(১)
স্ত্রী: আমার এই ব্যাগভর্তি জামাগুলো অনাহারী গরিব মানুষদের দান করতে চাই।
স্বামী: এত ঝামেলা না করে এগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াটাই ভাল মনে করছি।
স্ত্রী: তুমি মানুষ না আর কিছু! এই শীতে ক্ষুধার্ত গরীব কয়েকজন মানুষ এগুলো পড়ে উপকার পাবে- এটা মাথায় ঢুকছে না তোমার?
স্বামী: যাদের গায়ে তোমার জামাগুলো ফিট হওয়ার কথা তারা অনাহারী হতে পারে না।
এরপর মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত আহত স্বামীর ১৫ দিন লেগছে সেরে উঠতে।
(২)
বিয়ে বাড়িতে বড়যাত্রীরা উপস্থিত। খাবার সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাউকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। একপর্যায়ে শুরু হলো পানি খাওয়ানো। গ্লাসের পর গ্লাস পানি খাওয়ানো হচ্ছে- কিন্তু মাছ-মাংস-কোপ্তা-বিরিয়ানির দেখা নেই।
এসময় হঠাৎ একজন গলা চেপে মাটিতে শুয়ে পড়লো। পাশে থাকা তার সঙ্গী চিৎকার করে উঠলো: ভাই কে আছেন জলদি একটু বিরিয়ানি নিয়ে আসেন!
পাশ থেকে অপর বরযাত্রী প্রশ্ন করলেন: কেন কেন? গলা আটকেছে, তাতে বিরিয়ানি কেন?
সঙ্গী জবাব দিল: ভাই উনার গলায় পানি আটকে গেছে! এখন একটু বিরিয়ানি হলে...
(৩)
সন্তানের জন্য মায়েদের মমতা তুলনাহীন। খেলতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি করলে ‘হারিয়ে গেছে’ ভেবে কেঁদে পাড়া-মহল্লা ভাসিয়ে ফেলে।
আবার সেই সন্তান যখন ঘণ্টা কয়েক পর নিজ থেকে বাড়ি ফিরে আসে তখন তাকে পেটাতে শুরু করে- মন্টুর বাপের ডায়েরি থেকে
(৪)
বোন বেড়াতে এসেছিল এবার শীতে। ইঁচরে পাকা ভাগনেটাও এসেছিল। তার সঙ্গে থেকে দুদিনেই আমার ছেলেটা সিগারেট ফোঁকা শিখে গেল! কিন্তু দুই বছর একই ক্লাসে থাইকাও অংকটা পাস দিতে পারতেছে না! এমন কেন হয়? -এক বাঙালি মায়ের আর্তি
(৫)
মন্টুর বাপ: বস, একটা বিষয় বুঝতেছি না!
বস: বিষয়টা কী আগে বলবে তো?
মন্টুর বাপ: দেশের সব দল আর তাদের সমর্থক-ই তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে?
বস: হুম। কিন্তু তাতে তোমার সমস্যা কী?
মন্টুর বাপ: আমি ভেবে পাই না- তাইলে দুর্নীতিটা করতেছে কারা?