ভুল করা যেমন মানুষের স্বভাবজাত
প্রবৃত্তি, তেমনি পাপের উর্ধ্বে কোন
মানুষ থাকতে পারেনা। পাপ বা
গুনাহ হয়ে থাকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায়
অথবা জেনে-না জেনে। তবে সেই
পাপ থেকে মুক্তির উপায় কি?
গুনাহ করা যেমন বান্দার স্বভাব
তেমনি গুনাহ মাফ করাও আল্লাহর
স্বভাব এবং বিশেষ গুণ। আল্লাহ
তায়ালা বলেন, যে তাকওয়ার নীতি
অবলম্বন করে তার গুনাহগুলো মিটিয়ে
দেয়া হবে এবং তার প্রতিদানকে বহু
গুণে বৃদ্ধি করা হবে। (সূরা তালাক : ৫)
মানুষ সাধারণত চার ধরণের গুনাহ করে
থাকে। এর মধ্যে দুই ধরণের পাপ ক্ষমা
করা হয়। আর বাকি দুই ধরণের পাপ ক্ষমা
করা হয় না।
১. অনিচ্ছাকৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে
ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।
এজন্য আজাব দেয়া এবং নিয়ামত বন্ধ
করা হয় না। (সূরা আহযাব : ৫)
২. কবিরা গুনাহ করার পর অনুতপ্ত হয়ে
তওবা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন
এবং তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি করেন। (সূরা
আল-ইমরান : ১৩৫)
সুতরাং ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায়
হোক পাপ কারার পর অনুতপ্ত হয়ে
আল্লাহর কাছে খালেস তওবা করতে
হবে। দেরিতে হলেও তাওবা করতে
হবে। তবে তা অবশ্যই মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু
হওয়ার আগেই করতে হবে। আল্লাহপাক
নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।
তওবা করার সময় তিনটি বিষয় মনে
রাখতে হবে। তা হলো- ১. কৃতকর্মের
অনুশোচনা করা। ২. ভবিষ্যতে
সংশ্লিষ্ট গুনাহ না করার ব্যাপারে
দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। এবং ৩.
আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের
সবাইকে পাপ থেকে বেঁচে থাকার
এবং খালিসভাবে তাওবা করার
তাওফিক দান করুন। আমিন
Home »
Islamic Story amp; Hadis
» যে শ্রেণির মানুষকে পাপ করার পরেও ক্ষমা করে দেন আল্লাহ তা’আলা