে পারে না।‘আবেদন আহবানের মাধ্যমে আসলে দেশে ফোরজি চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল, এখন এসব নিয়ে আর কথা না বলাই ভালো।’ বলেন শাহজাহান মাহমুদ।এদিকে নিলামের প্রি-বিড মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এজন্য মঙ্গবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন নেওয়া হয়। অপারেটরগুলো একসঙ্গে অ্যামটবের মাধ্যমে ২৩টা আপত্তির অনেকগুলোতেই প্রশ্ন ও ব্যাখ্যা চেয়েছে। এতে এগারটির মতো প্রশ্ন ও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব এবং প্রধান নির্বাহী টিআইএম নূরুল কবীর টেকশহরডটকমকে বলেন, বাস্তব অবস্থা দেখতে হবে। অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। ফোরজির গতিসহ অনেক বিষয়েই বেশ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি একটি ইনভেস্টমেন্ট সিদ্ধান্ত, ইনভেস্টমেন্টের জন্য এ বিষয়গুলো খুব জরুরি। এছাড়া ব্যবহারকারীর জন্য ইকোসিস্টেম কেমন তৈরি সেটিও বিবেচ্য বিষয়। আর এখানে সরকার সহায়তার হাত কতখানি বাড়িয়েছে তাও দেখার বিষয়।এর আগে স্পেকট্রাম নিলামের ভিত্তিমূল্যের ওপর কিছু না বললেও এখন সেটি নিয়ে নতুন করে কথা তুলছেন বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।এবারের চিঠিতে তারা পরিস্কার করে বলেছেন যে, নিলামের জন্যে তোলা স্পেকট্রামের মূল্য বেশি। একই সঙ্গে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা সুবিধা পাওয়ারজন্যে যে ফি সেটিওকেও তারা বেশি বলছেন।এর আগে বিটিআরসি প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার ফি প্রথমে প্রতি মেগাহার্জ এক কোটি ডলার করেও পরে তা কমিয়ে ৭৫ লাখ ডলারে নিয়ে আসে। তারপরেওঅপারেটরদের আপত্তির কারণে সেটি এখন ৪০ লাখ ডলারে চলে আসছে।অপারেটরদের আরও আপত্তি রয়েছে, ফোরজি’রস্পিড। জারি হওয়া নীতিমালায় ২০ এমবিপিএস স্পিডকে ফোরজি বলা হচ্ছে। কিন্তু অপারেটররা বলছেন, এটি বাস্তবিক নয়। চিঠিতে তারা বলেছেন, সব স্পেকট্রামও যদি তারা কিনে নেন তাহলেও এই স্পিড দেওয়া সম্ভব হবে না।এর আগে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাস করা নীতিমালায় অবশ্য এই গতি এক জিবি অনুমোদিত হয়েছিল।অপারেটররা বলছেন, তারা এখন ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন না। আর সেটি ছাড়া ফোরজির গুণগত সেবা দেওয়া অসম্ভব হবে।ভ্যাটসংক্রান্ত পুরোনো সমস্যার সমাধানকেও এবার শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছেন। তবে সরাসরি শর্ত শব্দটি না বলে তারা এসব বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে কথা বলতে চান বলেও চিঠিতে বলা হয়।collected