প্রাইজ বন্ড সম্পর্কিত কিছু সাধারন জিজ্ঞাসা

প্রাইজ বন্ড সম্পর্কিত কিছু সাধারন জিজ্ঞাসা

প্রাইজ বন্ড কি ?

প্রাইজ বন্ড বাংলাদেশ সরকারের একটি সুদ বিহীন বিনিয়োগ পদ্ধতি। স্থানীয়ভাবে সম্পদ সংগ্রহ এবং জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়। প্রাইজ বন্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকার জনগণের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে এবং পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী বিজয়ী নম্বরের বন্ডের অনুকূলে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করে।

 Watch This Video 

প্রাইজ বন্ড ড্র এর পুরস্কার কয়টি ও কি কি ?

প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কার
  • (ক) ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার একটি
  • (খ) ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার একটি
  • (গ) ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার দু’টি
  • (ঘ) ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার দু’টি
  • (ঙ) ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার চল্লিশটি

কত দিন আগে কেনা প্রাইজ বন্ড ড্র এর আওতায় আসবে?

বন্ডে নির্দেশিত বিক্রয় তারিখ থেকে কমপক্ষে ২ (দুই) মাস পার হলে উক্ত বন্ড ড্র’র আওতায় আসবে। বন্ড এর গায়ে লিখা যে তারিখ সেই তারিখ থেকে ২ মাস অতিক্রম হলে ড্র এর আওতায় আসবে সেই বন্ড টি ।

প্রাইজ বণ্ডের মালিক কে ?

প্রাইজ বন্ড হস্তান্তরযোগ্য এবং স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে বন্ডের ধারক  বা বাহক ই বণ্ডের মালিক।

কিভাবে পুরস্কার দাবি করবেন?

জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। পুরষ্কারের দাবী ফরম পাওয়া যাবে যে কোন ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসে। এ ছাড়া অনলাইনে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ফরম এই দুই ওয়েবসাইটে।
পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরষ্কার দেয়া হবে তাই বিজয়ীর ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। পুরস্কারের টাকার ওপর কর দিতে হয় ২০ শতাংশ।
এখনে উল্লেখ্য যে, ড্র’র তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বৎসরের মধ্যে ঐ ড্র-তে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ দাবি করা না হলে ঐ পুরস্কার বাতিল হয়ে যায় যা কোনক্রমেই আর পরিশোধ করা হয় না।

প্রাইজ বন্ড কোথায় পাওয়া যায় ?

বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শাখা অফিস, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলির অনুমোদিত শাখাসমূহ, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো এবং দেশের সকল ডাকঘর থেকে প্রাইজ বন্ড ক্রয় করা যায়।

প্রাইজ বন্ড ড্র কখন হয় ?

সাধারণত, প্রতি তিন মাস অন্তর (৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়। তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজ বন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়।

প্রাইজ বন্ড চেক করার সবচেয়ে সহজ উপায়  কি?

প্রাইজ বন্ড চেক করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটি মান সম্মত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা। আমি একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রাইজ বন্ড চেকার অ্যাপ এর লিংক দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা চাইলে ব্যবহার করতে পারেনঃ
প্রাইজ বন্ড চেকার অ্যাপ

এই অ্যাপ টি ব্যবহারের কিছু সুবিধাঃ

প্রাইজ বন্ড চেকারের ওয়েব সাইট অথবা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি প্রাইজ বন্ড ডিজিটালি সংরক্ষণ করলে সর্বশেষ দুই বছরের ড্র’র রেজাল্টের সাথে আপনার বন্ডের নম্বর চেক করে ফলাফল জানিয়ে দিবে। আপনি ভাগ্যবান হলে, ড্র’র তারিখ থেকে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে পারবেন। শুধু পুরনো রেজাল্ট নয়, নতুন ড্র’র সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ভাবে আপনার বন্ডের সাথে ফলাফল চেক করে জানিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের এজেন্ট হিসেবে এই স্কিম পরিচালনা করে। প্রাইজ বন্ড সম্পর্কিত যেকোনো নিয়ম পরিবর্তন পরিবর্ধন করার সকল ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের।
প্রাইজ বন্ড সম্পর্কিত কিছু সাধারন জিজ্ঞাসা

 

Total Pageviews