পিঁপড়ার যতসব অজানা তথ্য ও শিক্ষণীয় বিষয় | Unknown facts of Ant

পিঁপড়ার যতসব অজানা তথ্য ও শিক্ষণীয় বিষয় | Unknown facts of Ant
 পিঁপড়া ক্ষুদ্র হলেও আমাদের কর্মী হওয়ার শিক্ষা দেয়। ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবার শিক্ষাও পাওয়া যায় পিঁপড়া থেকে। পবিত্র কোরআনে একটি সুরার নাম হচ্ছে নমল যার অর্থ পিঁপড়া। বাইবেলেও পরিশ্রমী হওয়ার জন্য পিঁপড়ার কাছে যেতে বলা হয়েছে! সত্যিই ছোট্ট একটি প্রাণীও যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ভেবে অবাক হতে হয়।

বিশ্বে জানার কোনো শেষ নেই। পিঁপড়ার কান নেই। পিঁপড়ার হাঁটু এবং পায়ে আছে বিশেষ এক ধরণের সেনসিং ভাইব্রেসন যার মাধ্যমে আশেপাশের পরিস্থিতি পিঁপড়ারা বুঝতে পারে। পোকামাকড়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী পিপড়া।

Watch Video For More Info




বিশ্বে পিঁপড়ার প্রায় ১২ হাজার প্রজাতি রয়েছে। এই প্রাণীটি তার শরীরের ওজনের চেয়েও ২০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে! পিঁপড়াদেরও একজন রাণী থাকে যার থেকে লক্ষাধিক বাচ্চা হয়। পিঁপড়ার কান নেই। তাই মাটির কম্পন থেকেই শব্দের ব্যাপারটি বুঝে নেয়। পিঁপড়ার লড়াই শুরু হলে তা কতক্ষণ চলতে পারে ধারণা করুন তো?

জানলে সত্যিই অবাক হবেন। কারণ পিঁপড়ার লড়াই মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে! পিঁপড়া সর্বদা একই রেখায় চলতে থাকে। চলার পথে প্রতিটি পিঁপড়াই এক ধরণের তরল পদার্থ (ফেরোমন) নির্গত করে। ফলে পিছনে থাকা পিঁপড়াগুলো সামনের গুলোকে অনুসরণ করতে পারে। রাণী পিঁপড়ার পাখা গজায়।


পিঁপড়ার ফুসফুস নেই। শরীরে অনেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে যার মাধ্যমে শরীরের ভিতর ও বাইরে অক্সিজেন চলাচল করে! সাধারণত পিঁপড়ার জীবনকাল ২৮ বছর। তবে রাণী পিঁপড়া ৩০ বছরেরও অধিক সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে। যখন একটি পিঁপড়া মারা যায় তখন তার শরীর থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। ফলে অন্য পিঁপড়ারা সহজেই মৃত পিঁপড়া সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যায়।

আবার নির্গত এই রাসায়নিক পদার্থ যদি অন্য পিঁপড়ার শরীরের লাগে তবে সেই পিঁপড়াও মারা যেতে পারে! মানুষ ও পিঁপড়ার মাঝে একস্থানে মিল পাওয়া যায়! উভয়েই খাদ্য মজুত করে রাখে। পিঁপড়ার শরীরের গঠন এমন যে এটিকে উড়ন্ত উড়োজাহাজ থেকে ফেলে দিলেও সামান্যতম ব্যথা পাবে না। পিঁপড়া কখনই ঘুমায় না। এরা পানির তলদেশে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। পিঁপড়ের পেট দুটো। একটিতে নিজের জন্য খাদ্য জমা রাখে, অন্যটিতে অন্যের জন্য!

জানি এই কথাটি সত্য হলেও বিশ্বাস করা কঠিন। কথাটি হচ্ছে বিশ্বে যত জনসংখ্যা রয়েছে তাদের ওজন আর সমস্ত পিঁপড়ার ওজন প্রায় সমান হবে! অধিকাংশ পিঁপড়া লাল ও কালো রংয়ের হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক স্থানে সবুজ পিঁপড়ারও সন্ধান পাওয়া যায়।

Total Pageviews