Home »
Islamic Story amp; Hadis
» কুফরী কি? কোন কাজ মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়? কুফরীর প্রকারভেদ সম্পর্কে
জানি আমরা।
কুফরী কি? কোন কাজ মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়? কুফরীর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানি আমরা।
আসসালামুআলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আল্লাহর রহমতে আমি ভাল আছি।কুফরীর সংজ্ঞা :কুফরীর আভিধানিক অর্থ আবৃত করা ও গোপন করা। আর শরীয়তেরপরিভাষায় ঈমানের বিপরীত অবস্থানকেকুফরী বলা হয়।কেননা কুফরীহচ্ছে আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান না রাখা, চাই তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্নকরা হোক কিংবা না হোক। বরং তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার সংশয় ওসন্দেহ, উপেক্ষা কিংবা ঈর্ষা, অহংকারকিংবা রাসূলের অনুসরণের প্রতিবন্ধককোন প্রবৃত্তির অনুসরণ কুফরীর হুকুমে কোন পরিবর্তন আনয়নকরবেনা। যদিও তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী বড় কাফির হিসাবেবিবেচিত। অনুরূপভাবে ঐ অস্বীকারকারী ও বড় কাফির, যে অন্তরেরাসূলগণের সত্যতার প্রতি বিশ্বাস রাখা সত্ত্বেও হিংসাবশতঃ মিথ্যা সাব্যস্তকরে থাকে। [মাজমু আল ফাতওয়া, ৩৩৫]কুফরীর প্রকারভেদ :কুফুরী দুই প্রকার ।প্রথম প্রকার : বড় কুফরীএ প্রকারের কুফুরী মুসলমান ব্যক্তিকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বেরকরে দেয়। এটি আবার পাঁচ ভাগে বিভক্ত:১* মিথ্যা প্রতিপন্ন করার কুফরী:এর দলীল আল্লাহর বাণী:ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﻇْﻠَﻢُ ﻣِﻤَّﻦِ ﺍﻓْﺘَﺮَﻯ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ﺃَﻭْ ﻛَﺬَّﺏَ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻟَﻤَّﺎ ﺟَﺎﺀَﻩُ ﺃَﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﻣَﺜْﻮًﻯ ﻟِﻠْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ ﴿৬৮ ﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻌﻨﻜﺒﻮﺕ‘যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা রচনাকরে, অথবা তার কাছে সত্য আসারপর তাকে অস্বীকার করে, তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে? জাহান্নামইকি এইসব কাফিরের আবাস নয়? [সূরা আনকাবুত, ৬৮]২* মনে বিশ্বাস রেখেও অস্বীকার অহংকারশতঃ কুফরী:এর দলীল আল্লাহর বাণী:ﻭَﺇِﺫْ ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ ﺍﺳْﺠُﺪُﻭﺍ ﻟِﺂَﺩَﻡَ ﻓَﺴَﺠَﺪُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﺇِﺑْﻠِﻴﺲَ ﺃَﺑَﻰ ﻭَﺍﺳْﺘَﻜْﺒَﺮَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ ﴿ ৩৪ ﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ‘যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, আদমকে সেজদা কর, তখনইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল, সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফিরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। [সূরা বাকারা ২:৩৪]৩* সংশয়জনিত কুফুরী:একে ধারণাজনিত কুফরী ও বলা হয়। এর দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী:ﻭَﺩَﺧَﻞَ ﺟَﻨَّﺘَﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻇَﺎﻟِﻢٌ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻪِ ﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﺃَﻇُﻦُّ ﺃَﻥْ ﺗَﺒِﻴﺪَ ﻫَﺬِﻩِ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﴿ ৩৫ ﴾ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻇُﻦُّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﻗَﺎﺋِﻤَﺔً ﻭَﻟَﺌِﻦْ ﺭُﺩِﺩْﺕُﺇِﻟَﻰ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺄَﺟِﺪَﻥَّ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻣُﻨْﻘَﻠَﺒًﺎ ﴿ ৩৬﴾ ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺻَﺎﺣِﺒُﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻳُﺤَﺎﻭِﺭُﻩُ ﺃَﻛَﻔَﺮْﺕَ ﺑِﺎﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻚَ ﻣِﻦْ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّﻣِﻦْ ﻧُﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﺳَﻮَّﺍﻙَ ﺭَﺟُﻠًﺎ ﴿ ৩৭ ﴾ ﻟَﻜِﻨَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﻟَﺎ ﺃُﺷْﺮِﻙُ ﺑِﺮَﺑِّﻲ ﺃَﺣَﺪًﺍ ﴿ ৩৮ ﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻜﻬﻒ‘নিজের প্রতি জুলুম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল। সে বলল,আমার মনে হয়না যে, এ বাগান কখনও ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আমি মনেকরিনা যে, কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি আমার পালনকর্তার কাছেআমাকে পৌঁছে দেয়া হয়ই, তবে তো আমি নিশ্চয়ই এর চেয়ে উৎকৃষ্টস্থান পাব। তদুত্তরে তার সাথী তাকে বলল, তুমি কি তাকে অস্বীকারকরছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটিথেকে, অতঃপর পূর্ণাঙ্গকরেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে? কিন্তু আল্লাহই আমার পালনকর্তা এবংআমি কাউকে আমার পালনকর্তার সাথে শরীক করিনা। [সূরা কাহাফ,৩৫-৩৮]৪* উপেক্ষা প্রদর্শন ও মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কুফরী:এর দলীল আল্লাহর বাণী:ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻋَﻤَّﺎ ﺃُﻧْﺬِﺭُﻭﺍ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ ﴿ ৩﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻷﺣﻘﺎﻑ‘আর কাফিররা যে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ককরা হয়েছে, তা থেকে মুখফিরিয়ে নেয়। [সূরা আহক্বাফ,০৩]৫* নিফাকী ও কপটতার কুফরী:এর দলীল হল:ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺛُﻢَّ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻓَﻄُﺒِﻊَ ﻋَﻠَﻰ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻓَﻬُﻢْ ﻟَﺎ ﻳَﻔْﻘَﻬُﻮﻥَ ﴿ ৩﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻤﻨﺎﻓﻘﻮﻥএটা এজন্যে যে, তারা ঈমান আনবার পর কুফরী করেছে। ফলে তাদেরঅন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। অতএব তারা বুঝে না। [সূরামুনাফিকুন, ০৩]দ্বিতীয় প্রকার: ছোট কুফরীএ প্রকারের কুফরী মুসলিম মিল্লাত থেকে বহিস্কৃত করেনা। একে‘আমলী কুফরী’ ও বলা হয়। ছোট কুফরী দ্বারা সে সব গোনাহেরকাজকেই বুঝানো হয়েছে, কুরআন ও সুন্নায় যাকে কুফরী নামেঅভিহিত করা হয়েছে। এ ধরনের কুফুরী বড় কুফরীর সমপর্যায়েরনামে। যেমন আল্লাহর নিয়ামতের কুফরী করা যা নিম্নোক্ত আয়াতেউল্লেখ করা হয়েছে।ﻭَﺿَﺮَﺏَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺜَﻠًﺎ ﻗَﺮْﻳَﺔً ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺁَﻣِﻨَﺔً ﻣُﻄْﻤَﺌِﻨَّﺔً ﻳَﺄْﺗِﻴﻬَﺎ ﺭِﺯْﻗُﻬَﺎ ﺭَﻏَﺪًﺍ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﻣَﻜَﺎﻥٍ ﻓَﻜَﻔَﺮَﺕْ ﺑِﺄَﻧْﻌُﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺄَﺫَﺍﻗَﻬَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُﻟِﺒَﺎﺱَ ﺍﻟْﺠُﻮﻉِ ﻭَﺍﻟْﺨَﻮْﻑِ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ ﴿ ১১২﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺤﻞ‘আল্লাহ দৃষ্টান্ত দিয়েছেন এমন এক জনপদের, যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত।তথায় প্রত্যেক স্থান হতে আসত প্রচুর রিযিক ও জীবিকা। অতঃপর সেজনপদের লোকেরা আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞা প্রকাশকরল।’ [সূরা নাহল, ১১২]এক মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়াও এ ধরনেরকুফরীর অন্তর্গত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:ﺳِﺒَﺎﺏُ ﺍﻟﻤُﺴْﻠﻢِ ﻓُﺴُﻮْﻕٌ ﻭَﻗِﺘَﺎﻟُﻪُ ﻛُﻔْﺮٌ .‘কোন মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী কাজ। আর তার সাথে যুদ্ধ করাকুফুরী। [বুখারী , মুসলিম]তিনি আরো বলেন:ﻟَﺎ ﺗَﺮْﺟِﻌُﻮْﺍ ﺑَﻌْﺪِﻱْ ﻛُﻔَّﺎﺭﺍً , ﻳَﻀْﺮِﺏُ ﺑَﻌْﻀُﻜُﻢْ ﺭِﻗَﺎﺏَ ﺑَﻌْﺾٍ .‘আমার পর তোমরা পুনরায় কাফির হয়ে যেওনা, যাতে তোমরা একেঅপরের গর্দান উড়িয়ে দেবে। [বুখারী,মুসলিম]গায়রুল্লাহর নামে কসম ও এ কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেন:ﻣَﻦْ ﺣَﻠَﻒَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻛَﻔَﺮَ ﺃﻭْ ﺃﺷْﺮَﻙَ .‘যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর নামে কসম করল। সে কুফরী কিংবা শিরক করল।[তিরমিযী, হাকেম]কবীরা গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ মুমিন হিসাবে গণ্যকরেছেন। তিনি বলেন:ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢُ ﺍﻟْﻘِﺼَﺎﺹُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘَﺘْﻠَﻰ ﴿ ১৭৮﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ‘হে ঈমানদার গণ! তোমাদের উপর নিহতদের ব্যাপারে ক্বিসাস গ্রহণ করাফরয করা হয়েছে।’ [সূরা বাকারা, ১৭৮]এখানে হত্যাকারীকে ঈমানদারদের দল থেকে বের করে দেয়া হয়নি।বরং তাকে ক্বিসাসের অলী তথা ক্বিসাসগ্রহণকারীর ভাই হিসাবে গণ্য করাহয়েছে। আল্লাহ বলেন:…. ﻓَﻤَﻦْ ﻋُﻔِﻲَ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﺧِﻴﻪِ ﺷَﻲْﺀٌ ﻓَﺎﺗِّﺒَﺎﻉٌ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ ﻭَﺃَﺩَﺍﺀٌ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺑِﺈِﺣْﺴَﺎﻥٍ …. ﴿ ১৭৮ ﴾ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ‘অত:পর হত্যাকারীকে তার(নিহত) ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কিছুটা মাফকরে দেয়া হয়, তবে (নিহতের ওয়ারিসগণ) প্রচলিত নিয়মের অনুসরণকরবে এবং (হত্যাকারী) উত্তমভাবে তাকে তা প্রদান করবে। ’ [সূরা বাকারা,১৭৮]নিঃসন্দেহে ভাইদ্বারা এখানে দ্বীনীভাই বুঝানো উদ্দেশ্য। অন্যআয়াতে আল্লাহ বলেন:ﻭَﺇِﻥْ ﻃَﺎﺋِﻔَﺘَﺎﻥِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﺍﻗْﺘَﺘَﻠُﻮﺍ ﻓَﺄَﺻْﻠِﺤُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﴿ ৯ ﴾‘মুমিনদরে দুই দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যেমীমাংসা করে দাও। [সূরা হুজরাত, ০৯]এর পরের আয়াতে আল্লাহ বলেন:ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺇِﺧْﻮَﺓٌ ﻓَﺄَﺻْﻠِﺤُﻮﺍ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﺧَﻮَﻳْﻜُﻢْ ﴿ ১০ ﴾‘মুমিনরা তো পরস্পর ভাইÑভাই, অতএব তোমরা তোমাদের দু‘ভাইয়েরমধ্যে মীমাংসা কর’। [সূরা হুজরাত, ১০]সার কথা:১# বড় কুফরী ইসলামী মিল্লাত থেকে বের করে দেয় এবংআমলসমূহ নষ্ট করে দেয়। পক্ষান্তরে ছোট কুফরী ইসলামীমিল্লাত থেকে বের করেনা এবং আমল ও নষ্ট করে না। তবে তাতদনুযায়ী আমলে ত্রুটি সৃষ্টি করে এবং লিপ্ত ব্যক্তিকে শাস্তিরমুখোমুখি করে।২# বড় কুফরীতে লিপ্ত ব্যক্তি চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামে অবস্থানকরবে। কিন্তু ছোট কুফরীর কাজে লিপ্তব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশকরলেও তাতে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থানকরবেনা। বরং কখনো আল্লাহতাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। ফলে সে মোটেই জাহান্নামেপ্রবেশ করবেনা।৩# বড় কুফরীতে লিপ্ত হলে ব্যক্তির জান মাল মুসলমানদের জন্য বৈধহয়ে যায়। অথচ ছোট কুফরীতে লিপ্ত হলে জান মাল বৈধ হয়না।৪# বড় কুফরীর ফলে মুমিন ও অত্র কুফরীতে লিপ্ত ব্যক্তির মধ্যেপ্রকৃত শত্রুতা সৃষ্টি হওয়া অপরিহার্য হয়ে যায়। তাই সে ব্যাক্তি যতনিকটাত্বীয়ই হোক না কেন, তাকে ভালবাসা ও তার সাথে বন্ধত্ব স্থাপনকরা মুমিনদের জন্য কখনোই বৈধ নয়। পক্ষান্তরে ছোট কুফরীতেলিপ্ত ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে কোন বাধা নেই। বরং তার মধ্যেযতটুকু ঈমান রয়েছে সে পরিমান তাকে ভালবাসা ও তার সাথে বন্ধুত্ব করাউচিত এবং যতটুকু নাফরমানী তার মধ্যেআছে, তার প্রতি ততটুকু পরিমান ঘৃণাও বিদ্বেষভাব পোষণ করা যেতে পারে।