আপনি বেঁটে - এটা আপনার পছন্দ না। অনেক ব্যর্থ চেষ্টা করে দেখেছেন, যদি
ফুটখানেক লম্বা হওয়া যায়! তাহলে এই খাবারগুলো একবার চেষ্টা করে দেখুন না -
যদি লম্বা হওয়া যায়। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। আপনি লম্বা হওয়ার জন্য খাটতে
চান - আপনার প্রয়োজন খাবার ও কসরতের ওপর জোর দেওয়ার। মানুষের উচ্চতায়
বংশানুক্রম একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আপনার বাড়ন্ত বয়সে আপনি কিছু জিনিসই
করতে পারেন, যাতে আপনার পক্ষে সম্ভব সর্বোচ্চ উচ্চতা পেতে পারেন - তার
মধ্যে একটা হল সঠিক খাওয়া দাওয়া। লম্বা হওয়ার জন্য অনেকেই আছেন, শুধু
কসরতের ওপর জোর দেন - যেমন হাত/পা প্রসারিত করা (স্ট্রেচিং)বা লাফান দড়ি
(স্কিপিং)। কিন্তু কিছু অত্যাবশ্যক ভিটামিন ও মিনারেল আছে, যেগুলো শরীরের
দরকার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক উপায়ে লম্বা হতে গেলে।
প্রোটিন
ও পুষ্টির অভাবে, বেড়ে ওঠার হার স্থিমিত হয় এবং লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা কমে
যায়। তাই এই সব খাবারের সাথে সম্পূরক পুষ্টি যোগানকারি প্রোটিন ও
ভিটামিন,আপনার খাদ্য তালিকাতে যোগ করুন লম্বা হতে চাইলে।
যেমন ধরুন,
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে লম্বা হতে সাহায্য করে, কারণ এতে
ক্যালসিয়াম গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়, হাড়েড় গঠন সবল হয় ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি
বেড়ে ওঠে। নষ্ট হয়ে যাওয়া টিস্যু সারিয়ে, নতুন টিস্যুর গঠনে সাহায্য করে
প্রোটিনযুক্ত খাবার আপনাকের স্বাস্থ্যবান বানায় ও লম্বা হতেও সাহায্য করে।
ভিটামিন
ডি ও প্রোটিন ছাড়াও, ক্যালসিয়াম আরেকটা অতি প্রয়োজনীয় মিনারেল উচ্চতা
বাড়ানোর জন্য। ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার আপনার হাড়ের বেড়ে ওঠা ও শক্তিশালী
হতে সাহায্য করে থাকে। তাই শক্ত, সবল, স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম
সমৃদ্ধ খাবার, তার সাথে দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমন দুধ, পনীর (চিজ্), দই
ইত্যাদি। এখানে দেখুন এরকম কিছু অবিশ্বাস্য খাবার যা আপনার লম্বা হওয়ার
প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে। উচ্চতা বাড়াতে এগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই
রাখুন। এই খাবারগুলো ছাড়াও কিছু কসরত যেমন, লাফান দড়ি (স্কিপিং), সাঁতার
কাটা, হাত/পা প্রসারিত করা যাতে পেশী নমনীয় হয়, এরকম কিছু জিনিস যা লম্বা
হতে সাহায্য করবে।
মাছ
সামুদ্রিক
মাছ প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর। স্যালমন ও টুনার মত মাছে আছে প্রচুর
মাত্রায় ভিটামিন ডি ও প্রোটিন, যেটা আপনার উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিম
একটা দারুণ খাবার, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। সুস্থ্য শরীর ও শক্ত
হাড়ের জন্য খাবারে সেদ্ধ ডিম অবশ্যই রাখুন। সেদ্ধ কারণ এটা একটা ভাল উপায়
রান্না করার, যাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টিগুলো হারিয়ে যায় না।
সয়া
হাড়ে যাতে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সঠিক ভাবে প্রবেশ করে, তাই সয়াযুক্ত খাবার অবশ্য্ই খান। যেমন ধরুন, সয়াবীন ও সয়াযুক্ত দুধ।
তোফু
ক্যালসিয়াম
সমৃদ্ধ ও কম ক্যালোরিযুক্ত তোফু একটা অতি আবশ্যক খাবার নিজের খাদ্য
তালিকার জন্য। তোফুতে মেদ বা ফ্যাট কম, এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
কুমড়োর বিচি
কুমড়োর
বিচি শরীরের নষ্ট হয়ে যাওয়া টিস্যু সারায়, এবং নতুন টিস্যুর গঠনেও সাহায্য
করে। এছাড়া এই বিচিতে থাকা এ্যামিনো এ্যাসিড শরীরের বেড়ে ওঠায় খুব সাহায্য
করে থাকে।
গাজর
গাজরে
প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও এ আছে। ভিটামিন এ আপনার হাড়ের ক্যালসিয়ামের
মাত্রা ঠিক রাখে। এতে হাড় শক্ত ও সুস্হ্য্ থাকে। এছাড়াও ভিামিন এ আপনার
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও ত্বক উজ্জ্বল করে।
পালং শাক
এটা
আরেকটা দুর্ধর্ষ খাবার, যা আপনার উচ্চতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে। এই
সবুজ শাকটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি আছে। চেষ্টা করবেন
পালং শাক ও ব্রোকোলি আপনার নিয়মিত খাবারের অঙ্গ যেন হয়।
দুধ
বেড়ে
ওঠা ও হাড় শক্ত রাখতে, ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয় শরীরের জন্য। দুধ উচ্চতা
বর্ধক হিসেবে কাজ করে, এবং এতে উপস্থিত ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে
সা্হায্য করে থাকে। সুস্থ্য শরীরের জন্য, দিনে ২-৩ গ্লাস দুধ অবশ্যই খাবেন।
কলা
মজবুত
ও স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য, আপনার নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত। উচ্চতা বাড়াতে
সাহায্য করা ছাড়াও, কলা হজমে সাহায্য করে ও পেট পরিস্কারও করে।
মুরগির মাংস
অন্য
সব আমিষ খাবারের সাথে মুরগির একটা বড় পার্থক্য, যে এতে প্রোটিনের মাত্রা
সবচেয়ে বেশি। মুরগির মাংস খেলে শরীরের টিস্যু ও পেশীর গঠনে সাহায্য করে
প্রোটিন।
সবুজ বিনস্
হাড়ের
টিস্যুর গঠন, হাড়ের বেড়ে ওঠা ও শরীরের রক্ত চলাচলে উন্নতি করা - সবেতেই
মিনারেলের প্রয়োজন। আপনি যদি প্রাকৃতিক নিয়মে নিজের উচ্চতা বাড়াতে চান,
তাহলে প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ সবুজ বিনস্ অবশ্যই খান।
দই
যে
কোনও দুগ্ধ জাতীয় খাবার প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এছাড়া দই-এ
ভিটামিন এ, বি, ডি ও ই আছে, যা উচ্চতা বাড়াতে সাহা্য্য করে। হজমের জন্যেও
দই খুব ভাল।