খেজুর সারাবছর পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের
অনেকেরই তা খাওয়া হয় কেবল রমজান মাসে।
কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর, শরীরের
শক্তির ঘাটতে পূরণের জন্য ইফতার শুরু করা
হয় এই ফলটি খাওয়ার মধ্য দিয়েই।
বছরের অন্যান্য সময় এই ফলটিকে আমরা আর
প্রাধান্য দিই না। অথচ অসাধারণ পুষ্টিগুণে
ভরপুর এই খেজুর আমাদের শারীরিক নানা
সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। খাওয়া
উচিত তাই প্রতিদিন। আর শীতকালে তো
অবশ্যই। কেন? সেটাই জেনে নিন এখন।
* শরীর গরম রাখে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন,
ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি শরীর গরম
রাখতে সাহায্য করে। তাই শীতকালে দৈনন্দিন
খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখুন।
* ঠান্ডার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে: ঠান্ডায়
খুব হাঁচি-কাশির সমস্যায় ভুগলে ২-৩টি খেজুর,
এবং ১-২ টি এলাচ নিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে
সেই পানি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন।
ঠান্ডার সমস্যা দূর হবে।
* অ্যাজমার সঙ্গে লড়াই: শীতে যেসব সমস্যায়
অনেকে বেশি ভোগ তার মধ্যে অন্যতম হল
হাঁপানি বা অ্যাজমা। প্রতিদিন সকালে আর
বিকালে নিয়ম করে ১-২টি খেজুর খান। মুক্তি
মিলবে হাঁপানি সমস্যা থেকে।
* শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে: খুব দুর্বল লাগছে
অথবা শরীরের এনার্জির অভাব হচ্ছে? তাহলে
ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে
এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা
নেই।
* কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়: কয়েকটি খেজুর
সারারাত পানিয়ে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই
খেজুর পিষে পানিতে মিশিয়ে সেই পানি পান
করুন। এই অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যার
কমাবে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার
কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুন কাজ
করে।
* হার্টের জন্য ভালো: ফাইবার হার্টকে
ভালো রাখে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
থাকার কারণে এই ফলটি খেলে হার্ট যেমন
ভালো থাকে, তেমনি হার্টরেটও নিয়ন্ত্রণে
থাকে। ফলে কমে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা।
* আথ্রাইটিস কমায়: শীতে যারা আথ্রাইটিসের
সমস্যায় খুব ভোগেন তারা আজ থেকেই খেজুর
খাওয়া শুরু করুন। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি
প্রপাটিজ থাকার কারণে আথ্রাইটিসের ব্যথা
কমাতে এটা দারুন কাজে দেয়।
* উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে:
ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ
কমাতে সাহায্য করে। আর এই দুটি খনিজ
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকায় এই ফলটি খেলে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন ৫-৬টা
খেজুর খেতে পারেন।