৩-মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক ,৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র সহজে কেনার নিয়ম দেখে নিন
এই ভিডিওটি দেখুন সব জানতে পারবেন -
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে।
এতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকারি হওয়ায় এগুলোকে নিরাপদ
বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চার ধরনের সঞ্চয়পত্র হচ্ছে: পাঁচ বছর
মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন
মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র (তিন বছর মেয়াদি)। পাঁচ বছর মেয়াদি
পরিবার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদান্তে মুনাফার হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এই
সঞ্চয়পত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে নিট মুনাফা এক হাজার ৭০
টাকা পাওয়া যায়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র
কিনতে পারেন। তবে এই সঞ্চয়পত্র যুগ্ম নামে ক্রয় কিংবা প্রতিষ্ঠানের টাকা
খাটানো যাবে না। পরিবার সঞ্চয়পত্র নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছর কিংবা তার বেশি
বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী এবং ৬৫ বা তার বেশি বয়সের নারী ও পুরুষেরা
পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। এ ছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদান্তে মুনাফার হার ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এই
সঞ্চয়পত্রে এক লাখ টাকায় প্রতি তিন মাসে তিন হাজার ১৪৫ টাকা নিট মুনাফা
পাওয়া যায়। একই মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পেনশনার
সঞ্চয়পত্রের সমান অর্থাৎ ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। তবে এ ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে
প্রতি এক লাখ টাকায় মুনাফা পাওয়া যায় ৬২ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যদিকে তিন মাস
অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ
ক্ষেত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতি তিন মাসে তিন হাজার টাকা মুনাফা পাওয়া
যায়। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া অন্য সঞ্চয়পত্রগুলোর মুনাফার বিপরীতে উৎসে কর
কর্তন করা হয়। এ ছাড়া মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করা হলে মুনাফাও কিছুটা কম
পাওয়া যায়। এসব সঞ্চয়পত্র জাতীয় সঞ্চয়পত্র পরিদপ্তরের কার্যালয়, বাংলাদেশ
ব্যাংকের শাখা, তফসিলি ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে নির্ধারিত ফরম পূরণ এবং
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ক্রয় করা যায়।