রান্নাঘরেই খুঁজে পাবেন আপনার ময়েশ্চারাইজার

রোদ ধুলো ময়লাতে আমাদের ত্বকের বহু ক্ষতি হয়।তাই ত্বকের পরিচর্চা করা আমাদের খুব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।সেক্ষেত্রে ত্বকের প্রতিদিন ক্লিনিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।কিন্তু এই গুলির ক্ষেত্রেও আমরা বাজার চলতি জিনিস ব্যবহার করি।যার জন্য আমাদের ত্বকের পরিচর্চার বদলে আরও বেশি ক্ষতি হয়ে যায়।তাই দেরি না করে দেখে নিন কীভাবে রান্নাঘরের টুকিটাকি সামগ্রী দিয়ে বানাবেন আপনার ময়েশ্চারাইজ়ার।
অলিভ অয়েল: ২ চামচ অলিভ অয়েল, ৪ চামচ ব্রাউন সুগার, ১ চামচ মধু দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন।এটা গোসলের সময় ব্যবহার করুন। দেখবেন এতে অপনার ত্বক খুব ভালো ময়েশ্চারাইজড হবে।
ওটমিল: ওটমিল খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজ়ার ও ক্লিনেজার হিসেবে কাজ করে।এছাড়া এই ওটমিলের ফলে ত্বকের জ্বালা-চুলকানি কমে যায়।এক কাপ ওটমিল গুঁড়ো নিন।এটাকে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।এবার এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজড হয়ে গেছে।
কাঠবাদাম: রাতে হালকা গরম পানিতে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখুন।এবার সকালে দেখবেন কাঠবাদাম নরম হয়ে এসেছে।এবার এটার ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন।এর সঙ্গে খানিকটা মধু ও অল্প একটু গরম পানি মিশিয়ে নিন।মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে ত্বকে লাগান।এটি ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
দই: প্রথমে হাফ কাপ দই নিন।এতে কয়েক ফোঁটা মধু মেশান।এর মধ্যে কিছুটা পেপের পেস্ট ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান।এরপর এটা মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।এটি প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের চুলকানি, বা ত্বকে ব্রণ ফুসকুড়ির কোনও সমস্যা হবে না।এটি খুব ভালো আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ ও করবে।
নারকেল তেল: খাঁটি নারকেল তেল থেকে ভালো ময়েশ্চারাইজড হয়। ময়েশ্চারাইজার হিসাবে আপনি ত্বকে নারকেল তেল ও মাখতে পারেন।
মধু: বহু যুগ ধরে মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।মধু, অলিভ অয়েল আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।এবার এটি মুখে লাগিয়ে নিন।একটু শুকোনো হয়ে এলে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
কমলালেবুর খোসা: খানিকটা কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো নিন।এতে খানিকটা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন।এটি খুব ভালো ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।
দুধ: দুধ খুব ভালো ময়েশ্চরাইজার হিসাবে কাজ করে।এটি ত্বকের দাগ ছোপ মুক্ত করতে সাহায্য করে।ঠান্ডা দুধে তুলো ভিজিয়ে তা মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে আবার একবার একই ভাবে মুখে দুধ লাগিয়ে নিন।প্রলেপটিও শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে ঘষে তুলে দিন।

Total Pageviews