Home »
যৌন বিষয়ক টিপস
» কনডম ব্যবহারের এই ১০ টি ভুল আপনি করেন না তো?
কনডম ব্যবহারের এই ১০ টি ভুল আপনি করেন না তো?
স্বাস্থ্যগত ও গর্ভসঞ্চর সমস্যা এড়াতে কনডমের সঠিক ব্যবহার জানার প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কনডমের সঠিক ও ভুল পদ্ধতিতেব্যবহারের নানান তথ্য প্রদান করেছেন। আমেরিকার সেন্টরস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানান, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে কনডমের ভুল ব্যবহারের হার ১৮ শতাংশ। অথচ কনডম অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এড়াতে ৯৮ শতাংশ ভূমিকা রাখে।undefinedundefinedundefinedফক্স খবরের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা কনডম ব্যবহারের১০টি ভুল তুলে ধরেছেন। জেনেনিন সে ভুল গুলোর সম্পর্কে।০১। কনডম পড়তে দেরি করাঃঅনেক পুরুষ মনে করেন, বীর্যপাতের পূর্বে কনডম পড়লে চলে। নর্থওয়েস্টর্ন ইউনিভার্সিটির গাইনোকলজির গবেষক লরেন স্ট্রেইচার বলেন, বীর্যপাত নাহলেও শুরুতে কনডম ব্যবহার ব্যতীত গর্ভধারণ অথবা যৌন সংক্রমণ রোগ থেকে নিরাপদ নন। তাই এটি মিলনের শুরুতেইব্যবহার করার প্রয়োজন।০২। কনডম পরীক্ষাঃ৭৫ শতাংশপুরুষ এবং ৮৩ শতাংশ নারী কনডম ব্যবহারের আগে এটি ঠিকরয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে না। কনডম একটু বেশি চটচটে বা কুঁচকানো বা ভাঁজ খেয়ে রয়েছে কিনা তা ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হয়।null৩. ভুল পদ্ধতিতে ব্যবহার :কনডম নিজেকেই পরতে হয় এবং তা করতে বেশ সহজ মন হয়। কিন্তু এ সাধারণ কাজেও যথেষ্ট ভুলের হার লক্ষ করা গেছে। কনডমের প্যাকেটে গায়ে পরিধানের সঠিক পদ্ধতি লেখা থাকে। যাদের বুঝতে সমস্যা তারাও ধরতে পারবেন কিভাবে এটি পরতে হবে। মনে রাখবেন, কনডমের পুরোটুকু পুরুষাঙ্গ বরাবর নামিয়ে নিন। আর পরার আগে আঙুলের চাপে কনডমের অগ্রভাগের বাতাস বের করে নিতে হবে।৪. একসাথে দুটো কনডমের ব্যবহার: অংকের হিসাব খুব সাধারণ। একটি কনডম গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কাজেই একসঙ্গে দুটো কনডম ব্যবহার করলে তো সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত। অথচ দুটো কনডম ব্যবহারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বোকামি হয় না। এতে উপরের কনডমটি যেকোনো সময় পিছলে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কাজেই এটি মারাত্মক বিপদে ফেলে দিতে পারে আপনার সঙ্গিনীকে।৫. অত দ্রুত খুলে ফেলা :কনডম বেশি দেরিতে পরা যেমন বিপদজনক, তেমনিভাবে ঝুঁকিতে ফেলবে বেশি আগে খুলে ফেলা হলেও। ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, ১৩.৬ থেকে ৪৪.৭ শতাংশ মানুষ যৌনকার্য শেষ হওয়ার আগেই কনডম খুলে ফেলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কনডম খুলে ফেলার পর বীর্যপাতের ঘটনা ঘটে।৬. ভুল আকার বেছে নেওয়া :সকলের জন্য একই আকারে' পদ্ধতিতে কনডম তৈরি করা হয় না। পুরুষাঙ্গে আকারে ভিন্নতা রয়েছে। আকার বুঝে কনডম ব্যবহার করার প্রয়োজন। কনডম ছোট হলে তা ফেটে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আবার বড় হলে তা সঙ্গম চলাকালীন সময় বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কাজেই আপনার পুরুষাঙ্গের আকার বুঝে কনডম কিনতে হবে।৭. ওরাল সেক্সকে নিরাপদ মনে করা :কনডমের বিষয়ে সচেতন থাকার পরও ওরাল সেক্সের কারণে যৌনসংক্রমণ ঘটে যেতে পারে। মুখের লালায় ব্যাকটেরিয়া থাকে যা দেহের স্পর্শকাতর অংশে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই নগ্ন স্পর্শকাতর ত্বকে ওরাল সেক্স এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এ ক্ষেত্রেও কনডম নিরাপত্তা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ।আরো পড়ুন..৮. ভুল লুব্রিকেন্ট বেছে নেওয়া :কনডমকে পিচ্ছিল এবং আরামদায়ক করার অন্যতম উপাদান হলো লুব্রিকেন্ট। এ কাজে ভুল লুব্রিকেন্ট ব্যবহারে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। উন্নতমানের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। কারণ যেকোনো তৈলাক্ত পদার্থ কনডমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।৯. ভুল উপায়ে সংরক্ষণ :মানিব্যাগে কিংবা প্যান্টের পকেটে কনডম রেখে দেওয়া ঠিক নয়। এতে কনডমের রাবারের দেহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ব্যবহারের সময় ফেটেযাওয়ার ঝুঁকি থাকে। উন্নতমানের কনডমও চাপের মধ্যে রেখে দিলে তা নষ্ট হবে বলে ধরেই নেওয়া যায়।১০. একেবারেই ব্যবহার না করা :অনেকেই কনডম ব্যবহার মোটেও পছন্দ করেন না। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেন, যার সঙ্গেই সংগম করেন না কেন, একমাত্র কনডমই নিরাপদ ব্যবস্থা।