আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই
দেশের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ
কোন না কোন ভাবে কৃষির সঙ্গে
জড়িত। কৃষকের ঘরে যেদিন নতুন ফসল
ওঠে সেদিন নতুন ফসলের ঘরে আসায়
কৃষকের মনে আনন্দের শেষ থাকে না।
কিন্তু এমন খুশীর দিনেও প্রতিটি
মুসলমান কৃষককে ইসলামী শরিয়ার
বিধান মতে অবশ্যই দুটি কাজ করতে
হবে। আল-কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট
দিক-নির্দেশনা রয়েছে।
সুরা আন’আমের ১৪১ নম্বর আয়াতটি
থেকে কৃষি-সংস্কৃতির দিবস উদযাপন
প্রসঙ্গে আল্লাহর নীতিমালা
সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এ
আয়াতে আল্লাহ বলছেন, তিনিই
শস্যক্ষেত্র ও সবজি বাগান সৃষ্টি
করেছেন, এবং সে সমস্ত (লতা
জাতীয়) গাছ যা মাচার উপর তুলে
দেয়া হয়, এবং যা মাচার উপর তোলা
হয় না এবং খেজুর গাছ ও বিভিন্ন
আকৃতি ও স্বাদের খাদ্যশস্য এবং
জলপাই জাতীয় ফল ও ডালিম সৃষ্টি
করেছেন- যা একে অন্যের সাদৃশ্যশীল
এবং সাদৃশ্যহীন।
এগুলোর ফল খাও, যখন তা খাওয়ার
উপযোগী হয় এবং ফসল তোলার দিনে
এগুলোর হক আদায় করো। কিন্তু অপব্যয়
করো না। নিশ্চয় তিনি
অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। এ
আয়াতে তিনটি শব্দ লক্ষণীয়, (ক) ফসল
তোলার দিন, (খ) হক আদায় করা, (গ)
অপচয় না করা। আল-কোরআনের প্রসিদ্ধ
ইংরেজি অনুবাদগুলোতে (যেমন
আল্লামা ইউসুফ আলী, মারমাডিউক
পিকথল) ফসল তোলার দিনের অনুবাদ
করা হয়েছে Harvest day. আয়াতটিতে
আমরা কয়েকটি বিষয় লক্ষ করলে
দেখতে পাই: ১. কৃষক যা কিছু চাষ করে
তা ফল বা ফসল যাই হোক, সেটা
কাটার দিন (ইয়াওমুল হাসাদ) এর হক
আদায় করতে হবে।
জেনে নিন, ফসলতোলার দিনে
মুসলমানদের ২টি কাজ অবশ্যই করতে
হবে
সেই হক হচ্ছে- এর একটি নির্দিষ্ট অংশ
হিসাব করে গরিব মানুষকে বিলিয়ে
দিতে হবে। ফসলের এই বাধ্যতামূলক
যাকাতকে বলা হয় ওশর। ২. যেদিন নতুন
ফসল কৃষকের ঘরে উঠবে সেদিন
স্বভাবতই কৃষকের সীমাহীন আনন্দ হবে।
এই আনন্দের ভাগিদার হবে গরিবরাও।
কেননা তারা ফসলের অধিকার
পেয়ে সন্তুষ্ট হবে, তাদের দারিদ্র্য
ঘুঁচে যাবে। কিন্তু আল্লাহ সাবধান
করে দিলেন এই আনন্দের আতিশয্যে
যেন কেউ অপচয় না করে।
Home »
Islamic Story amp; Hadis
» ফসল তোলার দিনে মুসলমানদের ২টি কাজ অবশ্যই করতে হবে