আগরবাতি কীভাবে তৈরি করে?

আগরবাতি হল কাঠিতে মশলামাখা সুগন্ধিযুক্ত এক ধরণের বাতি। আগরবাতিতে আগুন জ্বালালে তা ধীরে ধীরে পুড়ে চারপাশে সুগন্ধ ছড়ায়। সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানে আগরবাতি জ্বালানো হয়। আগরবাতি জ্বালালে ঘরের পরিবেশ ও চারপাশ সুগন্ধে ভরে যায়। ক্ষুদ্র ব্যবসা হিসেবে আগরবাতি তৈরি করে আয় করা সম্ভব। যে কোন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার জন্য আগরবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আগরবাতির চাহিদা প্রায় সারাবছরই থাকে। মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রভৃতি উপাসনালয়ে বা বাড়িতে পূজা বা মিলাদে আগরবাতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সুগন্ধি হিসেবে এখন অনেকে প্রতিদিন ঘরে বা দোকানেও আগরবাতি ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাজার, থানা শহর অথবা উপজেলা শহরে আগরবাতি বিক্রি করা যায়। পাইকারি হিসেবে দোকানদারদের কাছে অথবা খোলা বাজারে বা হাটে খুচরাভাবে ক্রেতাদের কাছে আগরবাতি বিক্রি করা সম্ভব। সবচেয়ে বেশি বিক্রি করা যায় মাজারের কাছে। এছাড়া বিভিন্ন উপাসনালয়ে আগরবাতি বিক্রি করা সম্ভব।
আগরবাতির চাহিদা :
আগরবাতির চাহিদা প্রায় সারাবছরই থাকে। মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রভৃতি উপাসনালয়ে বা বাড়িতে পূজা বা মিলাদে আগরবাতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সুগন্ধি হিসেবে এখন অনেকে প্রতিদিন ঘরে বা দোকানেও আগরবাতি ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাজার, থানা শহর অথবা উপজেলা শহরে আগরবাতি বিক্রি করা যায়। পাইকারি হিসেবে দোকানদারদের কাছে অথবা খোলা বাজারে বা হাটে খুচরাভাবে ক্রেতাদের কাছে আগরবাতি বিক্রি করা সম্ভব। সবচেয়ে বেশি বিক্রি করা যায় মাজারের কাছে। এছাড়া বিভিন্ন উপাসনালয়ে আগরবাতি বিক্রি করা সম্ভব।
আনুমানিক খরচ :
আগরবাতি তৈরির জন্য স্থায়ী উপকরণ কিনতে আনুমানিক ১৫০০ টাকার প্রয়োজন হবে। ১০০টি আগরবাতি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনতে আনুমানিক ৩০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে আগরবাতি তৈরি এবং এ ব্যবসার বিস্তারিত জেনে নিলে ব্যবসা করতে সুবিধা হবে।
আগরবাতি তৈরি করতে যা যা লাগবে -
স্থায়ী উপকরণ :
গামলা, বাটি, ডালা, চুলা, পিঁড়ি ও বেলন, দাঁড়িপাল্লা, চালনি, প্যাকেট
কাঁচামাল :
রঙ, কাঠের গুড়া/ভূষি, কয়লার গুঁড়া, বিজলা গাছের ছাল, ডিপিই তেল, তরল সেন্ট, বাঁশের কাঠি
আগরবাতি তৈরির নিয়ম
১. চিকন করে মাপ মতো বাঁশ কেটে টুকরো করতে হবে। নরম কাঠি ব্যবহার না করাই ভালো। কাঠিগুলো রঙিন করতে চাইলে গামলায় রঙ গুলে কাঠিগুলো সেই রঙে ভিজিয়ে রঙিন করতে হবে।
২. বিজলা গাছের ছাল শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো বাকলগুলো ভেঙ্গে মেশিনে গুঁড়া করতে হবে অথবা শিল পাটাতে গুঁড়া করে নেওয়া যাবে।
৩. শুধুমাত্র রঙিন আগরবাতির জন্য কাঠের গুঁড়ার প্রয়োজন হয়। কালো আগরবাতি কয়লার গুঁড়া দিয়েই তৈরি করা যায়। কয়লা সংগ্রহ করে বেলুন দিয়ে পিষে গুঁড়া করে নেওয়া যায়। অথবা কয়লা গুঁড়া করার মেশিন যেখানে আছে সেখান থেকে সরাসরি গুঁড়া কয়লা কেনা যাবে।
৪. বিজলা গাছের ছাল ও কাঠের গুঁড়া বা কয়লার গুঁড়া আলাদা চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। যদি বড় গুঁড়া থাকে তাহলে তা আলাদা হয়ে যাবে।
৫. সব গুঁড়া আলাদা আলাদা করে দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মেপে আলাদা বাটি বা প্যাকেটে রাখলে ভালো হবে। তাহলে কতটুকু পরিমাণ গুঁড়া আছে তা জানা যাবে এবং কাজ করতে সুবিধা হবে।
৬. যদি রঙিন আগরবাতি তৈরি করতে হয়, তাহলে গুঁড়ার সাথে রঙ মিশিয়ে নিতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত কালো সবুজ ও লাল রঙের আগরবাতি তৈরি করা হয়। তবে ইচ্ছে করলে নানান রঙের আগরবাতি তৈরি করা যাবে।
৭. সব উপাদান ভালো করে মিশিয়ে ডিপিই তেল দিয়ে মেখে মন্ড তৈরি করে নিতে হবে।
৮. রঙ মাখা কাঠের গুঁড়ো পিঁড়িতে রেখে, কাঠি তার উপর রেখে ডলে ডলে মশলা কাঠিতে লাগাতে হবে। কাঠিতে মশলা লাগানোর সময় হাতে রঙিন গুঁড়ো লাগিয়ে নিতে হবে। মশলা মাখানোর পর পাশে রাখা ট্রেতে কাঠিগুলো রাখতে হবে।
৯. এর পর এই কাঠিগুলো রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
১০. শুকনো কাঠিগুলো পরিষ্কার জায়গায় রেখে তরল সেন্ট/ সুগন্ধি আগরবাতিতে ছিটিয়ে মেখে দিতে হবে।
১১. আগরবাতিগুলো সাথে সাথে পলিথিনে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে শক্ত কাগজের প্যাকেটে রেখে দিতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

Total Pageviews