~~ কিছুটা গল্প অনেকটা বাস্তব~~
/
সকাল বেলা কলিং বেলের ডাক শুনে শুভ
গেলো দরজা খোলতে। দরজা খোলতেই
মনের
মধ্যে চমৎকার একটা ধাক্কা খেলো!. দরজার
ওপাশে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অসম্ভব
রুপবতী একটা মেয়ে। চোলগুলো খোলা।
মেয়েটার হাতে কয়েকটা চকলেট। একটা মুখে
দিয়ে বাকি গুলো ব্যাগের মধ্যে ঢুকাচ্ছে।
চকলেট গুলো ঢুকাতে যেয়ে ওর চুলগুলো
মুখের
সামনে এসে যাচ্ছে। সে বার বার চুলগুলো মুখ
থেকে সরাচ্ছে। ওর এই বাচ্চাসুলভ আচরণ শুভর
বেশ ভালো লাগছে। আবার হাসিও পাচ্ছে। ও
মেয়েটার দিকে একদৃষ্টীতে তাকিয়ে আছে।
মেয়েটা ওর পাশ কাটিয়ে প্রায় লাফাতে
লাফাতে ঘরে ঢুকলো। শুভ একই ভঙ্গীতে
দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার কথা ভেবে
যাচ্ছে। শাহীন ভাইয়ের কথায় তার ভাবনায়
ছেদ পড়লো....
-- হ্যা মেঘলা এসে গেছ।
-- আসসালামু আলাইকুম স্যার। ( মেঘলা)
-- ওয়ালাইকুম আসসালাম। বস।
বোঝতে পারলো মেয়েটা শাহীন ভাইয়ের
কাছে পড়তে আসে। শুভর একদম ইচ্ছে ছিলোনা
কলেজে যাওয়ার। কিন্তু জরুরি একটা ক্লাস
আছে। যেতেই হবে।
জরুরি ক্লাসে গিয়েও ওর কোনো লাভ
হলোনা। মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করেনি।
সারাদিন মাথার মধ্যে মেঘলা ঘুরেছে।
চোখের সামনে বার বার ওর মুখটা ভেসে
আসছে। হলো কি ওর!!.. অনেক মেয়েই তো
সে
দেখেছে। কিন্তু এরকম অনুভুতি তো কখনো
হয়নি। মেয়েটার কথা ভাবলে নিজের
অজান্তেই ঠোটের কোনে হাসির রেখা ফুটে
উঠছে। অদ্ভুত রকমের ভালো লাগা কাজ
করছে। শুভর মনে হচ্ছে খুব সম্ভব সে
মেয়েটার
প্রেমে পড়ে গেছে। অবশ্যই প্রেমে
পড়েছে!
*
গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের
একটা ছেলে শুভ। এস.এস.সি পাস করে শহরের
একটা কলেজে এসে ভর্তি হয়েছে। শাহীন
নামে
একজন বড় ভাইয়ের বাসায় উঠেছে। সবসময়
পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে শুভ।
ভালোবাসা কি সেটার মানেই বোঝতো না।
কখনো এগুলো নিয়ে ভাবেইনি। আর ভাববেই
বা কেনো?.. সবে এস. এস. সি দিয়েছে। কতই
বা বয়স তখন। যদিও তার সাথের বন্ধুরা দিব্যি
প্রেম করে যাচ্ছে। অবশ্য এটাকে প্রেম বলা
যায় না। একে টাইম পাস বলা যায়। আর শুভর
টাইম পাস করার জন্যে পড়াশোনাই যথেষ্ট।
বন্ধুমহলে সে অনেক বড়ো মুখ করে বলে
সে
কখনো প্রেমে পড়বে না। কিন্তু এবার মনে হয়
সে মুখটা ছোট হতে চলল!!
*
রাতে খাবার টেবিলে সাহীন ভাইকে
মেঘলার কথা জিজ্ঞেস করবে ভাবছে শুভ।
কিন্তু কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে। কিভাবে
কথাটা শুরু করবে ভাবছে। খালি এদিক ওদিক
তাকাচ্ছে। শাহীন ভাই ওর দিকে তাকিয়ে
বললেন.....
-- কিছু বলবি??.
সাথে সাথে শুভ বলল.
-- হ্যা। মানে ভাবছি তোমার মতো আমি
টিউশন পড়াবো। আচ্ছা সকালে যে মেয়েটা
পড়তে এসেছিলো ও কোন ক্লাসে পড়ে!!
-- কে মেঘলা??
-- হ্যা।
শাহীন ভাই নিরলস ভঙ্গিতে বললেন...
-- ক্লাস ফোরে
কথাটা শুনে শুভ সাংঘাতিক রকমের একটা
বিষম খেলো। মেঘলাকে দেখে মোটেও
মনে
হয়নি ক্লাস ফোরের স্টুডেন্ট। শাহীন ভাই
পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললেন...
-- খাওয়ার সময় কথা বলতে নেই শুভ।
শুভ ভালো করে শাহীন ভাইয়ের দিকে
তাকালো। নাহ!! মুখ দেখে তো একটু ও মনে
হচ্ছেনা উনি ওর সাথে ইয়ার্কি মারছেন!..
আর শাহীন ভাই খুবই সিরিয়াস টাইপের মানুষ।
শুভ বিষন্ন কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো.....
-- কয়বার ফেল করেছে মেয়েটা শাহীন ভাই??
-- কি আশ্চর্য!! ও ফেল করতে যাবে কেনো?...
মেয়েটা পড়াশোনায় বেশ ভালো।
-- না ওকে দেখে মনে হয়েছিলো এইট কি
নাইনে পড়ে। ফোরে পড়ে এটা কল্পনা করিনি।
-- হুম তা অবশ্য ঠিক। আজকাল কার
ছেলেমেয়েদের দেখে বোঝার উপায় নাই
কে
কিসে পড়ে!..
শুভ আর কি করবে!! কোনোরকম খাবারটুকু
খেয়ে
বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো। কিন্তু ঘুমতো আর
আসেনা। শুভ ঠিক করলো সে আর মেঘলাকে
নিয়ে ভাববেনা। ক্লাস ফোরের একটা মেয়ে
ভালোবাসার কি বোঝবে!! সে নিজেই তো
প্রেম নামক শব্দটার সাথে নতুন পরিচিত
হয়েছে। কিন্তু সকাল বেলা যখন সে আবার
মেঘলাকে দেখল... তখন আবার সেই একই
অবস্থা!!.. একই অনুভুতি। এভাবে যতবার শুভ
মেঘলাকে দেখে ততোবার সে নতুন করে
মেয়েটার প্রেমে পড়ে!!. অদ্ভুত এক টান তার
মেয়েটার প্রতি!!... শুভ অনেক ভেবে
দেখলো..
ওর যখন পড়াশোনা শেষ হবে তখন মেঘলার ও
এইচ.এস.সি কমপ্লিট হয়ে হয়ে যাবে। তখন সে
ভালো একটা চাকরি পেয়ে গেলেই আর
সমস্যা হবেনা। ততোদিন নাহয় সে অপেক্ষা
করবে। আর খবর নিয়ে জানতে পারে মেঘলাও
তার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সব
মিলিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে সে স্বপ্ন দেখতেই
পারে। অবাস্তব কিছু না!
শুভ সব সময় মেঘলার ওপর নজর রাখে। ওকে
দেখার জন্যে লুকিয়ে লুকিয়ে ওর বাড়িতেও
যায়। মেঘলার স্কুলে যায়। শুধু এক পলক ওকে
দেখার জন্যে।
এভাবে দেখতে দেখতেই শুভ সাহেবের চার
বছর কেটে গেলো। ইদানীং শুভ খেয়াল করছে
কয়েকটা ছেলে মেঘলার পিছনে ঘুর ঘুর করছে।
শুভ কেমন ইনসিকিওর ফিল করছে। মেঘলাকে
প্রপোজ করাটা এখন জরুরি ব্যাপার হয়ে
দাড়িয়েছে। কিন্তু শুভ চেয়েছিলো অন্তত ও
এস.এস.সি টা শেষ করুক। তারপর অবস্থা বুঝে
যা করার করবে। যাই হোক শুভর ইচ্ছে ছিলো
সে নিজে গিয়ে মেঘলাকে তার মনের কথা
বলবে। কিন্তু দেখা গেলো সরাসরি প্রপোজ
করার মতো সাহস আপাতত তার বুকে জমা নেই!.
তাই সে তার এক বন্ধুকে মেঘলার কাছে
পাঠালো। সে মেঘলাকে গিয়ে সবকিছু খুলে
বলল। বন্ধু এসে জানালো মেঘলা দুই দিন এর
সময় নিয়েছে। ভেবে তারপর জানাবে। শুভর
তাতে সমস্যা নেই। সে তার মনের কথাটা
মেঘলার কাছে পৌছাতে পেরেছে এটাই
অনেক। এখন ওর উত্তর না হলেও ওর কোনো
আফসোস থাকবেনা।
দুই দিন চলে গেলো। মেঘলা কিচ্ছু জানায়নি।
শুভ মেঘলার স্কুলে গেলো। চোখদুটো শুধু
মেঘলাকে খুজছে। হঠাৎ ঘাড়ে কারোও হাতের
স্পর্শ পেলো। ঘুরে দেখে মেঘলা দাঁড়িয়ে
আছে। শুভ কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।
মেঘলা শুভর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল...
-- সত্যিই ভালোবাসেন??
শুভ জোরে জোরে হ্যা সুচক মাথা নাড়ছে।
-- মুখে বলেন।(মেঘলা)
-- অবশ্যই ভালোবাসি।
-- কতটা??
-- কতটা জানিনা। তবে এটুকু জানি নিজের
থেকে অনেক বেশি।
শুভ মেঘলার হাত ধরে বলল...
-- কোনো এক স্নিগ্ধ সকালে একটা মেয়েকে
দেখছিলাম। ভাবিনি এরপর যেখানে যাবো
সেখানেই ওই মেয়েটাকে দেখতে পাবো।
সারাদিন মেয়েটার কথাই ভাবতাম। বোঝতে
পেরেছিলাম আমি মেয়েটাকে ভালোবেসে
ফেলেছি। তখন তাকে কিছু বলতে পারিনি।
কিন্তু আজ বলতে চাই। অনেক ভালোবাসি
তাকে। জানতে চাই সেই মেয়েটা কি কখনো
আমার হবে???----"... শুভ চোখ বন্ধ করে এক
নিশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেলল। মেঘলা
বলল...
-- সেই মেয়েটা আপনার হতে পারে এক শর্তে।
-- কি শর্ত?? ( ভয়ে ভয়ে)
-- মেয়েটার হাত সবসময় এইভাবে ধরে রাখতে
হবে। কখনো ছাড়া যাবেনা।
শুভর ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো।
সবকিছু
স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। শুভ ওর হাসিমাখা
মুখে একটা কথাই বলল...--" কখনওই না।--
শুভ এখন মেঘলাকে আগের থেকে অনেক
বেশি
ভালোবাসে। ওর খেয়াল রাখে। ওর কি লাগে
না লাগে সবকিছু। দূরে থাকার কারনে
চাইলেও আগে কিছু করতে পারতোনা। একটু
অভিমান আর অনেকটা ভালোবাসা নিয়ে
ভালোই চলছিলো শুভ আর মেঘলার পৃথিবীটা।
মেঘলাও তখন এস.এস.সি তে অনেক ভালো
রেজাল্ট করে কলেজে ভর্তি হয়। হঠাৎ করেই
তিন চার দিন ধরে মেঘলার কোনো খবর
পাচ্ছেনা শুভ। ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় সে।
অবশেষে একটা অচেনা নাম্বার থেকে
মেঘলার ফোন আসে। কান্নাজরিত কন্ঠে
জানায় ওর পরিবারে সবাই ওর আর শুভর
ব্যাপার টা জেনে গেছে। সবাই রাগারাগি
করছে। মেঘলা বলে...ওরা যদি শুভকে মেনে
না নেয় তাহলে সে পালিয়ে যাবে। শুভ
মেঘলা কে শান্ত হতে বলল। সে নিজে গিয়ে
মেঘলার পরিবারের সাথে কথা বলার
সিদ্ধান্ত নিলো। যেই ভাবা সেই কাজ। শুভ
ওনাদেরকে সব বুঝিয়ে বলল। পড়াশোনা শেষ
করে একটা চাকরি পেলেই সে মেঘলাকে
বিয়ে করবে। শুভকে সবারই পছন্দ হয়। ওনারাও
আর আপত্তি করলেন না। ছেলে অনার্স থার্ড
ইয়ার এ পড়ে। পড়ালেখায় ও ভালো। ভদ্র
পরিবারের ছেলে। উনারা শুভকে কথা দিলেন
মেঘলার এইচ.এস.সি দেয়ার পরই শুভর সাথে ওর
বিয়ে দিবেন।
শুভ তার স্বপ্ন থেকে আর এক কদম দূরে। এত বছর
ধরে যে স্বপ্নটা সে দেখে আসছে সেটা পুরন
হবে। ভাবতেই এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ
করছে।
*
কয়েকদিন ধরেই শুভ লক্ষ করলো মেঘলা ওর
কলেজের কয়টা ছেলের সাথে বেশ হেসে
হেসে কথা বলে। ওদের সাথে চলাফেরা করে।
শুভকে আগের মতো আর সময় দেয়না। শুভর
ব্যাপারটা একদমই ভাল লাগছেনা। হঠাৎ করে
ওর মনে হচ্ছে সে মেঘলাকে হারিয়ে
ফেলছে!!.. অজানা এক আশংকায় সে ভীত হয়ে
পড়লো।....
*
*
আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। শুভ এই বৃষ্টির
মধ্যে হেটে হেটে মেঘলাদের বাড়ীর
সামনে
এসে দাড়ালো। পুরো বাড়ীটা আলোতে ঝলমল
করছে। কারন আজ মেঘলার বিয়ে!!.. মেঘলা
একটা দিনেই মেঘলার বিয়ে হচ্ছে। কি অদ্ভুত
মিল!!..
বিয়েটা অবশ্যই শুভর সাথে হচ্ছে না!. হচ্ছে
অনেক বড়োলোক কোনো একটা ছেলের
সাথে।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই মেঘলার বাবা মা
ওকে ডেকে বলেন মেঘলাকে বিয়ে করতে।
শুভ
বলল ওর এখন থার্ড ইয়ার ফাইনাল এক্সাম
চলছে। এখন বিয়ে করা কিভাবে সম্ভব!! কিন্তু
ওনারা কোনো কথা বুঝতে রাজি না। বললেন
বিয়ে করতে না পারলে মেঘলার জীবন থেকে
দূরে সরে যেতে। কথাগুলো শুভর মাথার ওপর
দিয়ে গেলো। নিজেকে বড্ড অসহায়
লাগছিলো। কি করবে বোঝতে পারছিলো না।
কোনো উপায় না পেয়ে সে মেঘলাকে
ফোন
দেয়...
-- আমি কিচ্ছু বোঝতে পারছিনা এখন আমি কি
করবো বলো??
মেঘলা অত্যন্ত ঠাণ্ডা গলায় বলল...
-- ভুলে যাও।
প্রিয়২৪.কম
--দেখো মেঘলা এখন মজা করার সময় নয়। তুমি
চাইলে তোমার পরিবারকে বোঝাতে পারো।
আমাকে একটা বছর সময় দাও। আমি সব ঠিক
করে দেবো।
-- আমি মোটেও মজা করছিনা। আর আমার
বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি চাইনা তোমার
কারনে বিয়েতে কোনো সমস্যা হোক।
-- এসব কি বলছ তুমি মেঘলা!! তুমি তো
বলেছিলে আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে
করবেনা। দরকার পড়লে পালিয়ে বিয়ে করবো।
তাহলে এখন?? তুমি যদি আমাকে সত্যি
ভালোবেসে থাকো তাহলে আজকে কলেজ
ক্যাম্পাসে এসে আমার সাথে দেখা করবে।
আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো।-------
মেঘলা উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলো
না। কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিলো। শুভ
মেঘলার অপেক্ষায় বসে রইলো
কিন্তু মেঘলা আসেনি। সে মেঘলাকে বার
বার
ফোন
দিচ্ছিলো। কিন্তু বার বার ই ওয়েটিং এ
দেখাচ্ছিলো। যে চোখটা একসময় কারো
স্বপ্নে বিভোর ছিলো... সেই চোখটা অনেক
কেদেছে সেদিন। সেই কান্নার জল
মেঘলাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
শুভ মেঘলার রুমের জানালার কাছে এসে
দাড়ালো।
ওই তো মেঘলাকে দেখা যাচ্ছে। অনেক খুশি
দেখাচ্ছে। দু হাত ভরে মেহেদী পড়েছে।
একটু
পর পর কেউ একজন তাকে ফোন করছে। আর
সে
অনেক আনন্দের সাথে সেই কেউ একজনের
কথা
বলছে। ঠিক যেমন শুভর সাথে কথা বলতো!! শুভ
ওর চোখের দিকে তাকালো। সেখানে
বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ নেই। নেই শুভ নামের
কোনো ছেলের জন্যে ভালবাসা!. শুভ আর
মেঘলার চোখাচোখি হলো। শুভ দেখলো
মেয়েটা ভয় পেয়েছে। এটা শুভকে হারানোর
ভয় নয়। বিয়েটা ভেঙে যাবার ভয়!! শুভ একটা
মুচকি হেসে সেখান থেকে চলে আসলো।
শুভ তো ওকে ভালোবেসে ঠকেছে। কিন্তু
যে
ছেলেটা ওকে আজ বিয়ে করবে সে তো
সারাজীবনের জন্যে ঠকলো!! মেঘলা ওকে
দিনের পর দিন ঠকিয়ে যাবে। অথচ ছেলেটা
বোঝতেই পারবেনা! সে তার রুপের মোহে
অন্ধ
থাকবে। সবকিছুই তার কাছে ভালোবাসা মনে
হবে। কিন্তু সে এটা জানেনা মেঘলার মতো
মেয়েরা কখনো ভালোবাসতে পারেনা।
ভালবাসার
অভিনয় করতে পারে শুধু! কিছু কিছু মেয়েরা
অনেক
আবেগ দিয়ে ভালোবাসতে জানে। আর
মেঘলার
মতো মেয়েরা সেই আবেগ নিয়ে খেলতে
জানে।
এত কিছুর পরেও শুভর নেই কোনো অভিযোগ।
নেই মেঘলার প্রতি কোনো ঘৃনা!. কারন যে
ভালোবাসতে জানে সে ঘৃনা করতে জানেনা।
ভালো থাকুক মেঘলা। তার নতুন পৃথিবীটাতে
অনেক ভালো থাকুক।------
/
লিখা-- তানিয়া জান্নাত --
বি. দ্র: "" কোনো এক ভাইয়ার জীবনে ঘটে
যাওয়া
কিছু স্মৃতি নিয়ে গল্পটা লেখা।""
(( সব ছেলে যেমন এক না... তেমনি সব
মেয়েরাও মেঘলার মতো না। কথাটা চিরন্তন
সত্য।))