বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিৎ ! কেউ এড়িয়ে যাবেন না !

ছেলে-মেয়ের কুষ্ঠি বিচার নয়, বিয়ের আগে তাঁদের কয়েকটি মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো অতি আবশ্যক এখনকার সমাজ অনেক এগিয়ে ।[image]বাবা-মায়ের প্রজন্ম এর মাহাত্ম্য না বুঝলেও, আজকালকার আধুনিক ছেলেমেয়েরা কিন্তু এর গুরুত্ব বোঝে ফলত, বিয়ে করে আপশোস করার চেয়েপাত্র/পাত্রীর স্বাস্থ্য কেমন, সেটাও খতিয়ে দেখে এক্ষেত্রে পাত্র/পাত্রীর বাড়ির লোকেরও তৎপরতা প্রয়োজনবিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত জেনে নেওয়া যাক ।x১. যৌনসংক্রমণ আছে কি না– অর্থাৎ সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ় (STD) এখনকার ছেলেমেয়েরা সেক্সের ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে । বিয়ের আগেই অনেক রকম অভিজ্ঞতা হয় তাদেরশুধু তাই নয় । অধিকাংশেরই একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে লিপ্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে । ফলে কার শরীরে কোনও সংক্রমণ আছে, কেউ তা যাচাই করে দেখেনা । এদিকে যথাযথ সময় বিয়েটাও করে নেয় ফলে পাত্র/পাত্রী HIV, গনোরিয়া,সিফিলিসের মতো যৌনরোগে আক্রান্ত কি না বলা কঠিন তাছাড়া, কেউ এই নিয়ে মুখ খোলে না । একমাত্র মেডিক্যাল টেস্ট করালেই গোপন সংক্রমণ ধরা পড়তে পারে ।২. শুক্রাণু পরীক্ষা– বিয়ের পর সব দম্পতিই সন্তান নিতেচান কিন্তু অনেক সময় সন্তান ধারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় স্বামী-স্ত্রীকেএর কারণ হতে পারে স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই স্ত্রীর শরীর অনেক সময় সন্তান ধারণের উপযুক্ত পরিস্থিতিতে থাকে না বলে সন্তান আসে না । কিন্তু সেটা আগে থেকে জানাযায় না । তবে পুরুষের অক্ষমতা কিন্তু মালুম হয় শুক্রাণু পরীক্ষাকরালেই ।৩. ব্লাড গ্রুপ– পাত্র/পাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানাও খুব জরুরিকারণ নেগেটিভ ও পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী-পুরুষের বিয়ে হলে পরবর্তীকালে সন্তান ধারণে ঘটতে পারে বিপত্তি তবে এই শঙ্কাটি দেখা দেয় দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অনেক সময় গর্ভেই সন্তান মারা যায়কিংবা জন্মের পর তার মারাত্ম করকম জন্ডিস হয় মস্তিষ্কওক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যদিও আধুনিকচিকিৎসা ব্যবস্থায় এটি রোধ করার পদ্ধতি আছে সন্তান জন্মানোর সময় মায়ের শরীরে অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমতে পারে ।মানসিকরোগ পরীক্ষা– সাধারণ মেডিক্যাল পরীক্ষায় সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ধরা পড়ে নাকিন্তু সত্যি বলতে কী, কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করার আগে সে স্বাভাবিক কি না জানা খুব দরকার অর্থাৎ, দেখা দরকার তার কোনও মানসিক সমস্যা আছে কি না এটি খতিয়ে দেখার জন্য পাত্র/পাত্রীর আচার ব্যবহার লক্ষ্য করতে হবে । পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও অফিসের লোকজনের থেকে খোঁজখবর নিতে হবে । বিয়ের সময় পাত্র/পাত্রীর বাড়ির লোক তাঁদের ছেলেমেয়ে সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলে না । কিন্তু বিয়ের পর ধরা পড়ে আসল রূপ সুতরাং, পাত্র/পাত্রীর মানসিক সমস্যা আছে কি না সেটা দেখা খুব জরুরি প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন ।৫. পাত্র/পাত্রীর ওরিয়েন্টেশন– অনেক সময় ছেলে বা মেয়ের ওরিয়েন্টেশনের বিষয়টা চেপে যায় বাড়ির লোকছেলে বা মেয়ে সমকামী হলে, তাকে সমাজের কটাক্ষ থেকে বাঁচাতে, সমস্ত সত্য গোপন করে, স্বাভাবিক মতে তাদের বিয়ে দেয় বাড়ির লোকউদ্দেশ্য একটাই, লোকের মুখ বন্ধ করা এতে হয় ঠিক উলটোযে মেয়েটি কিংবা যে ছেলেটির সঙ্গে বিয়ে হয়, প্রথম রাতেই সে সবটা জেনে যায় । শুরু হয় অশান্তিবিষয়টি আত্মহত্যা কিংবা কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে । তাই সাবধানএ ক্ষেত্রেও সাইকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন । যে পাত্র/পাত্রীকে বিয়ে করতে চলেছেন, তা যদি সম্বন্ধ করে হয়, এই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিন অবহেলা করবেন না ।

Total Pageviews