যে ৬ খাবারে মুখে ব্রণের মহামারি
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
এখানে মোটেও দুধকে অস্বাস্থ্যকর খাবার বলা হচ্ছে না। মানুষের দেহ ও সুষ্ঠু সহজ প্রক্রিয়ার জন্য দুধ দারুণ পুষ্টিকর খাবার। অতিরিক্ত দুধ খেলে প্রচুর ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। আবার একে দেহের ইনসুলিনের ভারসাম্যপূর্ণ মাত্রা নষ্টের কারিগরও বলা হয়। এই উপাদেয় তরল এবং এর থেকে তৈরি খাবার হরমোনের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। আর হরমোনের সঙ্গে একনির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাই একনিমুক্ত থাকতে চাইলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
পাউরুটি
সকালে নাশতাসহ আরো অনেক খাবার বানাতে পাউরুটির ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু ব্রেডের গ্লুটেন শুধু ক্ষুদ্রান্ত্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, দেহে ইনফ্লামেশন বাড়ায়। বেশি বেশি খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিঃশেষিত হয়। যদি প্রতিদিন পাউরুটি আপনার নাশতার টেবিলের সঙ্গী হয়, তাহলে এবার ক্ষান্ত দিন। দেখবেন ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে।
পালং শাক
সব দিক থেকে খুবই পুষ্টিকর এক শাক। আবার স্বাস্থ্যকর ও সতেজ ত্বকের জন্যও পালং শাক খেতে বলেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক ডার্মাটোলজিস্ট এ বিষয়ে সাবধান করেছেন। পালং শাকে থাকে আয়োডিনের প্রাচুর্য। অতিমাত্রায় খেলে এই উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। একনিতে ভরে যাবে মুখ।
ভাজাপোড়া
নতুন করে বলার কিছু নেই। তৈলাক্ত ভাজাপোড়া খাবার একনির অন্যতম কারণ। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত তৈলাক্ত খাবার সর্বনাশ ঘটাতে সক্ষম। ত্বকের জেল্লাই হারিয়ে যায়। এমনকি একনি উঠে তাতে সংক্রমণের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
অ্যালকোহল
ইনফ্লামেশনের অন্যতম হোতা। পাশাপাশি দেহের টেস্টোস্টেরন ও এস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। অতিরিক্ত পান করলে একটা পর্যায়ে জিংকের অভাবে ভুগতে থাকবেন। আর একনির বিরুদ্ধে জিংককে যোদ্ধা বলে মনে করা হয়। তাই যাদের অভ্যাস আছে, তাদের অবশ্যই অ্যালকোহল পরিত্যাগ করতে হবে।
ক্যাফেইন
সকালে নাশতার পর এক কাপ কফিতে দেহ-মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে ঠিকই। কিন্তু ত্বকের বারোটা বাজায় বলে অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে।
অবশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন খেলেই এমন হবে।