শরীর ঠিক মতো পুষ্টি
না পেলে আপনার যতটুকু লম্বা হওয়ার উচিত, ততটুকু বৃদ্ধি নাও হতে পারে।
লম্বা হওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বংশগত বৈশিষ্ট্যের উপর। একটা
নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত মানবদেহের বৃদ্ধি ঘটে, উচ্চতা বাড়ে। এমন কিছু খাবার
আছে, যেগুলি শরীরের বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
সাধারণত
পুরুষের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত আর মেয়েদের উচ্চতা সর্বোচ্চ ২১
বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এই সময় যদি প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় এই
খাবারগুলো রাখা যায় তবে দেহের উচ্চতা বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হবে। এবার
জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারগুলি উচ্চতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সহায়ক।
১)
শালগম: শালগম অনেকেরই পছন্দের সবজি। এই শালগমই আপনাকে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করবে। শালগমে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, প্রোটিন, এবং ফ্যাট।
এই উপাদানগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
২)
মটরশুঁটি: মটরশুঁটি ছোট বড় সবাই বেশ পছন্দ করেন। এতে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, লুটেইন ও প্রোটিন আছে যা শরীরের স্বাভাবিক
বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক। তবে শুকনো মটরশুঁটিতে এই সকল
উপাদান উপস্থিতি থাকে না।
৩) ঢেঁড়স:
উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক যে সবজিগুলি আছে, তার মধ্যে ঢ্যাড়স অন্যতম।
ঢ্যাড়সে আছে ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, জল ও ফাইবার যা গ্রোথ
হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪)
ব্রোকলি: উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবুজ রঙের এই সবজিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রয়েছে। সামান্য তেতো স্বাদের কারণে অনেকে ব্রোকলি পছন্দ করেন না। কিন্তু
এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উচ্চতা বাড়াতে
সহায়তা করে।
৫) পালং শাক: পালং শাকে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল। আর এই উপাদানগুলি উচ্চতা
বৃদ্ধি করে থাকে। নিয়মিত পালং শাক খেলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে উচ্চতা
বৃদ্ধি পাবে।
৬) সয়াবিন: সয়াবিনের
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে যার টিস্যু ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সয়াবিন খান আর দেখুন আপানার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি
বেড়ে গিয়েছে মাত্র কয়েক সপ্তাহেই।
৭)
বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, প্রোটিন ও
ফাইবার আছে। যা উচ্চতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।