বন্ডের মূল্যমানঃ
টাকা ২৫,০০০/-; টাকা ৫০,০০০/-; টাকা ১,০০,০০০/-; টাকা ২,০০,০০০/-; টাকা ৫,০০,০০০/-; টাকা ১০,০০,০০০/; এবং ৫০,০০,০০০/-।
মুনাফাঃ
- মেয়াদান্তে মুনাফা ১২%। বন্ড ধারক ১২% হারে প্রত্যেক বছরে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলিত না হলে, মেয়াদপূর্তিতে মুল অংকের সাথে ষান্মাসিকভিত্তিতে ১২% চক্রবৃদ্ধি হারে উক্ত মুনাফা প্রদেয় হবে।
মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধাঃ
- একজন ওয়েজ আর্নার প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম টাকা ২৫,০০০/- বা ততোধিক মূল্যের বন্ড ক্রয় করলে নির্ধারিত হারে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা পাবে। তবে উক্ত ক্রয় সংশ্লিষ্ট ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই সংঘটিত হতে হবে।
- ওয়েজ আর্নারের মৃত্যুর পূর্বেই যদি বন্ডের মেয়াদপূর্ণ হয়, তা হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর ৬-মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা দাবী করতে হবে। এর পর মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার বিপরীতে কোন দাবী গ্রহণযোগ্য হবে না;
- মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধার পরিমাণ টাকা ৫,০০,০০০/- এর অধিক হবে না;
- ওয়েজ আর্নারের বয়স ৫৫-বছরের অধিক হলে মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে না।
- এ বন্ডে টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন বা ততোধিক বিনিয়োগকারী সি.আই.পি সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তবে নগদায়নের কারণে বিনিয়োগ টাকা ৮০ (আশি) মিলিয়ন-এর নীচে নেমে যায় এবং প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ৩-মাসের মধ্যে তিনি উক্ত সীমা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সি.আই.পি সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন।
কারা ক্রয় করতে পারেঃ
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ‘ওয়েজ আর্নার[1]’' নিজ নামে অথবা; আবেদনপত্রে উল্লিখিত তার মনোনীত ব্যক্তির নামে অথবা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বেনিফিসিয়ারী[2]-এর নামে এ বন্ড ক্রয় করা যায়;
- বিদেশে লিয়েনে কর্মরত বাংলাদেশী সরকারী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ;
- বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন, তারা এ বন্ড ক্রয় করতে পারবেন।
- বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তফসিলী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ ঐ সকল শাখা, যারা ওয়েজ আর্নারদের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব পরিচালনা করে থাকেন;
- বিদেশস্থ বাংলাদেশী ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ;
ক্রয় পদ্ধতিঃ
- বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তফসিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (এ.ডি) শাখাসমূহে এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের বিদেশস্থ শাখা অথবা তাদের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহে বন্ড ক্রয়ের আবেদনপত্র ডি.বি-১ ফরম পুরণ ও স্বাক্ষর করে বন্ড ক্রয়ের আবেদন করা যায়।
- ওয়েজ আর্নারের আবেদনের সূত্রে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে, ব্যাংক ওয়েজ আর্নার কর্তৃক পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমাকৃত অর্থ বিকলন করে বন্ড ইস্যু করতে পারে;
- কোন বেনিফিসিয়ারী ওয়েজ আর্নারের নিকট হতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের বিপরীতে দালিলিক প্রমানাদি উপস্থাপন সাপেক্ষে বন্ড ক্রয় করতে পারেন;
- নগদ বৈদেশিক মুদ্রায় অথবা রেমিট্যান্স হিসেবে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা হতে রুপান্তরিত বাংলাদেশী টাকায়;
- ওয়েজ আর্নার কর্তৃক বিদেশ হতে প্রেরিত এবং তাঁর এফ.সি একাউন্টে জমাকৃত অর্থ দ্বারা অথবা;
- বৈদেশিক মুদ্রায় চেক, ড্রাফট বা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকা ড্রাফট-এর মাধ্যমে;
- এ বন্ডের ইস্যু অফিস[3]-ই হবে এর প্রদানকারী অফিস।
- বিদেশেস্থ ইস্যু অফিস থেকে বন্ড ক্রয় করা হলে সেখান থেকে নগদায়ন করা যায় না।
- বিদেশ থেকে বন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আবেদনপত্রে বাংলাদেশে প্রদানকারী অফিসের নাম উল্লেখ করতে হয়।
নমিনী সংক্রান্তঃ
- বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে নমিনী বন্ডের মূল্য, সুদ এবং মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে;
- বেনিফিসিয়ারী কর্তৃক ক্রয়কৃত বন্ডে একই পদ্ধতিতে নমিনী নিয়োগ করা যাবে;
- প্রতি সনদের জন্য একজনের অধিক নমিনী প্রদান করা যাবে না;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বে নমিনীর মৃত্যু হলে, নমিনীর কার্যকারিতা থাকবে না;
- নমিনী বাতিল বা পরিবর্তন করা যাবে;
- বন্ড ধারকের মৃত্যুর পূর্বেই যদি নমিনীর মৃত্যু ঘটে, তবে মৃত বন্ড ধারকের উত্তোরাধিকারীগণ বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা প্রাপ্য হবেন;
- উত্তোরাধিকারীগণ শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে মূল্য ও মুনাফা গ্রহণ করতে পারবেন;
- এ বন্ডের আসল অংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগযোগ্য;
- ৪০% থেকে ৫০% পর্যন্ত মৃত্যু-ঝুঁকির সুবিধা রয়েছে;
- ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
- বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে;
- হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যুর সুযোগ রয়েছে।
- আট কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব বাংলাদেশি মুদ্রা বিনিয়োগকারীর জন্য সি. আই.পি (C.I.P) সুবিধা রয়েছে;
- এফসি একাউন্ট থাকার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
- এ বন্ডে বিনিয়োগের কোন ঊধ্বসীমা নেই।
- এ বন্ডে বিনিয়োগকৃত মূল অংক বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রত্যাবাসিত করা যাবে;
- বন্ডের বিপরীতে প্রাপ্র মূল অংক, মুনাফা এবং মৃত্যু ঝুঁকি সুবিধা ইত্যাদি বাংলাদেশে এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রদেয়;
- ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড-এ বিনিয়োগকৃত এবং অর্জিত মুনাফা আয়করমুক্ত;
- বন্ডের একটি এককের ক্ষেত্রে একজনের বেশী ধারক ও নমিনীর মনোনয়ন দেয়া যাবে না;
- অসুস্থতাজনিত কারনে বন্ড ধারক স্বাক্ষর করতে অপারগ হলে এবং একজন গেজেটেড অফিসার কর্তৃক তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ প্রত্যয়ন করা হলে প্রদানকারী অফিসার কর্তৃক সরেজমিন যাচাইয়ান্তে , বন্ড উপস্থাপনকারীর পরিচয় ও উপস্থাপিত বন্ডের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বন্ড ধারকের হাতে ছাপ গ্রহন করে মেয়াদপূর্তি মূল্য অথবা সুদ পরিশোধ করবে।
- বন্ডের ক্রেতা শরিরীকভাবে পঙ্গু, স্বাক্ষর প্রদানে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে এবং এর পক্ষে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হলে প্রদানকারী অফিসার কর্তৃক যাচাইয়ান্তে, বন্ড উপস্থাপনকারীর পরিচয় ও উপস্থাপিত বন্ডের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উক্ত বন্ডের মেয়াদপূর্তি মূল্য অথবা সুদ নমিনী অথবা উত্তরাধিকারীকে পরিশোধ করবে।
[1]ওয়েজ আর্নার
বলতে একজন বাংলাদেশী নাগরিক, যিনি লাভজনকভাবে বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনে নিয়োজিত কিন্তু কোন সরকার বা সরকারী সংবিধিবদ্ধ সংস্থা,
স্বায়ত্বশাসিত বা আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা হতে বেতন-ভাতাদি প্রাপ্ত হয় না।
তাছাড়া যিনি আদতে বাংলাদেশী নাগরিক কিন্তু যে কোন কারণেই হোক, বিদেশী
নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
[2] বেনিফিসিয়ারী
বলতে একজন বাংলাদেশীকে বুঝাবে, যিনি বিদেশে কর্মরত ওয়েজ আর্নারের নিকট হতে
প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্ত হন এবং যিনি ওয়েজ আর্নার বিনিময় হার
প্রাপ্তির অধিকার লাভ করেন।
[3] ইস্যু অফিস
বলতে-বাংলাদেশের তফসিলী বাংকের প্রধান কার্যালয়সহ ঐ সকল শাখা, যারা ওয়েজ
আর্নারদের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব পরিচালনা করে থাকে;বিদেশস্থ বাংলাদেশী
ব্যাংকসমূহ ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশী কোন
ব্যাংকের আওতাধীন বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহ।