শারীরিক সমস্যা দূরীকরণে প্রতিদিন আমলকী

আমলকী একটি ওষুদি ফল। আমাদেরদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায়পাঁচ হাজার বছরের বেশি সময় ধরেআমলকি দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতাবৃদ্ধিতে এবং দেহের পুনর্যৌবনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ঋতুতেমানুষ এই ফলটি খেয়ে থাকে। অবাকহওয়ার মত বিষয়, একটি আমলকীতেপ্রায় ২০টি কমলার সমান ভিটামিন সিথাকে। বিজ্ঞানে এই ফলকে পৃথিবীরসবচেয়ে শক্তিশালীঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেদেখানো হয়েছে।আমলকীতে শুধু যে ভিটামিন সি-ইথাকে তা নয়। এতে আরো থাকেফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন ও খনিজপদার্থ। আমলকী খেলে সর্দি, কাশিথেকে শুরু করে অ্যাজমা ওব্রংকাইটিসের মতশ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগগুলো থেকেওমুক্তি পাওয়া যায়।আমলকীর কিছু উপকারিতা এখানেউল্লেখ করা হলো-গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকি যকৃতেরবিষাক্ততা দূর করে। যকৃতে বিভিন্নধরনের অসুখ বিশেষ করে যক্ষ্মারোগের ওষুধের নেতিবাচক প্রভাবপরার কারণে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টিহয় তা দূর করতে আমলক সাহায্য করে।ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করেযখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইকরে তখন দেহের জন্যঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিঅনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতেপারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষেরপ্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণকমাতে সাহায্য করে।ডায়াবেটিসের জন্য উপকারীযকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা,ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবেঅগ্নাশয়ের কাজে সাহায্য করে।নিয়মিত আমলকী খেলে তাইন্সুলিনের নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করেডায়াবেটিস রোগীদের রক্তেরশর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করেবিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিসেরক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রতিন গ্রাম আমলকীর গুঁড়ো অন্যযেকোনো ডায়াবেটিসের ওষুধেরচেয়ে বেশি কার্যকরী।পেটের ব্যাথা দূর করতেপেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি, পেটমোচড়ানো ও প্রদাহসহ বিভিন্ন ধরনেরহজমজনিত পেটের সমস্যা আমলকীরদ্বারা দূর করা সম্ভব।সুন্দর ত্বক, চুল ও নখের জন্যআমলকী দেহ কোষের পুনর্গঠন করে।যার ফলে দেহ পুনর্যৌবন লাভ করে।নিয়মিত আমলকী খেলে এবং ব্যবহারকরলে চুল পড়া বন্ধ হয়, বৃদ্ধি ত্বরান্বিতহয়, অকালে চুল পেকে যাওয়াপ্রতিরোধ করে।চুলের খুশকি দূর করারপ্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হচ্ছে এইআমলকী। শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্রিম,চুলের মাস্ক এবং অন্যান্য আরো অনেককিছুতেই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।ত্বকের সমস্যা দূর করতেত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেআমলকীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ,ফুসকুড়ি ও রুক্ষ ত্বকের জন্য বিভিন্নধরনের সমস্যাসহ ত্বকের অনেক ধরনেরপ্রদাহ দূর করতে পারে আমলকী।চুলের সুরক্ষায়শুকনো আমলকীর গুঁড়ো সামান্য কুসুমগরম পানিতে মিশিয়ে এক ঘন্টা রেখেদিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলেম্যাসেজ করে লাগিয়ে আধা থেকে একঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতেহবে।এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে,আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল হবে মসৃনএবং উজ্জ্বল।

Total Pageviews