Home »
Islamic Story amp; Hadis
» ১. হযরত আদম (আলাইহিস সালাম) কাহিনী
১. হযরত আদম (আলাইহিস সালাম) কাহিনী
আসলামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আল্লাহর রহমতে।আমি নতুন তাই ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।১. হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)শয়তানের সৃষ্টি ছিল মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপআদম সৃষ্টির কাহিনীখলীফা অর্থসিজদার ব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্যআদমের পাঁচটি শ্রেষ্ঠত্বনারী জাতি পুরুষেরই অংশ এবং তার অনুগতনগ্নতা শয়তানের প্রথম কাজমানব সৃষ্টির রহস্যজান্নাত থেকে পতিত হবার পরআদমের অবতরণ স্থল‘আহদে আলাস্ত্ত-র বিবরণ‘আহদে আলাস্ত্ত-র উদ্দেশ্যঅন্যান্য অঙ্গীকার গ্রহণআদমের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বদুনিয়াবী ব্যবস্থাপনায় আদম (আঃ)আদম পুত্রদ্বয়ের কাহিনীহত্যাকান্ডের কারণশিক্ষণীয় বিষয়মৃত্যু ও বয়সআদম (আঃ)-এর জীবনী থেকে শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ১. হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হিসাবে আল্লাহ পাক আদম ( আলাইহিসসালাম )-কে নিজ দু’হাত দ্বারা সরাসরি সৃষ্টি করেন(ছোয়াদ ৩৮/৭৫) । মাটির সকল উপাদানের সার-নির্যাস একত্রিত করে আঠালো ও পোড়ামাটির ন্যায় শুষ্ক মাটির তৈরী সুন্দরতম অবয়বে রূহ ফুঁকে দিয়ে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন। [1]অতঃপর আদমের পাঁজর থেকে তাঁর স্ত্রীহাওয়াকে সৃষ্টি করেন। [2] আর এ কারণেইস্ত্রী জাতি স্বভাবগত ভাবেই পুরুষ জাতির অনুগামী ও পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট। অতঃপর স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে একই নিয়মে মানববংশ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। কুরআন-এর বর্ণনা অনুযায়ী প্রথম দিন থেকেই মানুষ পূর্ণ চেতনা ও জ্ঞান সম্পন্ন সভ্য মানুষ হিসাবেইযাত্রারম্ভ করেছে এবং আজও সেভাবেই তা অব্যাহত রয়েছে। অতএব গুহামানব, বন্যমানব, আদিম মানব ইত্যাদি বলে অসভ্য যুগ থেকে সভ্য যুগে মানুষের উত্তরণ ঘটেছে বলে কিছু কিছু ঐতিহাসিক যেসব কথা শুনিয়ে থাকেন, তা অলীক কল্পনা ব্যতীত কিছুই নয়। সূচনাথেকে এযাবত এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় মানুষ কখনোই মানুষ ব্যতীত অন্য কিছুছিল না। মানুষ বানর বা উল্লুকের উদ্বর্তিত রূপ বলে ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) যে ‘বিবর্তনবাদ’ (Theory of Evolution) পেশ করেছেন, তা বর্তমানে একটি মৃত মতবাদ মাত্র এবং তা প্রায় সকল বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে আল্লাহ সর্ব বিষয়ের জ্ঞান ও যোগ্যতাদান করেন এবং বিশ্বে আল্লাহর খেলাফতপরিচালনার মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন।সাথে সাথে সকল সৃষ্ট বস্ত্তকে করে দেন মানুষের অনুগত (লোকমান ৩১/২০) ও সবকিছুর উপরে দেন মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব (ইসরা ১৭/৭০) । আর সেকারণেই জিন-ফিরিশতা সবাইকে মানুষের মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আদমকে সিজদা করার আদেশ দেন। সবাই সে নির্দেশ মেনে নিয়েছিল। কিন্তু ইবলীস অহংকার বশে সে নির্দেশ অমান্য করায় চিরকালের মতঅভিশপ্ত হয়ে যায় (বাক্বারাহ ২/৩৪) । অথচ সে ছিল বড় আলেম ও ইবাদতগুযার। সেকারণ জিন জাতির হওয়া সত্ত্বেও সে ফিরিশতাদের সঙ্গে বসবাস করার অনুমতি পেয়েছিল ও তাদের নেতা হয়েছিল। [3] কিন্তু আদমের উচ্চ মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে।ফলে অহংকার বশে আদমকে সিজদা না করায় এবং আল্লাহ ভীতি না থাকায় সে আল্লাহর গযবে পতিত হয়। এজন্য জনৈক আরবী কবি বলেন,ﻟﻮﻛﺎﻥ ﻟﻠﻌﻠﻢ ﺷﺮﻑ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﺘﻘﻰﻟﻜﺎﻥ ﺃﺷﺮﻑ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﺑﻠﻴﺲُ‘যদি তাক্বওয়া বিহীন ইলমের কোন মর্যাদা থাকত,তবে ইবলীস আল্লাহর সৃষ্টিকুলের সেরা বলে গণ্য হ’ত’।শয়তানের সৃষ্টি ছিল মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ :ইবলীসকে আল্লাহ মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ সৃষ্টি করেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার হায়াত দীর্ঘ করে দেন। মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুৎ করার জন্য ও তাকে ধোঁকা দেওয়াই শয়তানের একমাত্র কাজ। ‘সে মানুষকে বলে কুফরী কর’। কিন্তু যখন সে কুফরী করে, তখন শয়তান বলে ‘আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বপ্রভু আল্লাহ্কে ভয় করি’ (হাশর ৫৯/১৬) । অন্যদিকে যুগে যুগে নবী-রাসূল ও কিতাব পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষকে সত্য পথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখেন