এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু Exam টিপস (না পড়লে অবশ্যই মিস)

সামনে এইচ এস সি পরীক্ষা। আমি নিজেই একজন পরীক্ষার্থী। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। পরীক্ষার সামনে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, শংকা কাজ করে। এটা নিয়েই আমার পোস্ট। এখানে সব বিষয়ে মোটামুটি ব্যঙ্গাত্মক ভাবে বুঝানো হয়েছে। আশা করি ভালো লাগবে। এটা একটাসংগ্রহ করা পোস্ট। পরীক্ষার যেহেতু দেরি নেই তাই শেয়ার করেই ফেললাম![image]*.প্রশ্ন পাওয়ার ধান্দায় থাইকো না,পাইলেও ওইটার ভরশায় থেকো না, বাশ কিন্তু একবার পিছনে অথবা সমনে দিয়া, ভিতরে একবার ঢুইক্কা গেলেরে বের করা অনেক জ্বালা।*.পরিক্ষায় দেখাদেখি করলে কোন গুনাহ নাই এবং বউ বাচ্চা কুৎসিত হবে নাকি সেটা পরীক্ষায় দেখা দেখির উপর না। Unity is strength.প্রথম প্রথম কোন দেখাদেখি নাই। নিজে যা পারো লিখে ফেলো। কিছুক্ষন পর পরীক্ষকরা এটা সেটানিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়। শুরু করে দাও কাম রাম লীলা। দেইখা ফাডায়া লা। তবে একটা জিনিষ। আমরা শিক্ষকদের যতটা বোকা ভাবি,তারা ততটা বোকা না। তারা সব দেখে। কে ঘাড় ঘুরাও না ঘুরাও,কিছুই তাদের চোখ এড়ায়না। তারা শুধু দেখে যে তুমি তাদের সম্মান দিয়ে দেখাদেখি করছো,নাকি গুন্ডার মত ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ মুডে দেখাদেখি করছো। ইউ হেব টু শো ছাম রেছপেক্টমাদাপাকা। টিচারের চোখে চোখ পরলেই দেখাদেখি বন্ধ করে সুবোধ বালক হয়ে যাবা। অকা?*.নিজে উত্তর না পারলে, দেখা দেখি করতে না পারলে বলদের মতন সাদা খাতা জমা না দিয়ে গরুর রচনা হলেওখাতায় কালি মাইখা আসবা।*.মাজার টাজারে যাওয়া বাদ দাও। মৃত ব্যাক্তির কোন ক্ষমতা নাই। প্রভুর কাছে যা ডিমান্ড আছে করে ফেল।*.লিখবার সময় কিছু ভুলে গেলে ‘রাব্বি যিদনি ইলমা’ বারবার জপবা। মনে হো যায়েগা*.মেইক ফ্রেন্ডস। পাশের সিটের গুলারে বাপের সম্মান দাও (আব্বা না ডাকলেও চলবে)। পটাইতে শিখো ভ্রাতা,কাজে লাগবে।সবগুলা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কে চিনে কারে? পাসায় লাত্থি মাইরা ড্রেইনে ফালায়া দিও,নইলে খুন কইরা ফেলাও, কোন সমস্যা নাই। তবেতার আগ পর্যন্ত…বাপের সম্মান*.সুন্দরী মেয়ে অথবা হেন্ডসাম পোলা দের দিকে তাকানো বন্ধ করো। এইটা বিয়া করার মন্ডব না,জান বাচানোর ময়দান। আগে বাঁচো। গেবনে বাস স্টপের বাসের মতন বহুত সুন্দর পোলা,সুন্দরী মাইয়াআসবে যাবে।*.টেনশন কইরা কোন লাভ নাই।সো টেনশন করোনা’,এই কথাটা আমি জীবনেও কাউকে বলবোনা। কোন বাপেরবেটার সাধ্য নাই যে টেনশন দূর কর্তে পারবে। পরীক্ষার সময় টেনশন হবেই।*.পরিক্ষা যেমনই হোক,বাসায় এসে বলবা ‘ভালো হয়েছে ‘ । কারন ভুলেও যদি বলে ফেলো যে ভালো হয়নাই,ফ্যামিলি থেকে তোমাকে যে পরিমানে প্রেশার দেওয়া হবে,তুমিমুইত্তা দিবা। আমাদের অভিভাবক গুলা মানুষ হইলোনা।*.জ্বর টর বাধিওনা। এই এক মাস দুধ,ডিম,কলা ইত্যাদি খাও।পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তুমি মইরা গেলেও সমস্যা নাই। .আন্টি তোমাকে পরীক্ষার আগে ডিম খেয়ে যেতে বাধা দিতে পারে। ইটস বুলশিট। আমি নিজে ডিম খেয়ে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। A+ পেয়েছি সবগুলায়। কাজেই ডিম খেতে কেউ করিস নে ভয়,আড়ালে তার A+ হাসে।*.পরীক্ষা দিয়া আইসা উত্তর মিলানোনিয়া বেশীক্ষন তাং ফাং না কইরা ঘুম দিবা, কারন খাতায় যেটা আইক্ষা আইস অইটাই পাইবা তাং ফাং করলে খাতায় লেখা সুদ্ধ হইবো না। না ঘুমাইলে মাথার ভিতরে সানি লিওন, থুক্কু অনেক চিন্তা ঘুরবে আর পড়তে বসলে মাথা ব্যাথা করবে,পরীক্ষার হলে কি জাদু দেখলা নাকি করলা ইত্যাদি নিয়া।*.আগেই রাইত্তে ফোন এ রোমান্স করা হারাম,তাইলে পরীক্ষায় অইগুলাই মনে পড়ে। পড়ার সময় ফোন বন্ধ। জলদি ঘুমাইয়া যাবা নইলে পরীক্ষার হলে দন্ডের মাথা, আই মিন মাথা ব্যাথা করবে।*.পরীক্ষার মাসে বউ, মাইয়া,জামাই,পোলা, বিএফ জিএফ এগুলা ভুইল্লা যাও নইলে ফেল করলে এগুলা কিছু পাবা না কিন্তু ভালো কইরা পাশ করলে তাদের বাপ মাতোমার হাতে পায়ে ধরবে তোমার লগে বিয়া দেওয়ার লাইগা।*.বাবা -মার অথবা আপন জনের দোয়া নিতে ভুইলো না, সন্তানের জন্যে বাবা-মার দোয়া আর বাবা-মার জন্যেসন্তানেয় দোয়া প্রভুর কাছে আগে কবুল হয়। (সকিনার, জরিনার ভালোবাসা নিও না আবারর)*.পরীক্ষার হলে যা যা নেওয়া লাগে, কলমের কালি আর সব কিছু ঠিক ঠাক আসে নাকি রাতেই গুছায়ে রাইখো নইলে সকালে তারা হুরায় কিছু না কিছু বাদ পরে যেতে পারে।*.সালামি তুলতে ভুইলো না।অই টাকা দিয়া পরীক্ষার পরে বউ জি.এফ,বি.এফ,জামাই অথবা বন্ধুরা ঘুরতে যাইতে পারবা।সবাই ভালো থাকবেন এইচ এস সি যারা পরীক্ষার্থী আছে সবার জন্য দোয়া করবেন। আমার জন্য তো করবেনই।সবাই ভালো থাকুন। পোস্টটা শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন।

Total Pageviews