Home »
যৌন বিষয়ক টিপস
» নারীদের যোনির প্রদাহের (Vaginitis) কারণ, লক্ষণ এবং চিকিত্সা
নারীদের যোনির প্রদাহের (Vaginitis) কারণ, লক্ষণ এবং চিকিত্সা
নারীদের যোনির প্রদাহ (Vaginitis) একটিঅতিশয় যন্ত্রনাদায়ক সমস্যা। এই ধরনের সমস্যায় নারীদের যোনি লালবর্ণ, উষ্ণ, স্ফীত এবং বেদনাযুক্ত হয়ে পুঁজ নিঃসৃত হয় এবং প্রস্রাব করার সময় যন্ত্রণা অনুভব হয় তার সাথে যোনিতে চুলকানি দেখা দেয়। যোনিতে বিভিন্ন প্রকার সমস্যাহয়ে থাকে যেমন - যোনি প্রদাহ, যোনির আক্ষেপ, অবরুদ্ধ যোনি, যোনি ভ্রংশ, যোনির চুলকানি ইত্যাদি। বস্তুত এটিএক প্রকার যন্ত্রণাদায়ক বিশ্রী প্রকারের রোগ। তবে যথাযথ হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় এই সংক্রান্ত সমস্যাগুলি অল্প দিনেই নির্মূল হয়ে যায়।নারীদের যোনির প্রদাহের কারণসমূহ :-বিভিন্ন কারণে নারীদের যোনির প্রদাহ রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -*.প্রমেহ রোগের পুঁজ সংস্পর্শে অথবা অতিরিক্ত সংগম, বলত্কার, প্রসব কালে আঘাত, রক্ত দুষ্টি, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি কারণে যোনি প্রদাহ দেখা দিতে পারে।*.ঋতু স্রাবের সময় নোংরা কাপড় চোপড় ব্যবহার করলে নানা প্রকার জীবাণু ইনফেকশন হতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই জাতীয় রোগ গনোরিয়া বা সিফিলিসের কারণে হয়ে থাকে।*.জরায়ু বা ডিম্বনালীর প্রদাহ থেকে ইহা হতে পারে।*.জরায়ু বা ডিম্বনালীর টিউবারকুলারইনফেকশন থেকেও হতে পারে।*.এছাড়া যোনিতে Monilialবা ট্রাইকোমনা নামক জীবাণুর জন্য হতে পারে। ট্রাইকোমনা জাতীয় জীবাণুগুলো বাইরের দিক থেকে অনেক বেশি মাত্রায় যোনিতে আক্রমন করে কিন্তু একমাত্র যোনি ছাড়া ভেতরের দিকে বেশি দূর গিয়ে ইহারা খুব কাজ করতে পারে না। এই জাতীয় জীবাণু যখনযোনির ভিতর নাড়াচাড়া করে তখন যোনিতে চুলকানি সৃষ্টি হয়।*.কখনো কখনো Monilial নামক এক প্রকার জীবানু যোনির মধ্যে প্রবেশ করে যোনি প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। ইহারা ফাঙ্গাস জাতীয় বস্তু। যদি যোনিতে বেশি এসিড হয় তবে ইহারা জন্মাতে পারে, যোনি যদি এসিটিক না হয় তবে ইহারা জন্মিতে পারে না। এই জাতীয় জীবাণুর ইনফেকশন শুধু যোনিতে নয় অন্যান্য স্থানেও হতে পারে যেমন - বগলে, নখের খাজে, নিতম্বের খাজেওহতে পারে।নারীদের যোনির প্রদাহের লক্ষণসমূহ:-এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -*.যোনি প্রদেশ স্ফীত হয়ে উঠে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চুলকানি দেখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষত বা ঘায়ের মত সৃষ্টি হয়।*.ইহার ফলেরোগিনীর দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং জ্বর আসে, শীত শীত ভাব দেখা যায় আবার কখনো যোনিতে ক্ষত হতে পারে।*.পেটে, পিঠে এবং কমতে বেদনার সৃষ্টিহতে পারে।*.মাথার যন্ত্রণা, মাথা ধরা, গা মেজ মেজ করা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়,এর ফলে নারীদের ঋতু স্রাবের গোলযোগ দেখা দিতে পারে। ঋতু স্রাবের পরিমান বেশি, দীর্ঘস্থায়ী এবংফোটা ফোটাহতে পারে, যোনি প্রদেশে ভয়ানক বেদনা এবং জ্বালা যন্ত্রণা দেখা দেয়, যোনিতে পুজও হতে পারে।*.কখনো কখনো ঋতু স্রাবের সঙ্গে কালো বর্ণের থানা থানা রক্তের টুকরো বের হতে পারে, অনেক সময় ঋতু স্রাব বন্ধ হলে হলদে স্রাব তারপর শ্বেত প্রদর হতে পারে স্রাব হতে পারে।*.এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত রোগিনীর মধ্যে রক্তহীনতার ভাব দেখা দিতে পারে। রোগিনী খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়, কোন কাজ কর্মে মন বসে না, সর্বদাই একটা বিরক্ত ভাব দেখা যায়।আবার যদি থেকে যে রস বের হয় তা ক্ষতকারক এবং চুলকানির সৃষ্টি করে।ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে, যোনি ফুলে যায়, মোটা হয়, লাল হয় এবং কম বেশি বেদনাও হতেপারে, ছোট ছোট লাল পেপিলা দেখা যায় এবং প্রচুর চুলকায় সাথে সাথে এর থেকে রক্তপাতও হতে পারে। যোনি থেকে যে কষ নির্গত হয় তা সবুজাভ হলদে রঙের হয় এবং তাতে দুর্গন্ধ হয় এবং ফেনা ধরনের হতে পারে। যোনির fluid অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করলে ইহা ধরা পড়ে। যে সকল রোগিনী শ্বেত প্রদর রোগে ভুগে তাদের নিঃসৃত পদার্থ অবশ্যই অনুবীক্ষণ যন্ত্রের পরীক্ষার প্রয়োজন তবেই ধরা পড়বে ইহা Monilial নাকি ট্রাইকোমনা নামক জীবাণুর ইনফেকশন। অনেক সময় আবার ক্লিনিকাল লক্ষণ থেকে আসল রোগ ধরতে পারা যায় না, এই জন্য অন্যান্য কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।এন্টিবায়োটিক ঔষধ দিয়ে এই সকল জীবাণুদের ক্রিয়া ক্ষণকালের জন্য কমানো যায় বটে কিন্তু ধ্বংস করা যায়না। কারণ Parasite জাতীয় জীবাণু ধ্বংস করা বেশ কঠিন বিষয়। তাই এই সকল সমস্যায় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চিকিত্সা হলো হোমিওপ্যাথি। রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে যথাযথ চিকিত্সা নিলে এই রোগ সমূলে নির্মূল হয়ে রোগিনী পুরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন।