রোজায় বিভিন্ন ধরনের পানীয় ইফতারের সময় পান করতে পারেন।এ সময়টা হচ্ছে আম-কাঠাল-লিচু’র সময়, আনারস এবং কলাও পাওয়া যাচ্ছে। আপনি ফল দিয়ে পানীয় হিসেবে ম্যাঙ্গোশেক, বানানাশেক, আনারসের জুস বানাতে পারেন। আবার রুহ আফজা দিয়ে, রুহ আফজার শরবত এবং কাচ্চি লাসসি(দুধ রুহ আফজার শরবত)বানাতে পারেন।
মেঙ্গোশেক হোক বা বানানাশেক, অথবা হোক কাচ্চি লাসসি, সবখানেই দুধ হচ্ছে কমন উপাদান।
ম্যাঙ্গোশেকঃ পাকা মিষ্টি আম, পরিমাণমত ঠাণ্ডা দুধ, আপনার স্বাদমত চিনি(চাইলে এক চিমটি লবণও দিতে পারেন)। আমকে ছিলে, তার ছোট ছোট টুকরা করে, এ টুকরাগুলিকে, দুধ ও চিনি যোগ করে তা ব্লেন্ডারে করে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এখন চাইলে এ ম্যাঙ্গোশেক’কে ফ্রিজে রেখে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ঠাণ্ডা করে, তা গ্লাসে করে পরিবেশন করে স্ট্র দিয়ে পান করতে পারেন। চাইলে ব্লেন্ড করার পর গ্লাসে ম্যাঙ্গোশেক ঢেলে তাতে দুচারটা আইস কিউব দিয়েও তা পান করতে পারেন।
বানানাশেকঃ আমের পরিবর্তে কলা দিয়ে, দুধ, চিনি সহ মিশ্রণকে ব্লেন্ড করে বানানাশেক বানাতে পারেন। চাইলে ঠাণ্ডা করে চাইলে বিনা ঠাণ্ডা করে, যেভাবে পছন্দ সেভাবে এ পানীয় পান করতে পারেন।
কাচ্চি লাসসিঃ পানি, চিনি ও রুহআফজা দিয়ে তৈরী করুন রুহআফজা শরবত, এবার এতে কিছু ঠাণ্ডা দুধ দিন। আগে থেকে ভেজানো তোকমাগুলি কাচ্চি লাসসিতে দিন। কিছু আমণ্ড বাদাম ও পেস্তা কুচি করে তা শরবতে দিন। এবার এ শরবতকে ফ্রিজে রেখে আপনার পছন্দ অনুসারে ঠাণ্ডা করে তা গ্লাসে পরিবেশন করুন। চাইলে কাচ্চি লাসসিতে সাগুদানা সিদ্ধ দিয়ে এরপর শরবতটির উপর আইসক্রিম দিয়ে খেতে পারেন, আবার চাইলে রাইস নুডলস সিদ্ধ দিয়ে এরপর শরবতটির উপর আইসক্রিম দিয়ে খেতে পারেন। ভাল হয় ভেনিলা আইসক্রিম, খির আইসক্রিম বা স্ট্রবেরি আইসক্রিম দিয়ে কাচ্চি লাসসির উপর টপিংগ করলে।
লক্ষণীয়ঃ এখানে উপকরণগুলির কোন মাপ দেইনি। কারন প্রতিটি গৃহিণীর পছন্দে’র প্রতি সম্মান জানানোই উদ্দেশ্য। স্বাধীনভাবে নিজ পছন্দ অনুসারে মেঙ্গোশেক, বানানাশেক বা কাচ্চি লাসসি বানিয়ে ইফতারের সময় পরিবারে তা পরিবেশন করুন। আনারসের সিজন এখনো শেষ হয়নি তাই আনারসের জুসও বানাতে পারেন। যদিও রমজান উপলক্ষে বাজারে তরমুজ, বাঙ্গিজাতীয় ফল পাওয়া যাচ্ছে, অনুরোধ থাকছে, অফসিজনের ফল দিয়ে জুস বানাবেন না।
লেবুর শরবত, আলুবোখারা’র শরবত, দই-চিড়ার শরবত সবই পুষ্টিকর। গরমের এই রমজান মাসে নানা ধরনের শরবত পান করে দেখতে পারেন।
রমজান দিক আত্মিক প্রশান্তি ও শারীরিক সুস্থ্যতা।