Home »
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
» যে ১০ টি কাজ করলে আপনি দ্রুতমোটা হতে পারবেন।
যে ১০ টি কাজ করলে আপনি দ্রুতমোটা হতে পারবেন।
পৃথিবী জুড়ে যেখানে স্বাস্থ্যকমানোর ধুম, সেখানে মোটা হওয়ারটিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই?আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্তুখুশিই হবেন। কেননা ওজন বাড়াবারটিপসগুলো তার জন্য এক রকম স্বস্তিরনিঃশ্বাস বয়ে আনবে৷শারীরিকভাবে ক্ষীণকায়ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ইশোনা যায়কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এতখাই কিন্তু মোটা হই না কেন।হতাশার এই মুহূর্তথেকে মুক্তি দিতে তাদের জন্যদেয়া হলো ১০টি টিপস। যা আপনারওজন বাড়াতে সহায়ক…১. ঘুম থেকে উঠে বাদাম ও কিসমিসখানওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আরকিসমিসের বিকল্প নেই।রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপকাঠ বাদাম ও কিসমিসভিজিয়ে রাখুন৷সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।২. প্রচুর শাক সবজি ও ফল খানভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্যখাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেওকিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফলআর সবজি। এমন অনেক ফল আরসবজি আছে যারা কিনা উচ্চক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু,কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া,মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফলওসবজি খেলে ওজন বাড়বে। যদি এইসবনা করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়,তাহলে অবশ্যই একজনভালো ডাক্তারেরসাথে যোগাযোগ করুন।কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তারফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যেরঅধিকারী হতে পারেন।৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ানখাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেইএকগাদা খেয়ে ফেলা নয়।আপনি যদি কম খাওয়ারকারণে রোগা হয়ে থাকেন,তাহলে খাবারের পরিমাণআপনাকে বাড়াতেই হবে।স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন,তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবারবাড়িয়ে খান প্রতিদিন।৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুনঅনেকেই ভাবেন যে বারবারখেলে বুঝি ওজন বাড়বে।এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়মমেনে পেট পুরে খান। পেটপুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হারকমেযায়, ফলে খাবারের ক্যালোরিরঅনেকটাই বাড়তি ওজনহয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্পকরে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজমবাড়িয়ে দেয়, ফলেওজন কমে।৫. খাদ্য তালিকায় রাখুনডুবো তেলে ভাজা খাবারডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুরপরিমাণে ফ্যাট থাকে।ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক।তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাকসবজির স্যালাড।৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুনভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজনকমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন?কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবলমোটা হলেই হবে না।সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিতশরীর।আপনি জিমে যাবেনপেশী তৈরি করতে,এবং পুরুষেরা ওজনবাড়াতে চাইলে এইজিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক।পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেকবেশী তো বটেই৭. ‘মাড়যুক্ত’ ভাত খানঅধিকাংশ মানুষই ভাতের মাড়ফেলে দেয়৷ মাড়ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চেরঅনেকটাই চলে যায় মাড়ের সঙ্গে।ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের মড়না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণউপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপচালের মাড় ভাত মজাওলাগবে খেতে।৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খানওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থকৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবারআগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন।ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘনদুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধুমিশিয়ে খেয়ে নেবেন।৯. কমান মেটাবলিজম হারমোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতিরমেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্নস্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চমেটাবলিজম হার।সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেইএই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে।তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন,সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনারশরীরে জমার সুযোগ পাবে।মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্যপ্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময়বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।bdlove24১০. খাদ্য তালিকায় বিশেষ খাবারআপনার নিয়মিত খাবারেরপাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগকরতে হবে খাদ্য তালিকায়,নাহলে ওজন বাড়বে কেন?উচ্চরক্তচাপের সমস্যা না থাকলেএই খাবার গুলো খেতে পারেনঅনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম,চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসিরমাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয়খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।এরপরেও যদি ওজননা বাড়ে তাহলে চিকিৎকেরসাহায্যে শরীরপরীক্ষা করে যদি কোনো রোগপাওয়া যায়, তারচিকিত্সা করাতে হবে। পেটের অসুখ,কৃমি, আমাশয় অথবাকোনো সংক্রামক রোগথাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেওওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্তক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজনকমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম,নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিকঅবস্থায় নিয়ে আসতে হবে।