স্বাস্থ্য নিয়ে সবাই চিন্তিত থাকলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের দেখা মেলা বেশ কঠিনই বটে। স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম ভুল ধারণাও কাজ করে। নানান রকম ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার ও শিক্ষার অভাবের কারণে বিভিন্ন রকম ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় অনেকের মাঝে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে এইসব ভুল ধারণাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং বিপদজনক। আসুন জেনে নেয়া যাক এমন ৫টি ভুল ধারনা সম্পর্কে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক।
অন্যের ডায়েট অনুসরণ করা
অনেকেই ভাবেন যে ওজন কমানোর জন্য সবার ডায়েট একই। কাউকে ওজন কমাতে দেখলে তিনি কী খান সেটা জিজ্ঞেস করে অনেকেই সেটা অনুসরণ করা শুরু করে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ এক এক ধরণের ডায়েট এক এক জন মানুষের জন্য প্রযোজ্য। আপনার বন্ধু যে ডায়েটটি করছে সেটা আপনার ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। বরং অনেক সময়ে অন্যের ডায়েট অনুসরণ করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনেন অনেকে। এমনকি ওজন বৃদ্ধিও ঘটে থাকে।
ব্যায়াম শুধু মোটাদের জন্য
বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা ব্যায়াম শুধু মাত্র মোটা ব্যক্তিদের জন্যই প্রয়োজনীয়। এই কথা ভেবে অনেক শুকনো মানুষই ব্যায়াম করেন না এবং শরীরে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও হাই প্রেশারের মত কঠিন রোগ গুলো বাঁধিয়ে ফেলেন। ব্যায়াম শুকনো হোক বা মোটা, প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই প্রয়োজনীয়। প্রত্যেকেরই প্রতিদিন অল্প সময় করে হলেও সবারই ব্যায়াম করা উচিত।
প্রচুর মাংস খেলে শক্তি বাড়ে
অনেকেই এই ভুল ধারণাটি মনে পোষণ করেন যে শক্তি বাড়াতে প্রচুর মাংস খেতে হয়। মাংস না খেলে শক্তি পাওয়া যায় না এই ধারণাটি সম্পূর্ন ভুল একটি ধারণা। মাংসের প্রোটিনের বদলে মাছ কিংবা ডাল, সিমের বীজ, বাদাম, স্পিরুলিনা ইত্যাদি খেলেও একই পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়। বরং মাংসের তুলনায় এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য আরো ভালো কারণ এগুলোতে মাংসের মতো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই।
নারিকেল তেল স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ
অনেকেই জানেন না যে নারিকেল দিয়ে রান্নাও করা যায়। বেশিরভাগ মানুষেরই একটি ভুল ধারণা আছে যে নারিকেল তেল খাওয়া যায় না কিংবা খাওয়া গেলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু নারিকেল তেল একটি অসাধারণ খাবার। নারিকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। নারিকেল তেল রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমে সহায়তা করে ও মেটাবলিজম বাড়ায়।
প্রতিদিন ৭ গ্লাস পানি খেলেই চলে
আমরা সবাই জানি মানুষের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। আমরা এটাও জানি যে আমাদের নুন্যতম ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত প্রতিদিন। কিন্তু অনেকেই ভাবেন যে প্রতিদিন শুধু মাত্র ৭ গ্লাস পানি খেলেই চলে, এর বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা হলো নুন্যতম এর হিসাব। সর্বনিম্ন ৭ গ্লাস পানি খাওয়ার কথা বলা হলেও এর বেশি পানি খেতে পারলে ভালো। কারণ অনেক সময় ডায়রিয়া বা ঘামের কারণে শরীরের সব পানি বের হয়ে যায়। তখন প্রচুর পরিমাণে পানি না খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা যায়।
Home »
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
» স্বাস্থ্য সম্পর্কে ৫টি চরম ভুল ধারণা !!!