ডাকঘর
সঞ্চয় স্কিমের আওতায় সাধারণ ও মেয়াদী আমানতের সীমা এক তৃতীয়াংশে নামিয়ে
এনেছে সরকার। আগে এই স্কিমে একক ও যৌথ নামে যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ৬০ লাখ টাকা
বিনিয়োগের সুযোগ ছিল।
সরকারের নতুন
আদেশে তা নেমে এসেছে যথাক্রমে ১০ লাখ ও ২০ লাখ টাকায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ
(আইআরডি) সম্প্রতি জারি হওয়া এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার
প্রকাশ করেছে। এটি কার্যকর হবে গত ১৮ মে থেকে। এর ফলে এ খাতে ঢালাও
বিনিয়োগের সুযোগ কমে এলো।
অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে এ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে যারা সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতেন, তারা বিপাকে পড়বেন।
সঞ্চয়পত্রে
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া থাকলেও ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের
আওতায় টাকা জমা রাখায় কোনও শর্ত ছিল না। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের টাকা
রাখার সুযোগ ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এই সুযোগের অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।
বলা হচ্ছে, যাদের উদ্দেশ্যে সরকার এ সুযোগটি দিয়েছে, তাদের বাইরে বড় অংশই
এখানে টাকা রাখছেন। এছাড়া অনেকে অবৈধ ও কালো টাকা বৈধ করার জন্যও এ
মাধ্যমটি ব্যবহার করতে থাকে।
ডাকঘর সঞ্চয়
স্কিমের সুদের হার প্রায় অর্ধেক কমিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রজ্ঞাপন জারি করে
সরকার। তবে সমালোচনার মুখে আগের হার ঠিক রেখে মার্চের মাঝামাঝিতে নতুন
আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে নতুন এ
প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
Tags: সঞ্চয়পত্র,সঞ্চয়পত্র আয়কর,সঞ্চয়পত্র প্রজ্ঞাপন,পেনশনার সঞ্চয়পত্র,সঞ্চয়পত্র টিআইএন,বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম,সঞ্চয়পত্র কি হালাল নাকি হারাম,অবসর সঞ্চয়পত্র,সঞ্চয়পত্র ইএফটি