Home »
যৌন বিষয়ক টিপস
» পুরুষাঙ্গ বড় হলে যৌন মিলণের ক্ষেত্রে করণীয় কি?
পুরুষাঙ্গ বড় হলে যৌন মিলণের ক্ষেত্রে করণীয় কি?
প্রশ্ন : আমার ৯ দিন আগে বিয়েহয়েছে। বাট আমার স্বামী এরপুরুষাঙ্গ বড় আকৃতির। আমার মনেহয় পুরুষাঙ্গের আকৃতি ৭-৮ ইঞ্চিহবে। এতো বড় পুরুষাঙ্গ আমি নিতেপারতেছি না।তা সত্ত্বেও আমারস্বামী জোড়াজুড়ি করে কয়েকমিলন করেছে। মিলনের সময় আমারকোনো হুঁশ ছিলনা। আর এটাকাউকে বলতেও পারছিনা। এখনআমি কি করতে পারি। একটা উপায়বলে দিলে ধন্য হবো।প্রথমে মিলনের ক্ষেত্রে সকলপুরুষেরই খেয়াল রাখা উচিৎ যে,রতিক্রিয়া যেন তাঁর সঙ্গিনী কষ্টনা পায়। এর জন্য পুরুষদের কর্তব্যহচ্ছে খুব সতর্কতার সাথে পুরুষাঙ্গসঞ্চালন করা। পুরুষাঙ্গেরস্বাভাবিক আকার হচ্ছে ৫ বা ৬ইঞ্চি। এর চেয়ে ছোট পুরুষাঙ্গ হলেতাতে কোনো সমস্যা নেই বরংএতে নারীর কোনো কষ্ট হয় না।কিন্তু পুরুষাঙ্গ যদি বড় হয় তাহলেএক্ষেত্রে নারীর কষ্ট হয়রতিক্রিয়া করতে। স্বাভাবিকপুরুষাঙ্গের দ্বারাও কিছু দিন কষ্টহয় পরে নারীর যোনিনালীপ্রসরতা বৃদ্ধি পেলে সেটা আরথাকে না। কিন্তু পুরুষাঙ্গ যদি বড়হয় সেক্ষেত্রে রতিক্রিয়া করারসময় স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীরপ্রতি খেয়াল রাখতে হবে।এক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় হচ্ছেতাঁর নারীকে উত্তেজিত করেনেওয়া।স্ত্রীর যখন যথেষ্ঠ উত্তেজিত হবেতখন তাঁর যোনি পথে এক ধরণেরপিচ্ছিল পানি বের হবে যাকেযৌন রস বলে। এই যৌন রস বের হয়েস্ত্রীর যোনিকে পিচ্ছিল করেদেয়। যার কারণে লিঙ্গ অনায়াসেযোনি পথে আসা যাওয়া করতেপারে। সেক্ষেত্রে নারীর কষ্ট হয়না। প্রথম মিলন কালে স্ত্রীকেভালো করে উত্তেজিত করে নিলেপ্রথম মিলনে কষ্ট হলে স্ত্রীর কমবোধ পায়। কেননা সে উত্তেজনাবশে থাকে। যোনিতে পুরুষাঙ্গপ্রবেশের পূর্বে লিঙ্গেরঅগ্রভাগে হালকা থু থু লাগালেপিচ্ছিলতা আসবে। আবার জেলওব্যবহার করা যেতে পারে।বাজারে কসমেটিক্স দোকানেপাওয়া যায়। যাদের পুরুষাঙ্গ বড়সেসব স্বামীদের করণীয় হচ্ছেমিলনের পূর্বে স্ত্রীকে তোভালভাবে উত্তেজিত করবেই এবংতাঁর সাথে স্ত্রীর যোনি লিঙ্গআস্তে ধীরে প্রবেশ করাবে যাতেসে কম ব্যথা অনুভব করে। এক্ষেত্রেস্বামী স্ত্রীর যোনিতে লিঙ্গ ৩ইঞ্চি অথবা স্ত্রী যতটুকু সায় দেয়ততটুকু পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়েসঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকবে।এক্ষেত্রে কিছু আসন গ্রহণ করাযেতে, যেমন স্ত্রী চিৎ হয়ে শুয়েথাকবে, আর স্বামী হাটু গেড়েবসে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশকরিয়ে সঙ্গম চালিয়ে যেতেথাকবে। অথবা স্ত্রী পাছা উপরেরদিকে দিয়ে খাটে শুয়ে থাকবেএবং স্বামী হাটু গেড়ে বসেযোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়েসঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকবে।এখানে আরেকটি আসন আছে,স্বামী নিচে শুয়ে থাকবে এবংস্ত্রী উপরে উঠে বসে নিজেরসুবিধা মতো সঙ্গম চালিয়ে যেতেথাকবে।স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীর যোনিচাহিদার উপর গুরুত্ব দিতে হবে ,স্ত্রীর যাতে তাঁর দ্বারা কোনোকষ্ট না পায় সেটাও স্বামীকেখেয়াল করতে হবে। যে আসনেইসঙ্গম করেন না কেনো স্বামীকেসঙ্গম চলা কালে স্ত্রীর মতামতজানতে হবে, তাঁর কাছে কেমনলাগতেছে, সে ব্যথা অনুভবকরতেছে কিনা । স্বামীরবীর্যপাতের পূর্বে স্ত্রীর কাছেজানতে হবে তাঁর খায়েশ মিটছেকিনা। যদি স্ত্রীর খায়েশ নামেটেই স্বামীর বীর্যপাত হয়েযায় তাহলে স্ত্রীরদের মনেবিষন্নতা তৈরি হয়, তাঁর মেজাজহয়ে যায় খিটখেটে, মনে একধরণেরঅশান্তি অনুভব করে। যার কারণেসংসারে অশান্তি নেমে আছে।আর এটা হয় স্বামীদের যৌনমিলনে স্ত্রীদের প্রতিঅসদাচারণ করার ফলে। যেমন, এইআপুর প্রতিও অসদাচারণ হচ্ছে।প্রত্যেক স্বামী কে বুঝতে হবেআমি যেরকম মানুষ, আমার স্ত্রীওএকজন মানুষ। প্রত্যেক স্বামীকেএটা বুঝতে হবে, আমি আমারস্ত্রীর সাথে যা করতেছি, আমিযদি আমার স্ত্রীর জায়গায় হতামএবং আমার স্ত্রী যদি আমারজায়গায় হতো, তাহলে সে আমারপ্রতি এরকম অসদাচারণ করলেআমার কাছে কেমন লাগতো?নিশ্চয় খারাপ লাগতো। স্বামীযদি স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণ করেতাহলে স্ত্রীর মনে স্বামীর প্রতিভালবাসা মায়া মহব্বত বাড়ে নাবরং দিনে দিনে তা কমে যায়।যার কারনে স্ত্রী পরপুরুষের প্রতিআকৃষ্ট হতে পারে। আর এজন্যইমহানবী (সা.) বলেছেন, স্বামীকেমন ভালো তাঁর স্ত্রীর ভালোবলতে পারবে। স্বামী যদি সারাদুনিয়ার মানুষের সাথেফেরেশতার মত আচরণ করে ঘরেএসে স্ত্রীর প্রতি অসদাচারণ করেতাহলে এ ভালো আচরণেরআল্লাহর কাছে দাম নেই। সারাদুনিয়ার মানুষ যদি স্বামীকেখারাপ বলে, আর স্ত্রী যদিস্বামীকে ভালো বলে, তা হলেআল্লাহ বলবেন আমি তোর স্ত্রীরকথাই গ্রহণ করে নিলাম। স্ত্রীযদি বলে আমার স্বামী ভালোছিল, আল্লাহ বলবেন যা আমিতোকে জান্নাত দান করলাম এবংস্বামী যদি বলে আমার স্ত্রীভালো ছিল তাহলে আল্লাহবলবেন যা আমি তোকে জান্নাতদান করলাম। এজন্য মহানবী (সা.)বলেছেন, সে ব্যক্তি সর্বোত্তমযার দ্বারা তাঁর পরিবার কষ্ট পায়না। প্রত্যেক পুরুষকেই একজন আদর্শস্বামী হওয়ার প্রয়োজন। এবংপ্রত্যেক নারীকেই একজন আদর্শরমণী হওয়ার প্রয়োজন। আরোপড়তে পারেন স্বামী-স্ত্রীর সুন্দরজীবন।