অন্য সব দেশ যখন সাবমেরিন , স্যাটেলাইট বানাই তখন আমাদের দেশ ইউটিউবার বানাতে ব্যস্ত

# মহাকাশে আমেরিকার স্যাটেলাইট আছে ১৬১৬ টি
পাশের দেশ ভারতের স্যাটেলাইট ৮৮ টি
পাকিস্তানের স্যাটেলাইট আছে ৩ টি ।
মহাকাশে কেনিয়ার মতো দেশের স্যাটেলাইট আছে ১ টা।
ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার স্যাটেলাইট আছে ১৮ টি । ব্রাজিলের আছে ১৭ টি ।
সাউথ কোরিয়ার আছে ২৭ টি । স্পেনের আছে ২৪ টি । থাইল্যান্ডের আছে ৯ টি । জাপানের প্রায় ১৭২ টি ।
পরমানু অস্ত্রের তালিকা করলে দেখা যায় সব থেকে বেশি পরমানু অস্ত্র আছে সুপার পাওয়ার রাশিয়ার । প্রায় ৭ হাজারের উপর । এরপর লিস্টে আসে আমেরিকা । প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পরমানু অস্ত্রের অধিকারী আমেরিকা (৬৬৫০ টি )
ভারত এবং পাকিস্তানের পরমানু অস্ত্র যথাক্রমে ১৩০ এবং ১৪০ টি করে । ইসরাইলের আছে ৮০ টি । আর ফ্রান্সের হাতে ৩০০ টি করে আছে । চীন এবং উত্তর কোরিয়ার আছে যথাক্রমে ২৭০ টি এবং ১৫ টি করে নিউক্লিয়ার উইপন্স ।
মহাকাশে রুশ স্যাটেলাইট কয়টা আছে সেটা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও ধরে নেয়া যায় এই সংখ্যা ১৪২ এর আশেপাশে হবে । ২০১৬ সালে রাশিয়া মহকাশে আরো ৭৩ টি মাইক্রোস্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ।
উইকিপিডিয়া ঘাটলেই দেখবেন ব্যালাস্টিক সাবমেরিন আছে এরকম ৬ টা এলিট দেশের তালিকায় ভারতের নাম আছে । জাপান শান্তিপ্রিয় দেশ হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই । সেই জাপান ১৬ টা সাবমেরিন তৈরি করেছে। ইন্ডিয়ার আছে ১৬ টা আর ইরানের আছে ৩১ টা করে সাবমেরিন ।
রাশিয়া নিজের সাবমেরিন নিজেই বানায় । এখন পর্যন্ত আছে ৬৩ টি। চীনের আছে ৬৯ টা। অবরোধের মধ্যে থেকে উত্তর কোরিয়া ১৫ টা পরমানু বোমা আর ৭৮ টা সাবমেরিনের অধিকারী ।
স্বাধীনতার ৪৭ বছরে এসে একটা দেশ পড়ে আছে ফুটবল আর ক্রিকেটের উন্মাদনা নিয়ে । ক্রিকেটে আমাদের অবস্থান ভালো হইলেও ফুটবলে আমাদের র্যাঙ্কিং হইলো ১৯৭ ।
৪৭ বছর বয়সী দেশটার একটা ক্যাম্পাসও সারাবিশ্বে ১০০ সিরিয়ালে ঢুকতে পারে নাই ।
লাল বাস আছে, শাটল আছে, প্যারিস রোড আছে, সংস্কৃতির রাজধানী আছে । সবই আছে । শুধু নাই সাইন্টিফিক মেধা । যে মেধা দিয়ে একটা দেশ এগিয়ে যেতে পারে ।
ভারতে মাহিন্দ্রা , মারুতি সুজুকির মতো ব্রান্ড তৈরি হইলেও আমাদের দেশে এক ""প্রগতি "" ছাড়া আমি কোন ব্রান্ড পাই নি । সেই প্রগতি আবার গাড়ি বানায় না । তারা গাড়ির পার্টস জোড়া লাগায় ।
অথচ দেশে আছে বুয়েট , রুয়েট , চুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠান । ঢাবির মতো প্রতিষ্ঠান আবিস্কারের জন্য বিখ্যাত নয় । তারা বিখ্যাত আন্দোলনের জন্য । যে কোন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঢাবির ছেলেরা গিয়ে রাস্তা ব্লক করে । সেটা নিউজ হবে । জাস্ট এইটুকু। অথচ সুযোগ দিলে এই ঢাবি বিশ্বের ১০০ ক্যাম্পাসের মধ্যে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে ।
আমাদের ছেলেরা বুলেট ট্রেনের নকশা করে কিনা জানি না । তবে জাপানের বুলেট ট্রেন নিয়ে একটা প্রতিবেদন দেখেছিলাম । সেখানে বলা হয়েছিল জাপানীরা যাতায়াত ব্যাবস্থাকে এতোটা সংক্ষিপ্ত করে এনেছে যে জাপানের যে কোন জায়গা থেকে টোকিওতে যেতে মাত্র ১ ঘন্টা সময় লাগে । সবই সুপার ফাস্ট বুলেট ট্রেনের বদৌলতে ।
আমরা ক্রিকেট খেলি, বিশ্বকাপের পতাকা বানাই, ইউটিউবার বানাই । র্যাংকিং নিয়ে ফাইট করি । দেশটাকে সুযোগ দেন । দেশটা এগিয়ে যাক । প্লিজ ...
যেন ২০ বছর পরে আমরা বলতে পারি , আমাদের আছে বঙ্গবন্ধু সিরিজের ৪ টা মিলিটারি স্যাটেলাইট । আছে ১০ টা সাবমেরিন । আমাদের পরমানু প্রকল্প আছে । আমরা কারো কাছে মাথা নত করতে আসি নাই ।
আমাদের ও স্বপ্ন দেশটাকে ওনেক ওপরে দেখার,,
অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার....!!

Total Pageviews