-- আঙ্কেল আমি আপনার ছেলের বউ?(অন্তরা)
-- কী? কে তুমি?( বাবা)
-- আমি রাজের বউ, আপনার বউ মা?
-- নাম কি তোমার?
-- অন্তরা
-- কবে হলো তোমাদের বিয়ে?
-- এই তো তিন মাস হলো।
-- রাজের মা তুমি ওরে ঘরে নিয়ে যাও। রাজ আসলেই তারপর সব কথা হবে।
আমি দেবরাজ। কেউ দেব আর কেউ রাজ বলেও ডাকে। আমি এবার নরসিংদীতে অনার্সে হিসাববিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করছি। যেহেতু মাথায় গোবর পুরা সেহেতু কোন পাবলিকে আমার জায়গা হয় নি। এই গোবর পুরা মাথা নিয়ে আমি ৪র্থ বর্ষে এসে পরলাম। আমি ছাত্র হিসেবে খারাপ হতে পারি কিন্তু মানুষ হিসেবে এতো খারাপ না।
আজ আমাদের কলেজে অনার্সের ১ম বর্ষের নবীন বরন অনুষ্ঠান। যেহেতু আমরা এবার শেষ বর্ষে পড়ি সেহেতু অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পড়ল আমাদের ব্যাচের উপর। আর এক্সট্রা আমার ভাগে আসল ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়া দাওয়ার দিক পরিচালনার ব্যবস্থা করতাম। যাই হোক, এতো বড় মহৎ কাজ তো আমি একা পারব না তাই আমার দলে নদী আর আখি দুইটা হারামীকে নিয়ে নিলাম। মানে তিন বন্ধু মিলে খাওয়া দাওয়ার কাজ পরিচালনা করব। আর হা মেয়েদের মাঝে এই দুইটাই আমার জানে বেষ্ট ফ্রেন্ড। সব সময় আমার পাশে থেকে পাম দিয়ে যায় যেন আমি রুটির মত ফুলি। সাধারনত ক্লাসের সবাই আমাদের 3 ইডিয়ট ও বলে। যদিও বা আমি ভাল ছেলে।
খাবারের বক্স গুলো নিয়ে আমি ক্লাস রুমে যাচ্ছি এমন সময় রিপন ডাক দিল। ও হা রিপন আমার ক্লাসমেট..........
-- এই রাজ একটু শুন তো....
-- কি হলো?
-- একটু দরকার ছিল।
-- ওকে বল
-- এটা বললে হবে না, একটু করতে হবে?
-- তুই কি বলদ রে দেখতে পারছিস না আমার হাতে খাবারের বক্সগুলো। আমি কিভাবে এখন কাজ করব?
-- দোস্ত এই গুলো একটু তারাতারি রেখে আয় না। খুন সমস্যায় পরছি?
--ওকে আসছি, তুই দাড়া
ওর জন্য বক্স গুলো রেখে কোন মতে দৌড়ে আসলাম। কারন ও বলছে খুব সমস্যায় পরছে............
-- এবার বল কি দরকার?
-- এই নে সিগারেট টা ধর।
-- ওই না আমি এইসব খাই না।
-- আমি খেতে বলি নি, একটু ধরতে বলছি। আমি একটু অফিস রুমে যাব আর আসব। স্যারের ডেকে ছিল তাই। তুই প্লিজ একটু রাখ কারন অন্য কারো হাতে দিলে শালারা খেয়ে ফেলব।
-- তাই বলে আমার হাতে, যা কখনো ধরেও দেখি নি।
-- তাই দিলাম নয়ত আমার টাকা টাই জলে যাবে।
-- ওকে যা
-- ওকে আমি যাব আর আসব।
বলেই রিপন অফিস রুমে ডুকল আর আমি বাইরে দাড়িয়ে আছি। হঠাৎ পিছনে ফিরতে যাব এমন সময় খেলাম একটা ধাক্কা সাথে ক্রাশ........
-- অসভ্য......( মেয়েটি)
-- মানে?
-- দেখা আছে এমন ছেলেদের, বাজে ছেলে কোথাকার
--এই যে আমি কিন্তু ধাক্কা দেই নি। আপনিই হয়ত ভুল বশত খাইছেন?
-- হইছে হইছে হাতে সিগারেট নিয়ে অফিসের সামনে দাড়িয়ে আছে। আবার বড় বড় ডায়লগ মারতে আসছে।
-- এই যে আমি সিগারেট খাই না?
-- হুমমম হাতেই তো এর নমুনা নিয়ে ঘুরছেন।
কি আর বলব এখন হাজার বুঝালেও বুঝবে না। কারন সাধারনত মানুষ তার চোখ কেই বিশ্বাস করে। যা হওয়ার তা হয়ে গেছে আর মেয়েটা বকবক করতে করতে চলে গেল। কেন যে এমন সময়ই এই সুন্দরীকে আসতে হলো বুঝতে পারছি না। কত দিন পর একটা ক্রাশ খাইলাম। সেই ক্লাস টেনে ক্রাশ খাইছিলাম এর পর আর খাই নাই। আবার আজ খাইলাম কিন্তু কপালটা এতোই ভাল ছিল যে হাতে সিগারেট ছিল।
-- থ্যাংকস রে মামা।
-- শালা হারামী তো জন্য একটা সুন্দরী মেয়ে আমাকে ভুল বুঝছে। এই নে তোর সিগারেট।
-- কি হইছে বলবি তো?
-- আমার মাথা হইছে।
রাগ নিয়ে চলে আসলাম। কত সুন্দরী ছিল মেয়েটা। পাঠকদের ভাবী হিসেবে পারফেক্ট ছিল 😜। তারপর আবার মেয়েটার সাথে দেখা হলো। যখন অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে খাবারের প্যাকেট গুলো দিতে ছিলাম। মেয়েটা আমার হাত থেকে এমন ভাবে প্যাকেট টা নিলো যেন আমি নিজেই সিগারেট। যদিও ওর ব্যবহারে খারাপ লাগছে তবু কি করব আমার যে কোন দোষ নেই। পরে নদীরে সব বলি আর ও মেয়ের নামটা জেনে দেয়। ওর নাম অন্তরা।
অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে চলে আসলাম। আর তারপর আবার সাধারন ভাবেই দিন গুলো চলতে লাগল। তবে মাঝে মাঝেই অন্তরার সাথে দেখা হয় কিন্তু কোন কথা হয় না। কারন হয়ত মেয়েটি আজও আমাকে খারাপ চোখে দেখে।
আজ ক্লাসে এসে ভাল লাগছে না। তাই বাড়ি চলে যাবো এমন সময় পিছন থেকে রিপন ডাক দিলো.............😒
-- দোস্ত কেমন আছিস?
-- আর কই ভাল থাকতে দিলি। সুন্দরী মেয়ের সামনে তো বাশই দিয়ে গেলি।
-- সরি রে মামা ওই দিন কি হইছে বললি না তবু সরি বলছি।
-- যা হইছে তা আমার কপাল। এবার আর কি বাশ দিতে আসলি?
-- কি যে বলিস দোস্ত। তোরে আমি দিমু বাশ।
-- হুমম কি হইছে এটা বল তো?
-- এই বিয়ারের বোতল দুইটা রাখবি, আমার ব্যাগে জায়গা হচ্ছে না।
-- ওই কেউ দেখলে কি ভাববে বল তো?
-- কে দেখব, থাকব তো তোর ব্যাগে।
-- ওকে দে
ওর থেকে বোতল গুলো নিয়ে ব্যাগে রাখে সামনে তাকালাম আর সেই অন্তরার দেখা। ওই উপরওয়ালা এমন সময় গুলো তে কেন ও বার বার আমার সামনে আসে। সাড়া দিন তো কত ভাল কাজও করি ওই গুলোর সময় কি ঘুমিয়ে থাকে। ও আমার দিকে তাকে চলে যাচ্ছে। এখন কি বলব বুঝতেই পারছি না। যদ
Home »
» সাড়া দিন গাধার মত কাজ করার পর রাতে আমার হাতে ক্যামেরা দিল ছবি তুলার জন্য।
কারন ছবি আমি একটু ভালই তুলি। তাই এই কাজটাই করতে লাগলাম।