ঘুম হচ্ছে ক্লান্তির ফলাফল। কিছুটা অভ্যাসেরও বটে। তবে তা ক্লান্তিই হোক বা অভ্যাস, অতিরিক্ত ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ঝুঁকি বয়ে আনে, জীবনের জন্য তেমনি হানিকর। অতিরিক্ত ঘুম যদি আপনার অভ্যাস হয়ে থাকে তবে তা আজ থেকেই পরিবর্তন করে ফেলুন। জেনে অবাক হবেন যে, অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা বলেছে- “যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।” আর ক্লান্তিজনিত কারণে ঘুম বৃদ্ধি পেলে, ঘুম বাড়িয়ে নয় বরং ক্লান্তি কমিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করতে সচেষ্ট হন। যখনি অধিক ক্লান্তিতে পতিত হবেন, তখনি-
-বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন। এতে কিরে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হবে যা আপনাকে ক্লান্তি মুক্ত করে অধিক ঘুম থেকে পরিত্রাণ দেবে।
-পানি ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে। সারাদিন বেশি বেশি পানি পান করুন।
-উঁচু বিটের গান শুনুন। এসকল গান আপনার শ্রবণ ইন্দ্রীয়কে সজাগ রেখে ঘুম কমাবে।
-হাসির কিছু দেখুন। হাসলে মস্তিস্কে এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ে যা ক্লান্তি দূর করে অরিতিক্ত ঘুমের কবল থেকে রেহাই দেবে।
-বাদাম চিবান। এতে এনার্জি পাবেন। অতিরিক্ত ঘুম অনেক ক্ষেত্রেই দুর্বলতার জন্য হয়ে থাকে।
-বেশি বেশি হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অতিরিক্ত ঘুম পালাবে।
ধীরে ধীরে এই অভ্যাসগুলো নিজের ভেতর রপ্ত করে নিন। তখন অতিরিক্ত ঘুম থেকে রক্ষা পাবেন, দুর্বলতা কেটে যাবে, পড়াশুনাও হবে দারুণ। ধন্যবাদ।