সুস্থ থাকতে ৫ ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

১. সর্দিজ্বরে মুরগির স্যুপসর্দিজ্বরে এক কাপ ধোঁয়া ওঠামুরগির স্যুপ শুধু আরামই দেয় না, এটি আরোগ্য লাভেও সহায়ক হতে পারে। মুরগির স্যুপ গলা ব্যথা ও জ্বরেরঅন্যান্য যন্ত্রণা উপশম করতে পারে। এটিঅসুস্থ দেহে পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়ক। জ্বরের পর দ্রুত দেহের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে খুবই কার্যকর এই স্যুপ। এ ছাড়াএটি দেহের রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজ করা শ্বেত রক্তকণাকেও সহায়তা করে।–কালেরকন্ঠ।২. হজমের জন্য খনিজ লবণপেট ব্যথা সারাতে রক সল্টবা খনিজ লবণ কার্যকর। এতে প্রচুর প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান রয়েছে, যা হজমে সহায়ক। আর এটি যদি লেবুর রসের সঙ্গে সেবন করাহয় তাহলে হজমশক্তি বাড়াতে পারে। এটি ক্ষেত্রবিশেষে পেট ব্যথাও দূর করতে পারে।৩. সুস্থ থাকতে হলুদ-দুধদুধের মাঝে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করা যায়। এটি নানাভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। দুধের সঙ্গে হলুদ খুব ভালোভাবে মিশে যায়। দুধে প্রোটিন ও নানাধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। অন্যদিকে হলুদের রয়েছে আরোগ্য ক্ষমতা। বিশেষত মাংসপেশি, ত্বকও হজমের সমস্যাদূর করতে হলুদ কার্যকর। নানা ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সহায়তা করে হলুদ। এ ছাড়া এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলুদ-দুধ পান করলে তা নানা রোগ থেকে মুক্তথাকতে সহায়তা করবে।৪. শিশুর জন্য সরিষার তেলশিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং সুস্থ হাড় গঠনে সরিষার তেল কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরিষার তেলকে উষ্ণ তেলবলা হয়। শিশুরঠাণ্ডা সমস্যায় এটি আরাম দেয়। এটিশিশুর দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলো খুলে দেয় এবং ত্বককে নমনীয় ও কোমল করে। শিশুকে সরিষার তেল ব্যবহার করে মালিশ করলে তা রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। এরকড়া গন্ধ শিশুকে পোকামাকড় ও মশা থেকে কিছুটা হলেও দূরে রাখে। তবেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারেছোট শিশুকে সরিষার তেল মালিশ করা যাবেনা। তার এক বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে ভালো হয়।৫. ঠাণ্ডা সমস্যায় মধু ওআদাসর্দিকাশি কিংবা ঠাণ্ডা সমস্যায় আদা ওমধু খুবই কার্যকর। আদা পানিতে সিদ্ধ করে তাতে সামান্য মধু দিয়ে সেবন করাযেতে পারে। এটিগলার ঠাণ্ডা সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বটে। আদা ও মধু গলা ব্যথা ও ফুলে যাওয়া উপশম করে।

Total Pageviews