Home »
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
» টনসিলের ইনফেকশন এবং এর প্রতিকার কি জেনে নিনঃ
টনসিলের ইনফেকশন এবং এর প্রতিকার কি জেনে নিনঃ
টনসিলের ইনফেকশনঃটনসিলের সমস্যার কারণে গলাব্যথায় ভুগে থাকে অনেক শিশু। যদিও টনসিলের সমস্যা সব বয়সেই হয়ে থাকে তারপরেও শিশুদের ক্ষেত্রে টনসিলের ইনফেকশন একটু বেশি হয়। টনসিলের এই ইনফেকশনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় টনসিলাইটিস বা টনসিলের প্রদাহ।কোথায় থাকে এই টনসিল?জিহবার পেছনে গলার দেয়ালের দুপাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যা দেখা যায় সেটিই প্যালাটাইন টনসিল/ টনসিল । টনসিল দেখতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি লসিকা কলা বা লিম্ফয়েড টিস্যু দিয়ে তৈরি।কী কী উপসর্গ নিয়ে আসেন রোগীরা?– গলা ব্যথা– গিলতে অসুবিধা– সামান্য জ্বর– গলার স্বর পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া– নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ– শিশুর খাবার গ্রহণে অনীহা– নাক দিয়ে পানি ঝড়া– গলার বাইরে গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।টনসিলাইটিস কি ছোঁয়াচে?টনসিলাইটিস একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। আক্রান্তের গলা ও নাকের তরল নিঃসরণ সুস্থ ব্যক্তির গলা ও নাকের অভ্যন্তরে ঢুকলে সুস্থ ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। এ কারণে আক্রান্তের গ্লাস-থালা-বাসন পৃথক রাখা উচিত।টনসিলাইটিসের চিকিৎসা কী?কারণের ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে হয়ে থাকে তাহলে রোগীকে যথাযথ এন্টিবায়োটিক দিতে হয়। ভাইরাসের জন্যে হলে ৫/৭ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়, সেক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর উপসর্গ চলে গেলেও টনসিলের আকৃতি ছোট হতে কিছুটা সময় নেয়। কয়েক মাস পর্যন্ত টনসিল বাড়তি আকৃতিতে থাকতে পারে। অনেকক্ষেত্রে ওষুধে না সারলে রোগের তীব্রতা ও আক্রমণের হার বিবেচনা করে অপারেশানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।টনসিলের অপারেশান কখন করতে হয়?– টনসিল বড় হওয়ার জন্য ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হলে বা নাক ডাকলে।– ঢোক গিলতে বা খেতে অসুবিধা হলে।– এক বছরে ৭ বা তার বেশি বার হলে।– টানা ২ বছর ৫ বারের বেশি হলে।– টানা ৩ বছর ৩ বারের বেশি হলে।– বছরে এই সমস্যার কারণে ২ সপ্তাহ বা তার বেশি স্কুলে বা কাজে যেতে না পারলে।টনসিল অপারেশান করলে ভবিষ্যতে কোনো অসুবিধা হবে কি?টনসিলের অসুবিধা দূর করার জন্যেই অপারেশান। আর ভবিষ্যতে যাতে টনসিলের ইনফেকশান থেকে জটিলতা।না হয় তার জন্যেই অপারেশান করা হয়। কাজেই টনসিল ফেলে দেওয়ার জন্যে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।