যদি মাসিক নিয়মিত হয়, তবে পরবর্তী
মাসিক শুরুর অন্তত ১০ থেকে ১৬ দিন
আগে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু
নিঃসৃত হওয়ার কথা এবং এই সময়টুকু
হচ্ছে সবচেয়ে উর্বর।
সহবাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন নিজেই
জাদুকরি ট্রিক্স জেনে নিন
মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি (অর্থাৎ
১৪ দিনের মাথায়) লুটিনাইজিং
হরমোন (LH) ক্ষরণের ৩৬-৩৮ ঘন্টার মধ্যে
ডিম্বকোষ (Ovum) নির্গত হয়। এই বেরুনর
পর ডিম্বকোষ যদি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে
উপযুক্ত সংখ্যক শুক্রকোষ পায় তবে তার
একটির সাথে মিলিত হয়ে সন্তান
দিতে পারে। তবে ডিম্বকোষটি
জীবিত থাকে আরো প্রায় ৩৬ ঘন্টা
অর্থাৎ ডিম্বকোষের আয়ু সর্বমোট ৭২
ঘন্টা বা তিনদিন।
প্রশ্ন : মাসিকের কত দিন আগে বা
পরে কনডম ছাড়া সেক্স করা যায়?
অন্যদিকে যৌনমিলনের পর জরায়ু তথা
ডিম্বনালীতে প্রবেশের পর
শুক্রকোষও (spermatorza) জীবিত
থাকতে পারে সর্বাধিক ৭২ ঘন্টা।
তাই ২৮ দিনের মাসিক ঋতুচক্রের
মাঝামাঝি মোট প্রায় ১২০ ঘন্টা
(৫দিন) হচ্ছে উর্বর সময়,–এই সময়
যৌনমিলন হলে সন্তানের জন্ম হতে
পারে। মোটামুটি মাসিকের ১৪
দিনের মাথায় ডিম্বকোষ হচ্ছে ধরে
নিয়ে তার ২-৩ দিন আগে ও ২-৩ দিন
পরে হচ্ছে এই উর্বর সময়। তবে যারা
সন্তান নিতে চান না, তাদের এটিও
জেনে রাখা দরকার যে, এই
ডিম্বকোষের নির্গমনের (ovalution)
দিনটি প্রচণ্ড পালটায়। তাই এর সঙ্গে
আগে ও পরে আরো দু’একদিন যোগ করা
ভাল।
ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনের
ক্ষতিসমূহ (অবশ্যই ভিডিওটি দেখবেন)
তবু মাসিক ঋতুচক্রের ৯ম দিনের আগের
ও ২০শ দিনের পরেকার সময়কে
মোটামুটি নিরাপদ সময় বলে ধরা
যায়। এই সময় যৌন মিলন ঘটলে তার
থেকে সন্তান ধারণের তথা গর্ভবতী
হওয়ার সম্বাবনা থাকে না, কারণ এই
সময় ডিম্বকোষ বেরোয়ই না। কিন্তু
বিরল হলেও এটিও দেখা গেছে যে,
মাসিক চক্রের যে কোনও দিন
(তথাকথিত ঐ নিরাপদ সময়ের
দিনগুলিসহ) মাত্র একবারের
যৌনমিলনেও নারী গর্ভবতী হতে
পারে অর্থাৎ বিরল ক্ষেত্রের
মাসিক চক্রের যে কোন সময়ই
ডিম্বকোষ বেরুতে পারে।
পূর্ন উত্তেজনার্থে মেয়েদের কিছু
স্পর্শ কাতর গোপনাঙ্গ সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিন (ভিডিওসহ)
তাই এই হিসাবে তথাকথিত নিরাপদ
সময় বলে কিছু নেই। তবে এটি নেহাৎই
ব্যতিক্রম। সাধারণভাবে ৯ম দিনের
আগে ও ২০শ দিনের পরের সময়টি
নিরাপদ সময় এবং ৯ম-২০শ দিনের
মধ্যকার সময়টিকে উর্বর সময় হিসাবে
ধরা যায়, আর এর মধ্যেও দ্বাদশ থেকে
ষোড়শ (মতান্তরে ১৩ম থেকে ১৭ম)
দিনটি উর্বরতম সময়।