ঢেড়শের উপকারিতা কি কি এবং এটি কাচা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি?

এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ফসফরাস এবং ভিটামিন এ,বি,ও সি।
কি কি সমস্যার প্রতিকারে ঢেড়স কার্যকর?
আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট গলগন্ড রোগ এবং
মস্তিষ্ক ও হৃত্পিন্ডের দুর্বলতার প্রতিরোধে
ঢেড়স খুবই উপকারী সবজি। ঢেড়সে
রাইবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মুলো, টমেটো
আর সীমের চেয়েও বেশী। তাছাড়া ঢেড়স শরীরের
আরও কিছু সমস্যা দূর করতেও সহায়ক।
সমস্যাগুলো একে একে বলা যাক এবং সাথে সাথে
তার প্রতিকারও বর্ণনা করা যাকঃ
একঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এবং সারা শরীরে এক
ধরণের অস্বাস্থ্যকর ভাব থাকলে বীজ ফেলে
দিয়ে দু'তিনটে কাঁচা ঢেড়স প্রায় ৪৫০ গ্রাম
পানিতে এমনভাবে সেদ্ধ করুন যাতে এক কাপ
পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। এখন পানিটুকু ছেঁকে
নিয়ে মাঝে মাঝে পান করলে প্রস্রাব আর
পায়খানা উভয়ই পরিস্কার হবে।
দুইঃ ঢেড়স খেলে খুসকুসে কাশির উপকার হয়।
সে ক্ষেত্রে বীজ ফেলে দিয়ে কয়েকটি কাঁচা
ঢেঁড়স রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। পাঁচ/ছয়
গ্রাম ঢেড়সের শুকনো গুঁড়ো নিয়ে চিনির কড়া
রসে মুড়ি বানিয়ে তা চুষে খেলে অল্প সময়ের
মধ্যেই উপকার পাওয়া যায়।
তিনঃ ঢেড়স ব্লাড-সুগার কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকলে কালো
জামের বীজ চূর্ণ করে এক গ্রাম পরিমাণ চূর্ণের
সাথে তিন-চারটে কচি ঢেড়স সেদ্ধ পানির সঙ্গে
ক'দিন খেলে ব্লাড সুগার কমে যায় বলে জানা
গেছে।
চারঃ ঢেড়স প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূর
করতেও সহায়ক। প্রচুর পরিমাণ পানি পান
করলেও অনেক সময় প্রস্রাবের পরিমাণ কম হতে
পারে। এমনটি হলে বীজ ফেলে দিয়ে ৩/৪টে কাঁচা
ঢেড়স আধা সের পরিমাণ পানিতে সেদ্ধ করে পানি
একপোয়া পরিমাণ থাকতেই নামিয়ে ছেঁকে নিন।
এই পিচ্ছিল পানি খেলে প্রস্রাব সরল হয় এবং
পরিমাণেও বেড়ে যায়। কয়েকদিন এই পানি খেলে
প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের সমস্যা দূর হয়।

Total Pageviews