নাস্তিকের প্রশ্নের বিজ্ঞানসঙ্গত উত্তর কিভাবে দিব ?

আমার এক নাস্তিক বন্ধু আমার থেকে জানতে চেয়েছে মহানবী (সা) এর ইশারায় চাঁদ দুই খন্ড হয়েছিল।তবুও পৃথিবী অক্ষত ছিল কিভাবে ?এরূপ সে আরও কিছু অলৌকিক ঘটনার কথা বলল।আমি ভেবে দেখলাম সৃষ্টিকর্তার অশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে এগুলো ঘটেছিল।কিন্তু আমার বন্ধু তো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না । তাকে কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি দিব ?


answer-
মহা ঝামেলা মনে হচ্ছে। চাদের দ্বিখণ্ডিত হবার সাথে পৃথিবীর অক্ষত থাকার সম্পর্ক আসে কিভাবে।
তাকে বুঝিয়ে বলবেন বিজ্ঞান অনেক কিছুই করেছে। কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টির কাছে এগুলো খুবই সামান্য আর তুচ্ছ। YouTube এ তাকে Size of the Earth লিখে Search দিতে বলেন। পুরো পৃথিবীর কাছে একটা ক্ষুদ্র বালুকনা যতটা না ক্ষুদ্র মহাবিশ্বের সাথে তুলনা করলে পৃথিবী সেই বালুকনার চাইতে ও অনেক ক্ষুদ্র ।
আর কোরআনে আল্লাহ বলেছেন আমাদের দুনিয়া আর ইহকাল এর জীবনের জন্য আমরা যা কিছু করি এসবের গুরুত্ব আল্লাহর কাছে একটা মশার পাখার সমান ও না।
এখানেই তো মহাবিশ্বের আকৃতির সাথে কোরানের আয়াতের মিল পাওয়া যাচ্ছে। আর কোরান নাযিল হয়েছে 1400 বছরের ও বেশি পূর্বে। আল্লাহ হলেন সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী।
পৃথিবীর মানুষের সব কিছু বুঝার ক্ষমতা কি করে হবে? আমাদের বিজ্ঞান কি পারবে সময়ের রহস্য ভেদ করতে? বলতে পারবে কোথায় এর শুরু আর কোথায় এর শেষ? কাজেই এই বিজ্ঞান অসম্পূর্ণ। এর উপর সে 100% বিশ্বাস করে কিভাবে?
বিজ্ঞান তখনই কিছুকে অবৈজ্ঞানিক বলে যখন এর উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পারে না। কিন্তু আবিষ্কৃত হবার পর সেটা স্বীকার করে।
এসব আপনার বন্ধু কে বলে দেখুন। তবে আল্লাহ হেদায়েত না করলে কিছুতেই কিছু হবেনা। ধন্যবাদ।

Total Pageviews