বর্তমানে খাবারে ভেজাল, বায়ুতে দূষণ এবং
পানিতে জীবাণু রয়েছে! এ রকম অভিযোগ কম-
বেশি আমরা সবাই করে থাকি।
এসবের সঙ্গে লড়াই করে রোজ বেঁচে থাকতে
হয় আমাদের। রোজ ভেজাল জীবনযাপনের
কারণে আমাদের শরীরে দেখা দেয় পুষ্টির
ঘাটতি।
এতে অল্পতেই আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন,
দুর্বলতার কারণে আপনার পারিবারিক জীবনেও
দেখা দিয়েছে হতাশা। এখন উপায়?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের সমাধান
পাওয়া কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব নয়। তারা
প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি একটি ওষুধের কথা
বলেছেন, এতে রয়েছে এমন শক্তি যা শত
প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শরীরকে সব দিক থেকে
সুস্থ রাখতে সক্ষম।
এ ওষুধ প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীরে
নানাবিধ ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ছোট-বড়
প্রায় কোনো রোগই ছুঁতে পারে না।
আসুন এ ব্যাপারে একটি ঘরোয়া ওষুধ তৈরির
উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী জেনে নিই;
ওষুধটি তৈরিতে প্রয়োজন পড়বে ২ চা চামুচ
পেঁপের বীজ ও ১ চা চামুচ মধু। পেঁপের বীজ বেটে
মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি
পেটে খেতে হবে। এই ওষুধটি প্রতিদিন খেলে
এনজাইম স্পার্ম কাউন্টের উন্নতি ঘটবে। যাতে
আপনার দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যাবে।
এ ওষুধটি দুর্বলতা কাটিয়ে উর্বরতা বাড়ানোর
পাশাপাশি আর কি কি উপকার করবে তা নিম্নে
আলোচনা করা হল;
* এই ওষুধে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-
অক্সিডেন্ট এবং এমন কিছু শক্তিশালী
উপাদান, যা শরীর থেকে সব রকমের ক্ষতিকর
টক্সিন বা বিষ বের করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে এতে রোগে
আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও কমে যায়।
* এ ওষুধটি স্টমার ক্ষতিকর পোকাদের মেরে
ফেলে। কারণ স্টমায় এসব ক্ষতিকারক
উপাদানের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত হজমের
সমস্যা বাড়বে। আর এ ধরনের রোগের হাত
থাকে বাঁচাতে এই ঘরোয়া ওষুধটির কোনো
বিকল্প হয় না বললেই চলে।
* এই ওষুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা
পেশি গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই তো যদি পেশীবহুল শরীর পেতে চান,
তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই
ঘরোয়া ওষুধটি।
* যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের তো এই
ওষুধটি খাওয়া খুব জরুরি। কারণ পেঁপে এবং মধুতে
রয়েছে বেশ কিছু লিপিডস এবং পটাশিয়াম, যা
মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে।
* আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়লে পেঁপে
এবং মধু মিশ্রিত এই ওষুধটি খাওয়া শুরু করে
দিন। কারণ এতে রয়েছে গ্লকোসিনোলেট নামে
একটি উপাদান, যা সেলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে
দেয়। ফলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে
না।
* ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে
ওই ওষুধটি। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-
অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।