0
মন ভালো করার বা রাখার বিষয়টি একমাত্র আপনার উপরেই বেশি নির্ভরশীল। আপনি যদি চান তাহলে ৫ মিনিটে কেন সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি আপনার মনকে ভালো করে ফেলতে পারেন। এর জন্য শুধু প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস এবং মন থেকে চাওয়া।
এর জন্য যা যা করবেন :
- ভাববেন যে আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী একজন মানুষ।
- ভাববেন আপনার মন খারাপ হওয়ার তেমন কোনো কারণই ঘটে নি।
- সাইন্টিফিক ব্যাখ্যায় বিশ্বাসী হয়ে ভাববেন যে মন বলতে আসলে তেমন কিছুই নেই।
- যে কারণে মন খারাপ হয়েছে সেই বিষয়টি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
- অনেক বেশি অঅত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।
- সকালে উঠেই কিছু মস্তিষ্ক রিলেটেড ব্যায়াম করে ফেলুন যেগুলো আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে এবং অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণে আনে।
- হঠাৎ করেই মন খারাপ হয়ে থাকলে মন খারাপের বিষয়টি নিয়ে পজিটিভ চিন্তা করুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মাঝেই মন ভালো হয়ে গেছে।
এছাড়া অন্যান্য যা যা করতে পারেন :
১. কাউকে বলুন:
আপনার যখন খারাপ লাগবে, তখন আপনার কাছের একজন মানুষ বা আপনার বন্ধুকে ফোন করুন। পৃথিবীতে বন্ধুর তুলনায় আর কোন কিছু নেই, যে আপনাকে যেকোনো মুহূর্তে খুশি করতে পারে। যদি সে আপনার প্রকৃত বন্ধু হয়, তাহলে সে আপনাকে খুশি করার জন্য যেকোনো কিছু করতে পারবে, কারন সে জানে, সে যখন কষ্টে থাকবে আপনি তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন।
২. এগিয়ে যান:
হালকা ব্যায়াম, হাঁটা, নৃত্য করা, কিছু সময় দৌড়ানো ইত্যাদির সাহায্যে আপনার মনকে পরিষ্কার করুন এবং আপনার চিন্তা-ভাবনা রিফ্রেশ করুন। আপনি কিছু সময়ের মধ্যে ভালো অনুভব করবেন। ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে ইনডোরফিন নির্গত হয়। যার ফলে মানুষ ভালো অনুভব করে এবং ব্যায়ামের ফলে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পায়।
৩. বাহিরে যান:
মুক্ত বাতাস ও সূর্যের আলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অফিসে বসে বসে কাজ করে, তাদের তুলনায় যারা বাহিরে ঘুরে ঘুরে কাজ করে তাদের স্ট্রেস এর পরিমাণ কম। কিছু সময় সূর্যের আলোর নীচে থাকার ফলে আপনার শরীরে ভিটামিন –ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
৪. জোরে শ্বাস নিন:
প্রতিদিন কমপক্ষে একবার এক মিনিট দীর্ঘ শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে মন ভালো হবার সাথে সাথে স্বাস্থ্যের নানা প্রকার উপকার হয়। শরীরের ৭০ শতাংশ টক্সিন দূর করে, টেনশন ও স্ট্রেস দূর করে এবং হজমের সমস্যা দূর করে।
৫. আপনার পছন্দের খাবার খান এবং পানি পান করুন:
দুপুরের খাবারের পূর্বে যদি আপনার খারাপ অনুভূতি হয়, এর প্রধান কারন হতে পারে আপনি অনেক বেশি ক্ষুধার্ত। এসময় আপনার পছন্দমত খাবার খেয়ে নিন। এতে আপনার মনে অনেক আনন্দের সৃষ্টি হবে। ডিহাইড্রেশন এর প্রধান কারন হল পানির অভাব। যার ফলে অনেক সময় মেজাজের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করুন।
৬. এমন কোন কাজ করুন যা আপনার কাছে অনেক কিছু:
জীবনের অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এতে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা আপনাকে কষ্ট দিবে না।
৭. নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকুন:
আশেপাশের মানুষ যদি নেতিবাচক চিন্তাধারার হয়, তাহলে তা নিজের জীবনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। তাদের কারনে অনেক সময় নিজের পথ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই, আশেপাশে থেকে তাদের দূরে রাখাই ভালো। তখন আর মন খারাপ হবার কোন কারনও আপনি খুঁজে পাবেন না। ধন্যবাদ
Home »
প্রশ্ন ও উত্তর
» এমন কোনো পদ্ধতি আছে কি যা ৫ মিনিটে আমার মন ভালো করে দিতে পারে?